রাজনীতি ও জনপ্রশাসন
বৈষম্য নিরসনে কতটা পথ পেরোল বাংলাদেশ?
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বয়স ইত্যাদির ভিত্তিতে কারও প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণকেই বৈষম্য বলে। বৈষম্যের সঙ্গে মঙ্গল-অমঙ্গলের সম্পর্ক থাকা বাধ্যতামূলক নয়।
বঙ্গভঙ্গের কুশীলব কে?
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ বাঙালি জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল রূপে নানা পদক্ষেপ কার্জন গ্রহণ করেছিলেন। বাঙালি জাতিকে ধর্মের বিভাজনে দ্বিখণ্ডিত করার অভিপ্রায়ে ১৯০২ সালে বাংলা বিভক্তি অর্থাৎ বঙ্গভঙ্গের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
ইসরায়েলের অবস্থা কি ‘দক্ষিণ আফ্রিকার’ মতো হচ্ছে?
গাজায় যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েল দিন দিন আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, ইসরায়েলের অবস্থা কি তবে ‘দক্ষিণ আফ্রিকার’ মতো হচ্ছে?
পিআর পদ্ধতি কার্যকর করতে আগে দরকার প্রশাসনিক সংস্কার
বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি প্রয়োগের পূর্বে আমরা জেনে নিই সুইডিশ রাজনীতির বৈশিষ্ট্য। সুইডিশ রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় কঠোর নিয়ম ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মেনে চলে।
নরওয়ের রাজনীতি বনাম বাংলাদেশের বাস্তবতা
নরওয়ে সদ্য একটি জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক মানদণ্ডে উদাহরণস্বরূপ। ফলাফল ঘোষণার পর সেখানে এক চমৎকার রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটে। বিজয়ী দল নির্বাচনি সাফল্যের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হলেও তারা দায়িত্বশীল আচরণ করেছে- প্রতিপক্ষকে অপমান না করে বরং ভবিষ্যতের কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভোটের ‘মহোৎসব’ আর জাতির ‘নবজন্ম’
আমাদের সংসদে ঐকমত্য মানে হলো টেবিল ঠুকতে ঠুকতে গলা ফাটিয়ে কথা বলা। রাস্তায় ঐকমত্য মানে একে অপরের ব্যানার ছিঁড়তে ছিঁড়তে শেষে কিল-ঘুসি চালানো। পরিবারের ঐকমত্য মানে- ফ্রিজের ভেতর শেষ টুকরো মুরগির রানটা নিয়ে যুদ্ধ।
আস্থাহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশ
ডাকসু নির্বাচন শেষ না হতেই জাকসু নির্বাচন শুরু হয়ে শেষের দ্বারপ্রান্তে; কিন্তু ভোট গণনা চলছে তিন দিন ধরে; কিন্তু নির্বাচন মানেই এখন আর স্বচ্ছতা কিংবা আস্থার জায়গা নয়, বরং গুজব, পাল্টা গুজব আর দলীয় রাজনীতির ছায়ায় ঢাকা এক নাট্যমঞ্চ। এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে- বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও পরে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ভোট গণনার কাজ চলছে; কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে- সেটি নিয়েই প্রশ্নের শেষ নেই।
আদালতের বিচারকের রায়ে ‘বিশ্বাস’ ঢুকে পড়া কি বৈধ?
বিচারব্যবস্থা বলতে আমরা মানে সাধারণ লোকরা কী বুঝি? বুঝি যে, এ এমন এক ব্যবস্থা যা যে কোনো বিষয়ের সত্যাসত্য নির্ধারণ করে, সত্যের পক্ষে রায় দেয় বা ব্যবস্থা নেয়। এখানে কঠোর যুক্তির অধিকার, কোনো কল্পনাবিলাসের স্থান নেই।
ঐকমত্য ছাড়াও কিছু সংস্কার সম্ভব
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হচ্ছে, বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এবং তার জন্য অর্থ খরচের স্বাধীনতা থাকলে সরকারের নির্বাহী বিভাগের ওপর তাদের নির্ভরশীলতা কমবে।
ট্রাম্প কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে?
শি জিনপিং, নরেন্দ্র মোদি এবং ভ্লাদিমির পুতিন- তিনজনই তাদের নিজ নিজ ভূরাজনৈতিক পরিসরে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র নেতাদের একজন। যখন এই তিন নেতা একই টেবিলে বসে বৈঠক করেন, তখন শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক কূটনীতিতেও তার প্রতিফলন ঘটে।