টেলিযোগাযোগ খাত
নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
টেলিযোগাযোগ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি (টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ) আয়োজিত সেমিনারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলেছেন। গত ১২ জুলাই রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই সেমিনারে দর্শকসারিতে বসে পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যই শোনার এবং বোঝার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে আমিনুল হাকিমের প্রশ্নটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ওই প্রশ্নের উত্তর সেমিনারের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী কিংবা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জহিরুল ইসলাম কেউই দেননি।
প্রশ্নটি ছিল, এই যে এখন টেলিযোগাযোগ খাতের আইএলডিটিএস পলিসি সংশোধন করা হচ্ছে, সেটা পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের আমলে বিদ্যমান থাকবে কি না? রাজনৈতিক সরকারের আমলে সেটা আবার পরিবর্তন হবে কি না? যদি পলিসি বার বার পরিবর্তন হয়, তাহলে দেশি কিংবা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের নিশ্চয়তা পাবেন কীভাবে? প্রশ্নটি এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নীতির আমূল পরিবর্তন অতীতে দেখা গেছে। এমনকি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও একই সরকার বার বার নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। জাতীয় বাজেটে একটি সিদ্ধান্ত সংসদে গৃহীত হওয়ার এক মাসের মধ্যেই সেটা একটি প্রশাসনিক প্রজ্ঞাপন দিয়ে পুরো বদলে দেওয়ার নজিরও আছে।
এ কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টেলিযোগাযোগ খাতের নেটওয়ার্ক অবকাঠোমোর বিভিন্ন স্তরে লাইসেন্সিং পদ্ধতি বদলে দিতে ‘টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি-২০২৫’ নামে নতুন যে নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে পরবর্তী নির্বাচিত নতুন সরকারের আমলে টিকে থাকবে কি না, সে প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ নীতি পরিবর্তনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফলে আইএসপিএবি সভাপতির প্রশ্নটি সত্যিকার অর্থেই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সেমিনারে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন একাধিক বক্তার কাছ থেকে এসেছে। সেটি হচ্ছে জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা এবং টেলিযোগাযোগ আইন সময়োপযোগী করে পরিবর্তন না করে শুধু নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিংয়ের নীতি পরিবর্তনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? কারণ নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালার একটি অংশ। একইসঙ্গে এটি টেলিযোগাযোগ আইন দ্বারাও নির্ধারিত হওয়া বাঞ্ছনীয়; কিন্তু বড় দুটি সংস্কার সম্পন্ন না করে শুধু একটি খণ্ডিত অংশের নীতি এ মুহূর্তে পরিবর্তন কেন জরুরি হয়ে পড়ল, সে প্রশ্নটিও এরই মধ্যে টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন পক্ষ থেকে উঠেছে।
সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বেশ জোর দিয়েই বলেছেন, সাবেক স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সব নীতি স্ক্র্যাপ (বাতিল) করা হবে। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে নতুন সময়ের চাহিদায় নতুন নীতি হবে। জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা এবং টেলিযোগাযোগ আইনও সংশোধন বা পরিবর্তন করা হবে। খুবই প্রশংসনীয় বক্তব্য; কিন্তু তিনি তার বক্তব্যে আইন এবং জাতীয় নীতিমালা পরিবর্তনের আগেই কেন নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতিমালা পরিবর্তন করছেন, সে বিষয়টি পরিষ্কার করেননি।
এখানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠে। যদি সাবেক স্বৈরাচার সরকারের সবকিছুই স্ক্র্যাপ করা হয়, তাহলে গত কয়েক দিন আগে সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিটিসিএলের নেওয়া একটি প্রকল্প চলমান রেখে অর্থ ছাড়ের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দুদক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি লিখেছিলেন কেন? দুদক কর্তৃক তদন্ত চলমান থাকা ওই প্রকল্প নিয়ে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর জবাবে একটি সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যাও করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব। তিনি সেখানে স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, বিটিসিএলকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনে এবং এই প্রকল্প চলমান রাখা এবং বাস্তবায়ন জরুরি। তাহলে তার এই বক্তব্য থেকে কী প্রমাণ হয়? সাবেক স্বৈরাচার সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তাধীন চলমান প্রকল্পও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় চলমান রাখার অনুরোধ করতে হচ্ছে। তাহলে এই বিবেচনায় সাবেক স্বৈরাচার সরকারের আমলের সবকিছু স্ক্র্যাপ করার ঘোষণা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়?
আসলে এটাই বাস্তবতা। একটি রাষ্ট্রে বহু বছর ধরে চলা একটি নীতি, কাঠামো চাইলেই চট করে ছুড়ে ফেলা যায় না। সাবেক স্বৈরাচার সরকার গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নীতি এবং কাঠামোগুলোর প্রায় সবকিছুরই অপব্যবহার করে সেগুলোকে দুর্বল করে দিয়ে গেছে; কিন্তু এর বিপরীতে নিদারুণ বাস্তবতা হচ্ছে সেই নীতির ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সেবার যে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, তার পরিবর্তন করতে হলে তার শুরুটা ওপর থেকেই করতে হবে, নিচ থেকে নয়। যে কারণে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতৃত্ব একটি ‘জুলাই সনদ’ চাচ্ছে শুরু থেকেই। প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কারের জন্য জাতীয় পর্যায়ে কয়েকটি কমিশন করে দিয়েছেন। সেসব সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিত করতে সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করেছেন। কমিশন একটি জাতীয় সনদ প্রণয়নে কাজ করছে। এটাই প্রকৃত প্রক্রিয়া। টেলিযোগাযোগ খাতের নীতি সংস্কারে সেই যৌক্তিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, হচ্ছে না।
প্রথমে দরকার ছিল টেলিযোগাযোগ খাতের সংস্কারে একটি জাতীয় কমিশন করা। সেই কমিশন বিদ্যমান জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা, টেলিযোগাযোগ আইন এবং অন্যান্য নীতিমালা পর্যালোচনা করে একটি সুপারিশমালা তৈরি করার পর সে আলোকে নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হলে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন, বিতর্ক উঠত না। এটি সত্যিই যে নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তনের এখতিয়ার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির। টিআরএনবির সেমিনারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান অত্যন্ত যৌক্তিকভাবেই বলেছেন, প্রায় ১৫ বছর আগে যে আইএলডিটিএস পলিসি করা হয়েছিল, সেটি ওই সময়ের বাস্তবতায় প্রয়োজন ছিল। এখনকার বাস্তবতায় এই নীতি পরিবর্তন একান্ত প্রয়োজনীয়। আমি তার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। কারণ সময় বদলেছে, প্রযুক্তিগত বড় রূপান্তর হয়েছে। এ অবস্থায় পনেরো বছর আগের নীতি পরিবর্তন সত্যিই প্রয়োজন। তবে সেই প্রয়োজনটা কোন কোন ক্ষেত্রে কতটুকু, সেটা সবার আগে সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ জরুরি ছিল। শুধু নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন করলেই কি সবকিছুর সমাধান হবে? টেলিযোগাযোগ খাতে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের আমলে সবচেয়ে অরাজকতা কোন ক্ষেত্রে ছিল, সেটা আগে বিচার বিশ্লেষণ করা জরুরি ছিল।
সবচেয়ে বেশি অনাচার, অনিয়ম হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলো ঘিরে। বিটিসিএলের একটি প্রকল্প নিয়ে এ সরকারের আমলেও জোরালো বিতর্ক চলছে, দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে, সেটা আগেই বলেছি। এই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশনই কোম্পানিগুলোর বছরের পর বছর দুর্বল অবস্থানে থাকা, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত থাকার মূল কারণ। বিদম্যান আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব সাহেবরাই পদাধিকার বলে প্রতিটি কোম্পানির চেয়ারম্যান। আমি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের টেলিযোগাযোগ সাংবাদিকতায় দেখেছি প্রতিটি সরকারের আমলেই বিটিসিএল প্রায় সব প্রকল্প নিয়েই দ্বন্দ্ব শুরু হয় সরকারের মন্ত্রী-সচিবের মধ্যে। দ্বন্দ্বের মূল কারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ। দুর্নীতির অভিযোগগুলোও উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ নিয়েই। একেকটি প্রকল্পে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে এবং সেগুলোর খুব কমসংখ্যকই মূল প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, এমন অভিযোগও আছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা দায়িত্বশীলদের চট্টগ্রামে বিটিসিএলের গুদাম একবার পরিদর্শন করে দেখা উচিত ছিল, সেখানে মজুদ অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির পরিমাণ কত এবং সে অনুযায়ী সাবেক স্বৈরাচার সরকারের কোনো প্রকল্প চলমান রাখা উচিত কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
এ কারণে টেলিযোগাযোগ খাতের সংস্কার শুরু হওয়া উচিত ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। এ পরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিয়ন্ত্রণমুক্ত একটি পেশাদার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাই সংস্কারের প্রধান ধাপ হওয়া উচিত। কারণ রাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা শুধু নয়, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সব সার্ভিসের মেরুদণ্ড এই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোই। বিটিসিএলের পক্ষে এখনো সম্ভব দেশের টেলিযোগাযোগ সেবার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করা। টেলিটক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে লাভজনক হলে বিদেশি কোম্পানির স্বার্থে নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে এত বিতর্কও ওঠার সুযোগই সৃষ্টি হতো না।
বাংলাদেশ সবমেরিন কেবল কোম্পানি এখনো দেশের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চাহিদার বড় অংশ মেটায়। এ কোম্পানি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ালে শুধু ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ নয়, আধুনিক সময়ে পুরো কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণও এই কোম্পানির কাছেই থাকত। বাংলাদেশ কেবল শিল্প কোম্পানি গুণগত মানসম্পন্ন ফাইবার অপটিক কেবলের চাহিদা পূরণে সক্ষম হলে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ফাইবার অপটিক কেবল আমদানির প্রয়োজন হতো না। টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তির রূপান্তরের চাহিদা অনুযায়ী ডিভাইস তৈরির জন্য সক্ষম করে গড়ে তোলা হলে বাংলাদেশ শুধু মোবাইল হ্যান্ডসেট কিংবা ল্যাপটপের মত ডিভাইস নয়, নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির তৈরিতেও সক্ষমতা অর্জন করতে পারত। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে টায়ার ফোর ডাটা সেন্টার আছে। সেই ডাটা সেন্টার সত্যিকার অর্থে কার্যকর করা হলে আন্তর্জাতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোর ডাটা নেটওয়ার্কের একটি হাব বাংলাদেশও হতে পারত।
মৌলিক সংস্কারের সে পথে না গিয়ে শুরুতেই শুধু নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার কারণেই এ নিয়ে এত বিতর্ক উঠেছে। এই বিতর্কের শেষও হবে না। বর্তমান সরকার চাইলে এই নীতি পরিবর্তন করতে পারে, সে অনুযায়ী দু’একটি গাইডলাইনও বিটিআরসি দিতে পারে। এসব গাইডলাইন টেলিযোগাযোগ খাতের কোন কোন পক্ষকে বিশেষ সুবিধাও দিতে পারে; কিন্তু পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই নীতির আবারও আমূল পরিবর্তনও হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যে কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় এই নেটওয়ার্ক ভ্যালুচেন এবং লাইসেন্সিং নীতি পরিবর্তন নিয়ে দেশি কিংবা বিদেশি, কোনো বিনিয়োগকারীর উদ্বেগ দূর হবে না, নীতির বাস্তবায়নও সহজ হবে না।
রাশেদ মেহেদী, টেলিযোগাযোগ খাত বিশ্লেষক, সাবেক সভাপতি, টেলিকম ও টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি)
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে