Views Bangladesh Logo

কূটনীতির গোলক ধাঁধায় বাংলাদেশ!

Rased Mehedi

রাশেদ মেহেদী

কূটনীতির গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশের কথা বলি কেন, বিশ্ব রাজনীতিই এখন গোলক ধাঁধার মধ্যে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে যে বাড়তি শুল্ক আরোপের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন, সেটা যুক্তরাষ্ট্রকেই বিশ্ব রাজনীতিতে একঘরে করে ফেলার বড় ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আর সে ক্ষেত্রের ভেতরেই বিশ্ব কূটনীতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। অবশ্যই বাংলাদেশ তার বাইরে নয়।

কূটনীতি খুবই জটিল বিষয়। একেবারে মতিঝিলের গোলক ধাঁধার মতো। অবশ্য এ প্রজন্মের অনেকেই হয়তো মতিঝিলের গোলক ধাঁধার বিষয়টি জানেন না। মুর্শিদাবাদে মতিঝিল নামে একটি স্থান ছিল। এখানে ছিল একটি বিশাল হ্রদ এবং পার্ক। এই পার্কের এক প্রান্তে ছিল মতিঝিলের প্রাসাদ। এই প্রাসাদ বাংলার একাধিক নবাবের বাসভবন ছিল বলেও জানা যায়। কথিত আছে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ঘসেটি বেগম এই ভবনে বসেই ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন। এই প্রাসাদের নির্মাণশৈলী এমনই ছিল যে, এ ভবনে যারা প্রবেশ করতেন তারা আর বের হতে পারতেন না। বিশাল মহল ঘুরে ঘুরে একটি বৃত্তাকার সিঁড়ির গোড়ায় বার বার ফিরে আসতেন। কোন ফটক দিয়ে বের হবেন তা বুঝতে পারতেন না। শুধু মহলের প্রশিক্ষিত প্রহরীর সাহায্য নিয়েই সেই গোলক ধাঁধা থেকে বের হয়ে বাইরে যাওয়ার ফটকের সন্ধান পাওয়া যেত।

এখনকার দিনে কূটনীতিও তাই। কূটনীতিকরা যে দেশেরই হোক না কেন, হাসিমুখে প্রকাশ্যে যে তথ্য দেন, তার পেছনে অন্য কোনো তথ্য লুকিয়ে থাকে, যেটা সাধারণ মানুষের বোধগম্যতার বাইরে থাকে। যেমন ধরুন অধিকাংশ দ্বিপক্ষীয় কিংবা বহুপক্ষীয় আলোচনা শেষেই বলা হয়ে থাকে ‘আলোচনা ফলপ্রসূ’। এরপর দেখা যায়, যে বিষয় সমাধানের জন্য আলোচনা করা হয়েছে সেটা আরও গভীর হয়েছে।

এই তো গত কয়েকদিন আগে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ লেগে গেল। সেই যুদ্ধ আবার আচমকা থেমে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী। যদি কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়েই যুদ্ধ শুরু হয়ে থাকে, তাহলে সেই যুদ্ধে চীন কেন ছায়াবন্ধু হয়ে পাকিস্তানের পক্ষে নামল? ইসরায়েল কেন ভারতকে নিঃশর্ত সমর্থন দিল? আবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কেন সেই যুদ্ধ হঠাৎই থেমে গেল? এসব প্রশ্ন আমরা করতে পারি; কিন্তু উত্তর কোনোদিনই খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশ্ব রাজনীতি কিংবা আঞ্চলিক রাজনীতিকে যা কিছু ঘটে সবই যেন অলৌকিক ঘটনা। আপনি নানা যুক্তি-বিশ্লেষণ হাজির করতে পারেন। নেপথ্যের সত্যের কাছে কোনোদিনই পৌঁছতে পারবেন না। সেই সত্য যে কারা নিয়ন্ত্রণ করে, কার সিন্দুকে তালাবদ্ধ হয়ে থাকে, কেউ কোনোদিন জানতে পারে না।

এখন আবার উল্টো ঘটনা ঘটছে। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশ অমান্য করে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করেছে, এ কারণে শাস্তিস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতের পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত এর প্রতিবাদ জানাল। আর ঠিক সেদিনই জানা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীন সফরে যাচ্ছেন। চীনের তিয়ানজিন শহরে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) ওই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও আসবেন। অতএব, পুতিন-শি জিনপিং-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা প্রবল। চীন যাওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি জাপান ঘুরে যাবেন, যেখানে দেখা হবে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। ২০১৯ সালের পর এটাই হবে মোদির প্রথম চীন সফর।

তবে কূটনীতির জটিল হিসাব-নিকাশ না বুঝলেও খোলা চোখে এটা বোঝা যায়, তিয়ানজিনে পুতিন-শি জিনপিং-মোদি বৈঠকের তাৎপর্য অনেক। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রিয় “শুল্ক শাস্তি” ফর্মুলা হাজির করে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধানের মনেই যথেষ্ট বিরক্তির উদ্রেক করেছেন। সবাই এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের বিকল্প খুঁজছে। সেই বিকল্প তৈরির ক্ষেত্রে রাশিয়া-চীন-ভারত জোট হলে তা হবে সর্বোত্তম। আবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের জঘন্যতম গণহত্যা, বর্বরতায় পশ্চিম ইউরোপের দীর্ঘদিনের মিত্র দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই অবস্থান নিয়েছে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে বিশ্ব রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সুখকর অবস্থানে নেই। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বুদ্ধিহীন ভাবার কোনো কারণ নেই। তার রাজনীতিতে লাভের হিসাব নিশ্চয় আছে, আমরা বুদ্ধিতে যারা অধম, তারা হয়তো বুঝতে পারছি না।

তবে আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান এটা বলে দেয় যে, রাশিয়া-চীন-ভারত জোট হলে সেটা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশের কাছে। তবে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক পরাজয় হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কূটনৈতিক বিজয় হয়েছিল ভারত ও রাশিয়ার। চীনের পরাজয়ের কথাও বলা যায়, তবে চীন সে সময় পাকিস্তানের পক্ষে দূরান্বয়ী সমর্থকের ভূমিকাই পালন করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রত্যক্ষ কূটনৈতিক সমর্থন দেয়নি। এ কারণে চূড়ান্ত অর্থে কূটনৈতিক পরাজয়টা যুক্তরাষ্ট্রের। কারণ ১৯৭১ সালের পর থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এখন পর্যন্ত সেটা যথেষ্ট শক্তিশালী করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। বরং এ অঞ্চলে চীনের আধিপত্য দিন দিন বেড়েছে। ভারত মহাসাগর ছাড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল হয়ে আফ্রিকার উপকূলেও চীন তার নিয়ন্ত্রণ বিস্তৃত করেছে।

চীনের ক্রমাগত আধিপত্য বিস্তার রোধে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে একমাত্র উপায় ছিল ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং ভারত-চীনের মধ্যে স্নায়ুর টানাপড়েন তৈরি ও তা জিইয়ে রাখা। এতদিন যুক্তরাষ্ট্র সেটা পেরেছে। পেরেছে বলেই ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার প্রভাব অনেকখানি আছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি এক সময়ের ভয়ংকর শত্রু ভিয়েতনামের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সখ্য গড়ে উঠেছে ভারতের ভূমিকার ফলেই। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়া মধ্য এশিয়ার দেশ যেমন তাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাকস্তানের মতো দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা আটকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয় ধরে রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভারতের।

কিন্তু এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের একগুঁয়ে অবস্থান পরিস্থিতি আমূল বদলে দেয়ার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রাম্প নীতিতে ভিন্নতা দেখা গেল মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। এতদিন ধরে ডেমোক্র্যাট কিংবা রিপাবলিক দুই শাসনামলেই যুক্তরাষ্ট্রের কট্টরবিরোধী অবস্থান ছিল মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে। পক্ষান্তরে আরাকান আর্মিকে সহায়তা এবং আরকান আর্মিকে ব্যবহার করে আকিয়াব বন্দর অঞ্চলে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রচেষ্টারও গুঞ্জন ছিল আঞ্চলিক কূটনীতিতে; কিন্তু ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর ট্রাম্প নীতিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা গেল। আর সেটি হচ্ছে বহু বছর পর মিয়ানমার সামরিক জান্তার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। একই সঙ্গে আরাকান আর্মির দাপট হঠাৎ ম্লান হয়ে যাওয়া। এ থেকে বোঝা যায়, আকিয়াব বন্দর মাঝখানে রেখে আরাকান আর্মিকে দিয়ে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় আপাতত ভাটা পড়েছে। আর এ ভাটা পড়ার কারণ সম্ভবত হতে পারে আকিয়াব বন্দরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ভারত ও চীনের মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা হয়ে যাওয়া। সম্ভবত, তিয়ানজিনের বৈঠকে সেই সমঝোতাই দৃঢ় হবে। আর সেটা হলে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতির দৃশ্যপটও বদলে যাবে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশই ভারত-রাশিয়া বিরোধী নীতি থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার চার মাসের মাথায় ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। আর চীন ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট স্বীকৃতি দেয়। এ থেকে বোঝা যায়, সে সময় চীনের ভারত বিরোধিতা কতটা কট্টর ছিল! এটাও প্রমাণ হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক অবস্থান যত দ্রুত বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়, কূটনীতিতে অতি অভিমানী চীন সেটা পারে না। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে রাশিয়া-চীন-ভারত জোট হলে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব একেবারেই প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। নতুন মিত্র মিয়ানমারের সামরিক জান্তাও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব বেশি ইতিবাচক অবস্থান তৈরির সামর্থ্য রাখে না। বরং চীনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এতদিন চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকা সামরিক জান্তার ভাগ্যে কি ঘটবে সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে সামনে আসবে।

আর এ কারণেই রাশিয়া-চীন-ভারত জোট হলে তার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর তাৎক্ষণিক এবং সুদূরপ্রসারী দুধরনেরই হবে। তাৎক্ষণিক প্রভাব হিসেবে ভারত বাংলাদেশের ওপর তার প্রভাব শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে। চীন সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতের প্রতিই সমর্থন দেবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র যতটা সম্ভব মিয়ানমার জান্তাকে ব্যবহার করে প্রতিবেশী বাংলাদেশের ওপর নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকটকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারে আরও বেশি উৎসাহী হবে যুক্তরাষ্ট্র। আর সুদূরপ্রাসারী প্রভাব হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অতি ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন টানাপড়েন কিংবা মেরূকরণ ঘটবে। একই ধরনের টানাপড়েন ও মেরূকরণ রাশিয়া ও চীন বলয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

অতএব, বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ হলে সেই গোলক ধাঁধায় পড়তে হবে বাংলাদেশকে। যুক্তরাষ্ট্র না রাশিয়া-চীন-ভারত জোট? যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনের স্বার্থ রক্ষা না ভারতের দাদাগিরিকে মেনে নেয়া? যেদিকেই ছাতা ধরা হোক না কেন কূটনীতির জটিল গোলক ধাঁধা থেকে বের হওয়ার পর পথ সত্যিই জটিলতর হবে। তবে তিয়ানজিনের বৈঠকের মাঝখানে আরও অনেক দিন বাকি। এর মধ্যে ট্রাম্পের নতুন কোনো ট্রাম কার্ড আসতে পারে, ফলে চীন-ভারত সম্পর্কে নতুন কোনো টানাপড়েন হতেও পারে। আবার অন্য কিছুও ঘটতে পারে। যেমন, পুতিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রীতি দাবা ম্যাচের আয়োজন হতে পারে, নরেন্দ্র মোদি চীন সফর শেষ করে ওয়াশিংটনে যেতে পারেন, ট্রাম্প অবকাশ যাপনে যেতে পারেন দিল্লি কিংবা বেইজিংয়ে, এমনকি শি জিনপিং হোয়াইট হাউসে সংবর্ধনা সভাতেও অংশ নিতে পারেন! আসলে এটা তো ধ্রুব সত্যি যে, কূটনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।

রাশেদ মেহেদী: সম্পাদক, ভিউজ বাংলাদেশ

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ