বিজ্ঞান
রুশ-মার্কিন পরমাণুযুদ্ধ এবং একজন ওপেনহাইমার
রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন- এ প্রবাদের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে; কিন্তু হিরোসিমা-নাগাসাকিতে যখন নিউক্লিয়ার বোমার তাণ্ডবনৃত্য চলছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান তখন বিজয়ে হাসি হাসছেন। সেটা এতটাই দৃষ্টিকটুভাবে যে, তাদের নিউক্লিয়ার বোমা প্রকল্পের প্রধান ওপেনহাইমারকে অপমান করতে এতটুকু বাঁধেনি তার।
বিগ ব্যাং, মহাবিশ্ব ও স্ট্রিং তত্ত্ব
একটা কথা খুব প্রচলিত। বিগ ব্যাংয়ের মাধ্যমেই জন্ম হয়েছে মহাবিশ্বের। আসলেই কি তাই? বর্তমান যে প্রচলিত থিওরি আছে, সে অনুযায়ী বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমেই সময়ের শুরু। এর প্রমাণও আছে ভুরি; কিন্তু বিগ ব্যাং থিওরি একটা প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না- মহাবিস্ফোরণের আগে কী ছিল? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেক কসমোলজিস্ট মনে করতেন, এ প্রশ্নটা আসলে উত্তর মেরু বিভ্রমের মতো। উত্তর মেরুতে গিয়ে আরও উত্তরে যাওয়ার চেষ্টা আসলে বৃথা।
বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা, মহানগর রক্ষার উপায় খুঁজুন!
আমাদের দেশে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে, আমরা চাইলেই তা রোধ করতে পারব না; কিন্তু দুর্যোগের ক্ষতির পরিমাণ সহনশীল মাত্রায় সীমিত রাখতে পারি। সরকার অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছে। অতীতে দেশে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে তার ক্ষতির পরিমাণ হতো মারাত্মক। বর্তমানে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও তাতে ক্ষতির পরিমাণ থাকছে সহনীয় মাত্রায়। আগামীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে ক্ষতির পরিমাণ সীমিত থাকে, সে জন্য আমাদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এখন কোনো অবকাঠামো নির্মাণকালে আগে সেই রাস্তাটি কেন ভেঙে গিয়েছিল, তার তথ্য সংগ্রহ করে নতুন রাস্তা নির্মাণকালে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে আগের সেই অবস্থা ভবিষ্যতে সৃষ্টি হতে না পারে। দুর্যোগ নিয়ে একটি কবিতা মনে পড়েছে, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নিতে হবে যুগোপযোগী পদক্ষেপ / উদ্বেগ ভুলে সচেতনতা গড়ে অভিযোজনের পথে এগিয়ে যাবে বিশ্ব/দুর্যোগ প্রশমনে থাকবে না কোনো আক্ষেপ।’
মেইল দেখে ভেবেছিলাম অন্য কারও নোবেল পুরস্কারের খবর
আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী জন জোশেফ হোপফিল্ড, ব্রিটিশ-কানাডিয়ান কম্পিউটার বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিন্টনের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ অর্জন করেছেন। নোবেল কমিটি থেকে যখন ফোন আসে জন জোশেফ হোপফিল্ড তখন ই-মেইল চেক করছিলেন
চন্দ্রজয় আর এআইয়ের সাফ্যলের সঙ্গে রয়েছে শঙ্কাও
বিখ্যাত জাপানি উপন্যাস ‘দ্য থ্রি বডি প্রবলেম’–কল্পকাহিনি হলেও অতি কল্পনার চেয়ে এখানে বিজ্ঞানকে উপস্থাপন করা হয়েছে নিখুঁতভাবে। এ কাহিনিতে দেখা যায় দেখা যায়, ভিনগ্রহের একটা সভ্যতা পৃথিবীর সন্ধান পেয়েছে। তাদের দুর্বৃত্ত রাজা আক্রমণ করে মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দখল করে নিতে চায় পৃথিবীর উর্বরভূমি। জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা যোজন-যোজন এগিয়ে মানুষের চেয়ে; কিন্তু তাদের গ্রহটা আমাদের মতো স্থিতিশীল নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় সেখানে নিত্য ঘটনা। তাই পৃথিবীর সন্ধান পাওয়ার পর রাজার মনে হয়েছিল, যদি পৃথিবীতে সরিয়ে নেওয়া যায় তাদের সভ্যতা, তাহলে বড়সড় বিপর্যয় ছাড়া দীর্ঘদিন শান্তিতে বসবাস করতে পারবে তাদের উত্তর প্রজন্ম। যেহেতু ভূসভ্যতা অতটা উন্নত নয়, তাই সহজেই মানুষকে পরাজিত করে এ ধরাধাম দখল করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়; কিন্তু সাবধান করে দিয়েছিলেন তাদের রাজবৈজ্ঞানিক— তিনি হিসাব করে দেখেছিলেন, পৃথিবীতে তাদের নভোযান পৌঁছুতে সময় লাগবে চারশ বছর।
মহাকাশ ও স্যাটেলাইট গবেষণায় বাংলাদেশের আগ্রহ, সংকট ও সম্ভাবনা
১৯৭২ সালের ২৩ জুলাই মহাকাশ গবেষণায় দূর অনুধাবন বা ‘রিমোট সেনসিং’ প্রযুক্তির উৎকর্ষের ইতিহাসে নিভৃতেই একটি বিপ্লব ঘটে গিয়েছিল। এই দিনে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মত আর্থ রিসোর্স টেকনোলজি স্যাটেলাইট (ইআরটিএস-১, ১৯৭৫ সালে এর নাম পরিবর্তণ করে রাখা হয় ল্যান্ডস্যাট-১) উৎক্ষেপণ করে।