আইসিটি
জাপানের সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর যুদ্ধ: সিলিকন ভ্যালির কঠিন লড়াই
এএমডির সিইও জেরি স্যান্ডার্স চিপ ব্যবসায় প্রবেশ করেছিলেন এক যুদ্ধংদেহি মনোভাব নিয়ে, বিশেষ করে তার পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টেলের বিরুদ্ধে; কিন্তু ১৯৮০-এর দশকে ইন্টেল নয়, জাপানই হয়ে উঠেছিল তার নতুন, আরও ভয়ংকর প্রতিদ্বন্দ্বী।
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে আইটি কর্মশালা
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষায় বাস্তব অভিজ্ঞতার গুরুত্ব দিয়ে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে বিশেষ আইটি কর্মশালা করেছে আইটি কোম্পানি ‘সার্ভিসিং২৪’।
সিলিকন ভ্যালির সংকট: জাপানের উত্থান ও আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
আশির দশক। আমেরিকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্প যা একসময় সিলিকন ভ্যালির অহংকার ছিল, হঠাৎ করেই এক তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়ল। জাপানি কোম্পানিগুলো যেন অপ্রতিরোধ্য এক ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছিল। এই গল্পের এক নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নায়ক ছিলেন হিউলেট-প্যাকার্ড (এইচপি)-এর নির্বাহী রিচার্ড অ্যান্ডারসন। এইচপির জন্য কোন মেমরি চিপ কেনা হবে তার কঠিন মানদণ্ড তিনিই ঠিক করতেন। তাই, সেমিকন্ডাক্টর বিক্রেতাদের ভাগ্য অনেকটাই তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত।
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ শুরু করলো ইজ আইটি
জাপানি প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে নিজেদের ভবিষ্যত কার্যক্রম ও পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে জাপানের ইজ আইটি কোম্পানি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ঢাকায় সম্পন্ন হয়েছে কোম্পানিটির ‘আমাদের জাপানি প্রতিনিধিদের স্বাগত, আমাদের পরবর্তী অধ্যায়ের পরিচিতি’ শীর্ষক ইভেন্ট। এতে অংশ নেন মিশন জাপান ব্যাচের শিক্ষার্থী ও অতিথিরা।
ইন্টেলের বিপ্লবীরা: সিলিকনের এক নতুন যুগ
১৯৬৮ সাল, বিশ্ব তখন বার্কলির ছাত্র আন্দোলন আর বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট উত্তালতায় কাঁপছে। এরই মধ্যে ‘প্যালো অল্টো টাইমস’ একটি ছোট্ট অথচ যুগান্তকারী খবর ছাপে, যার শিরোনাম ছিল: ‘ফেয়ারচাইল্ড ছাড়লেন প্রতিষ্ঠাতারা; গড়ছেন নিজেদের ইলেকট্রনিকস কোম্পানি।’ বব নয়েস ও গর্ডন মুর, ফেয়ারচাইল্ডের করপোরেট হস্তক্ষেপে বিরক্ত আর সীমিত স্টক অপশনে অসন্তুষ্ট হয়ে নতুন কিছু গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তাইওয়ান ও এশিয়ায় সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লবের সূচনা
সালটা ১৯৬৮। মার্কিন টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস কোম্পানির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা- মার্ক শেফার্ড ও মরিস চ্যাং- উড়ে এলেন তাইওয়ানের মাটিতে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই: চিপ অ্যাসেম্বলির জন্য একটি নতুন কারখানা স্থাপনের উপযুক্ত স্থান খুঁজে বের করা। তাইওয়ানের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কে টি লি-এর সঙ্গে তাদের বৈঠকটি অবশ্য মসৃণ ছিল না।
এশিয়ার ট্রানজিস্টর গার্লদের সস্তা শ্রমের হাত ধরে বিশ্ব চিপ শিল্পের উত্থান
আধুনিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের একেবারে গোড়ার দিকে, চিপ তৈরির বিপ্লবে এশিয়ার নারী শ্রমিকরা এক অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। যদিও ট্রানজিস্টরের ডিজাইন নিয়ে মূলত পুরুষ কাজ করতেন; কিন্তু সেই ডিজাইন করা চিপকে হাতে ধরে বাস্তব পণ্যে রূপান্তর করার জন্য দরকার ছিল এমন একগুচ্ছ দক্ষ হাত, যা হবে দ্রুত, নিখুঁত এবং একই সঙ্গে সাশ্রয়ী। এই অভাব পূরণ করেছিলেন নারীরা, বিশেষ করে অ্যাসেম্বলি লাইনে কাজ করা নারী শ্রমিকরা।
ট্রানজিস্টরের জাদুতে জাপানের বিস্ময়কর উত্থান
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত তখনো দগদগে। শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল জাপানের প্রযুক্তি খাতকে একেবারে গুঁড়িয়ে দিতে; কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভাবনা বদলায়। তারা বুঝতে পারে, বিশ্বে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে শক্তিশালী জাপানের প্রয়োজন। তাই আমেরিকা তার নিজের নেতৃত্ব বজায় রেখেই জাপানকে প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এআই প্রযুক্তি সত্যের সহযাত্রী না প্রতিদ্বন্দ্বী?
এআই প্রযুক্তির বিকাশ আমাদের জীবনযাত্রার প্রতিটি স্তরে বিপ্লব এনে দিয়েছে। তবে এই অগ্রগতির পাশাপাশি এক অদৃশ্য সংকটও জন্ম নিচ্ছে- সত্য ও মিথ্যার সীমারেখা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা এমন এক বাস্তবতায় বাস করছি, যেখানে চোখে দেখা, কানে শোনা বা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেও পাওয়া তথ্য- সব কিছুই প্রশ্নের মুখে। এআই প্রযুক্তি দিয়ে মিথ্যাকে সত্যের মতো উপস্থাপন করা যাচ্ছে, আবার সত্যকেও এমনভাবে বিকৃত করা সম্ভব হচ্ছে, যা এক ভয়াবহ বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে।
*৭০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ কমাতে সার্ভিসিং২৪-এর স্মার্ট আইটি সল্যুশন*
ডিজিটাল যুগে পণ্য কিংবা সেবা খাতে দেশের অন্যতম বৃহৎ থার্ড পার্টি মেইনটেন্যান্স প্রতিষ্ঠান ‘সার্ভিসিং২৪’ নিয়ে এসেছে সর্বাধুনিক ও সমন্বিত আইটি অবকাঠামো সমাধান—‘ইনফ্রাস্ট্যাক’ ও ‘এইচসিআই’। আরে এতে খরচ কমবে প্ইরায় ৭০ শতাংশ। ইনফ্রাস্ট্যাক হচ্ছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও স্ট্যাক এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যেটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ও সমন্বিত অবকাঠামোগত আইটি সেবা প্রদান করা হবে। আর ‘এইচসিআই’ এর অর্থ হাইপার কনভারজড ইনফ্রাস্টাকচার এটি স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কিং এর সমন্বয়ে সফ্টওয়্যার-ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ও কম্পিউট ফ্রেমওয়ার্ক।