নিবন্ধ
সিআরপি প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এর সাথে একটি বিকেল
আজ (৩ ডিসেম্বর) বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হচ্ছে। এই দিনে এমন একজন মানুষের কথা তুলে ধরতে চাই, যিনি তার কাজের মাধ্যমে আমার মতো হাজারো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন।বাংলাদেশের মানুষ যখন শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মতো গুরুতর সমস্যার সাথে লড়াই করে ক্লান্ত, এই বিষয়ে ঘোর অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখন হাতে আলোকবর্তিকা নিয়ে হাজির হয়েছেন ভ্যালেরি অ্যান টেইলর।

তারেক রহমানের ফেরা না-ফেরা
বিএনপির শীর্ষনেতা তারেক রহমানের দেশে ফেরা না-ফেরা নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে মনে পড়ছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ নামক বিখ্যাত উপন্যাসটির কথা। উপন্যাসের নামটি প্রতীকী। ঔপন্যাসিক এমনভাবে চরিত্রগুলো সাজিয়েছেন, যেন তারা প্রত্যেকেই অদৃশ্য সুতার টানে পুতুলের মতো নড়াচড়া করে।
দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক: বারাহী থেকে পদ্মা, বহ্মপুত্র থেকে যমুনা
রাজশাহী নগরীর মাঝখান দিয়ে শহরের সবচেয়ে বড় যে নালাটা পদ্মা নদী পর্যন্ত গিয়েছে সেটা আসলে একটা নদী ‘বারাহী’। এই বরাহীই এখন শহরের সবচেয়ে বড় ড্রেন। অষ্টাদশ শতকে বৃটিশ ভূগোলবিদ রেনেলের নকশাতে দেখা যায়, উত্তর থেকে একটা নদী এসে রামপুর-বুয়ালিয়াতে বড়কুঠীর পূর্বে গিয়ে পদ্মায় মিলেছে। উনবিংশ শতকে এটাই বারাহী নামে পরিচিতি পায়। স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত এই নদী রাজশাহী শহর থেকে বায়া পর্যন্ত মরা নদী আর নওহাটাতে নারাহী বলে পরিচিত ছিল। বোকের নকশাতে দেখা গেছে, এই বারাহী এক সময় আত্রায়ের মান্দার বিল হয়ে রামপুর-বুয়ালিয়ার উত্তরে তের-খাদিয়ার বিল দিয়ে প্রথমে মহানন্দা এবং তারপর পদ্মায় পতিত হতো। সেসময় এটি যথেষ্ট খরস্রোতা এবং চওড়া ছিল। আর আজকের বিশাল পদ্মা এ এলাকায় এতটা বিস্তৃত ছিল না। তাহলে, পদ্মা কিভাবে বিশাল রুপ ধারণ করল আর বরাহী কিভাবে নালায় পরিণত হলো? ভূমিকম্পের ফলে।
কপ১১: তামাকের হাত থেকে ভবিষ্যৎ রক্ষায় বিশ্বের সাথে একাত্ম বাংলাদেশ
জেনেভায় শুরু হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (WHO FCTC) পক্ষসমূহের একাদশ সম্মেলন (COP11)। এফসিটিসি (WHO FCTC) একটি বৈশ্বিক চুক্তি, যা জনস্বাস্থ্যের গতিপথ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই সম্মেলেনে বিশ্বের প্রায় সব দেশ জেনেভায় একত্রিত হয়েছে এমন এক জনস্বাস্থ্য হুমকির মোকাবিলায়, যা প্রতি বছর লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সেটি হলো-তামাকের ব্যবহার।
খাদ্যযোগ্য প্যাকেজিং: বাংলাদেশের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ
সকালের চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের বদলে যদি আমরা তার প্যাকেটটাই খেয়ে ফেলতে পারতাম? অথবা পানি খাওয়ার পর যদি বোতলটাও খেয়ে ফেলা যেত? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও—এটাই হতে পারে ভবিষ্যৎ!
শিশুদের মুখে গান না থাকলে, মনে কি যুদ্ধ জন্মাবে?
'না না না, পাখিটার বুকে যেন তীর মেরো না/ওকে গাইতে দাও/ওর কণ্ঠ থেকে গান কেড়ো না/ওর গানই যে ফুল ফোঁটার প্রেরণা,'- শিশুদের মুখে গানই তো জীবনের প্রথম রোদ্দুর। শিশুরা যখন গাইতে শেখে, তখন তারা শুধু কণ্ঠে সুর তোলে না, সেই সাথে শেখে ভালোবাসতে, মায়া জন্মায় তাদের কোমল মনে। গান শুধু নিছক বিনোদন বা শিল্প নয়, মানবতারও পাঠ।
ব্যর্থ হতে চলছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে গণতন্ত্রহীন সরকার কাঠামোর একটি অদ্ভুত যোগসূত্র রয়েছে। অবিভক্ত পাকিস্তানে সার্বজনীন ভোটাধিকারে সরকার গঠিত হওয়ার আগে প্রথম গণমাধ্যম কমিশন (পিপিসি: পাকিস্তান প্রেস কমিশন) গঠিত হয়েছিল ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে।
বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কতটা দায় আছে!
বিশ্ব এখন এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মুখোমুখি। প্রযুক্তি, নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক রূপান্তরের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত বদলে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সামাজিক প্রতিষ্ঠান- পরিবার ও বিবাহের ওপর। একদিকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে, বিবাহ বন্ধনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার মতো সমাজে পারিবারিক বন্ধনের কাঠামো এখনো টিকে আছে, তবে দ্রুত ভেঙেও পড়ছে।
প্রত্যন্ত গ্রাম জনগাঁওয়ের মেয়ে ফুটবলারদের পাশে হলিক্রস কলেজ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম জনগাঁওয়ের মেয়েদের দেশ-বিদেশের ফুটবল মাঠ দাঁপিয়ে বেড়ানোর পেছনে অন্যরকম লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেছেন রাজধানীর হলিক্রস কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফাহমিনা হাসিন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নির্ভীকতা আর দৃঢ়তার সঙ্গে খেলতে খেলতেই ওই মেয়েদের কয়েকজন এখন পৌঁছে গেছেন জাতীয় পর্যায়েও। বয়ে আনছেন দেশের জন্য গৌরব আর সম্মানও।
আমাদের মাহফুজা আপা, স্মৃতিতে-স্মরণে
এ লেখা যখন লিখছি, তখন এ কথাই সত্য যে, আমাদের শ্রদ্ধেয় মাহফুজা খানম আপা নিরন্তরের পথে যাত্রা করেছেন। জন্ম নিলে মরতে হবে- এটাই সত্যি; কিন্তু কিছু মানুষ জন্ম নিয়ে শুধু ঘরে বসে থাকেন না। তারা তাদের কাজ দিয়ে দাগ রেখে যান। যে দাগের কারণে তাকে মনে রাখতেই হয়।