কূটনীতি
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অন্তরালে গাজার বাস্তবতা
নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণহত্যা, ক্ষুধা, বাস্তুচ্যুত- এমন মর্মান্তিক বিশেষণগুলো যেন এখন শুধু গাজার জন্যই বরাদ্দ। গত বিশ মাস ধরে নারী-শিশু নির্বিশেষে উপত্যকাটির মানুষের ওপর চলছে বর্বর হত্যাযজ্ঞ। গাজায় যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলছে তা একজন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে হজম করা বেশ কঠিন। এমন হৃদয়বিদারক চিত্র একটি-দুটি নয়। হাজার হাজার। যা করে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট ইসরায়েল। লাখ লাখ মানুষ সেখানে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। যাদের খাদ্য নেই, থাকার জায়গা নেই। আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নেই। এক অমানবিক ও মর্মান্তিক জীবন পার করছেন গাজাবাসী। তারা যেন এক দুঃস্বপ্নের মধ্যে রয়েছেন। এ পর্যন্ত কত মানুষ নিহত হয়েছেন তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। প্রতিনিয়তই মৃত মানুষের মিছিল ভারী হচ্ছে।
পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ও আণবিক শক্তি সংস্থা
প্রায় সাত দশকের পুরোনো আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বিশ্বে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করে থাকে। একই সঙ্গে সংস্থাটির কাজের মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করা।
ইরানকে টুপিখোলা স্যালুট
২১ জুন, ২০২৫। আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্রুত শান্তি না এলে তাদের বাকি টার্গেটগুলোতে নির্ভুল নিশানায় আবারও আঘাত হানার হুমকি দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান প্রতিশোধ নিয়েছে আপোষে। ইরান আগে অবহিত করেছে, পরে কাতারে আমেরিকান ঘাটিতে আক্রমণ করেছে। আমেরিকা তাদের ঘাঁটি থেকে সব সরিয়ে সরিয়ে নেওয়ার পর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
দূরের যুদ্ধ, বাংলাদেশের জন্য বাস্তব হুমকি
বাংলাদেশ বর্তমানে নানা দিক থেকে চাপে আছে- অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত। আমরা একটি সম্পদ-ঘাটতির দেশ, যার বেশিরভাগ জ্বালানি ও মৌলিক চাহিদা আমদানিনির্ভর। আমাদের অর্থনীতি এখনো কৃষিভিত্তিক অথচ জনসংখ্যার ঘনত্ব বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রতি বছর বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে। বেকারত্ব বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে একটি বড় সংকট।
সর্বশেষ অবস্থা: ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
গত ১৩ জুন একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান ও ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান সত্ত্বেও এই দুই দেশের মধ্যে বিমান যুদ্ধ এগারতম দিনে প্রবেশ করেছে।
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি
সৃষ্টির সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাস আদম সন্তানের রক্তে রঞ্জিত। নিজেদের মহত্ব প্রকাশের দরুন বলি হয়েছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ। ক্ষমতার অতি উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা অপরের ওপর নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে যুগে যুগে মরিয়া হয়ে ছিল শাসক শ্রেণি। যার ফল লাখ লাখ নিরীহ মানুষের রক্তে জমিন রঙিন হওয়া। যুদ্ধের সূচনা শাসক শ্রেণির হাতে হলেও প্রাণনাশ ঘটে অতি সাধারণ মানুষের। বর্তমান বিশ্বের ইতিহাসও এই ধারাবাহিকতার বাইরে নয়। এরই মধ্যে বিশ্ববাসী দুটো মহাযুদ্ধের ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়েছে।
ইসরায়েল কেন ইরানে হামলা চালালো- আসল কারণ কী?
পঞ্চম দিনের মতো চলছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। অনেকে একে সরাসরি যুদ্ধ না বলে এখনো পর্যন্ত সংঘাতই বলতে আগ্রহী। পরিস্থিতির ভয়াবহতা কমাতেই বোধহয় এমন ইঙ্গিত। তা ছাড়া এখনো দুপক্ষের সেনাবাহিনী মাঠে নামেনি। যুদ্ধ চলছে আকাশ পথেই। আকাশে কার কত ক্ষমতা- তাই যেন দেখানোর পায়তারা করছে দুপক্ষ। সরাসরি যুদ্ধ শুরু না হলেও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলি বোমার আঘাতে ইরানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২৪ জন আর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ইরানের মিসাইলের আঘাতে এ পর্যন্ত ২৪ জন ইসরায়েলি মারা গেছেন। তার মানে সংঘাত যত বাড়বে, হতাহতের সংখ্যাও বাড়বে। কোথায় গিয়ে এর শেষ হয় আমরা এখনো জানি না; কিন্তু ইসরায়েল কেন আগ বাড়িয়ে হঠাৎ ইরানে হামলা চালালো? আল-জাজিরার বিশ্লেষণে জানা গেল তার আসল কারণ।
ইরানে ইসরায়েলি হামলার ছায়ায় মধ্যপ্রাচ্যের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
২০২৫ সালের জুন মাসে মধ্যপ্রাচ্য যেন তার দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার এক নতুন, আরও রক্তক্ষয়ী এবং অনিশ্চিত অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত এই স্মরণকালের বৃহত্তম ও সর্বাত্মক বিমান হামলা কেবল ইরানের সামরিক কাঠামোকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়নি, বরং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এক গভীর আদর্শিক, কূটনৈতিক এবং রাষ্ট্রনৈতিক সংকট। এই হামলার তাৎপর্য কেবল বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়- বরং এটি এক সুপরিকল্পিত, বহুস্তরবিশিষ্ট এবং প্রতীকী আঘাত, যা ইরানের রাষ্ট্রব্যবস্থার অস্তিত্ব, আত্মপরিচয় এবং আঞ্চলিক নেতৃত্বের দাবি পর্যন্ত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
ভারত পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ যুদ্ধের সম্ভাবনা
৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চার দিন শুধু উপমহাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যেই ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এই চার দিন ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি যে মিসাইল, ড্রোন ও বিমান হামলা চলেছে তা দুই পরমাণু শক্তিধর দেশকে ফুল স্কেল ওয়ারের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাপী এত আতঙ্ক সত্ত্বেও যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম তিন দিনে দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কাউকে দেখা যায়নি। তখন ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ের বডি ল্যাঙ্গুয়েজেই কোনো আপোষের চিহ্ন ছিল না। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের এক উক্তি বিশ্বব্যাপী শান্তিপ্রিয় মানুষকে আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। তিনি বলেছিলেন, ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ আমাদের বিজনেস নয়।
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ: পরমাণু অস্ত্রের আতঙ্ক এবং শক্তিধর দেশগুলোর ভূমিকা
পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে ৭ তারিখ থেকে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা নিয়ে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হলো, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে কোনো শক্ত মধ্যস্থতা, অথবা ডি-এক্সলেশনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। হ্যাঁ, চীন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরান মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি এরই মধ্যে দুদেশ সফর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দুই দেশের সঙ্গেই টেলিফোনে যোগাযোগ রাখছেন। তারপরও দুই পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্যোগ পর্যাপ্ত মনে হচ্ছে না।