রাজনীতি ও জনপ্রশাসন
ট্রাম্প কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে?
শি জিনপিং, নরেন্দ্র মোদি এবং ভ্লাদিমির পুতিন- তিনজনই তাদের নিজ নিজ ভূরাজনৈতিক পরিসরে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র নেতাদের একজন। যখন এই তিন নেতা একই টেবিলে বসে বৈঠক করেন, তখন শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক কূটনীতিতেও তার প্রতিফলন ঘটে।
এনসিপির ৫ নেতা কি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন?
বিচার, সংস্কার ও জুলাই সনদ ইস্যুতে প্রত্যাশা পূরণ না হলে এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এবং অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা তরুণদের এই দলটি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে তার ইমপ্যাক্ট কী হবে, সেই প্রশ্নও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
গণঅভ্যুত্থানগুলোর পরিণতি হতাশাজনক
আমার দেখা তিনটি গণঅভ্যুত্থানের পরিণতির মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাইনি। প্রত্যেকটির পরিণতি অভিন্ন। অথচ বহু ত্যাগ-আত্মত্যাগের অভ্যুত্থানগুলোর পরিণতি ঘটেছিল কেবলই ক্ষমতার হাতবদল।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: শোকের উচ্চারণ ও কিছু পর্যবেক্ষণ
২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার ছিল শ্রাবণের একটি রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিন; কিন্তু ওই দিন দুপুরে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমানের মর্মান্তিক ক্র্যাশ বা দুর্ঘটনায় এই দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের ট্র্যাজেডি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেল। মুহূর্তেই উত্তরাস্থ দিয়াবাড়ির স্কুলটি যেন পরিণত হলো এক অজানা যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে কেউ কারোর শত্রু ছিল না। প্রাণ গেল অনেক শিশুর, যারা ঘরে ফেরার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছিল। অনেক বাবা-মায়ের ছোট ছোট রাজপুত্র, রাজকন্যারা হারিয়ে গেল চিরতরে। হারিয়ে গেলেন এই বিমানের পাইলট, একজন প্রতিশ্রুতিশীল বিমান বাহিনী কর্মকর্তা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম। এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ৩৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর বয়সী শিক্ষার্থী।
বিশৃঙ্খল রাষ্ট্রের উৎকৃষ্ট উদাহরণ মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনা
যে কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটলেই রাষ্ট্রের বিশৃঙ্খলাগুলো বড় করে চোখে পড়ে।
জুলাই সনদ যেন রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি না করে
গণ-অভ্যুত্থান নিজেই একটি বড় প্রাপ্তি। যে অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগের মতো একটি নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর পতন হলো, তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি এ দেশের জনগণের জীবনে খুব কমই আছে।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন কতটা বাস্তবসম্মত?
উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য যে তিনটি আবশ্যিক শর্ত পরিপালন করতে হয় বাংলাদেশ তার সবগুলোই বেশ ভালোভাবে পূরণ করেছে। এরপর কয়েক বছর পর্যবেক্ষণে ছিল বাংলাদেশ।
বিচার যখন রাস্তায় নামে, রাষ্ট্র তখন আর কার পক্ষে থাকে?
রাজধানীর পল্টনে একজন সাবেক ছাত্রনেতাকে জনসমক্ষে অপদস্থ করা হলো। তাকে মারধর করা হলো ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যায়িত করে। অপরাধের স্বরূপ অস্পষ্ট; কিন্তু শাস্তি তাৎক্ষণিক- রাস্তায়, জনতার চোখের সামনে।
নির্বাচন কমিশন এখন আসামি
‘অন্যায্য ও প্রহসন’-এর নির্বাচন করার অভিযোগ তুলে ২৪ জনের পদ বা নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হলো
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও বিগত সময়ের কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এই চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের সংস্কার নিয়ে একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা সাজানো প্রয়োজন।