Views Bangladesh Logo
author image

সেলিনা হোসেন

  • President of Bangla Academy

  • থেকে

সেলিনা হোসেন (জন্ম ১৪ জুন ১৯৪৭)[১] বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংকটের সামগ্রিকতা। বাঙালির অহংকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তাঁর লেখায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার গল্প উপন্যাস ইংরেজি, রুশ, মেলে এবং কানাড়ি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[৩] ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি। [৪] বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সেলিনা হোসেন।[৫] ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তাঁকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

একটি আষাঢ়ে গল্প
একটি আষাঢ়ে গল্প

একটি আষাঢ়ে গল্প

সরকারি পদমর্যাদায় তিনি একটি বাড়ি পেয়েছেন। বাড়িটির পাশে আছে একটি ছোট জলাশয়। তৈরি করা জলাশয়। এর চারপাশ পাতা ও সবুজ গাছের সারি দিয়ে ভরা। তিনি ভাবলেন, এই জলাশয়ে নানা রঙের পদ্মফুল ফুটলে অপরূপ দৃশ্যের সৃষ্টি হবে।

রবীন্দ্রনাথ সূর্যের মতো বিকিরণ করছেন আলো
রবীন্দ্রনাথ সূর্যের মতো বিকিরণ করছেন আলো

রবীন্দ্রনাথ সূর্যের মতো বিকিরণ করছেন আলো

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীতে গভীরভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্মরণ করছি। আজ আমি পাকিস্তান পিরিয়ডে রবীন্দ্রনাথ বিরোধিতার বিষয়ে বলতে চাই। কারণ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও রবীন্দ্রনাথবিরোধীরা জাগ্রত আছে। তাই এই নতুন প্রজন্মকে সেই ঐতিহাসিক প্রক্ষাপট জানতে হবে।

বাঙালির মানস ভুবনে বাংলা নববর্ষ দীপ্ত চেতনায় শাণিত
বাঙালির মানস ভুবনে বাংলা নববর্ষ দীপ্ত চেতনায় শাণিত

বাঙালির মানস ভুবনে বাংলা নববর্ষ দীপ্ত চেতনায় শাণিত

বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। দেশজুড়ে এ উৎসবের আয়োজন হয় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায়। মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। তারা জড়ো হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রাঙ্গণে। বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙালির মানস চেতনার দিগবলয়। বাঙালির মানস ভুবনে বাংলা নববর্ষ দীপ্ত চেতনায় শাণিত। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসব বাঙালিকে ঐক্যসূত্রে গেঁথে রাখে। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা নববর্ষে ভারত-বাংলাদেশের দুই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার এপারে-ওপারে দুই দেশের বাঙালি এক হয়ে মিলনমেলার আয়োজন করে। দেশভাগ হয়েছে সাতচল্লিশে। একাত্তরে তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বাংলাদেশ নামে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। দুই দেশের সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া বিভক্ত করতে পারেনি মিলনমেলার ভালোবাসার টান। এভাবে এ সময়ের বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙালির দিনযাপনকে আত্মিক সূত্রে গেঁথেছে। স্বজনহারা মানুষ মিলিত হয় স্বজনকে দেখার টানে।

৭ মার্চের ভাষণ: মানবিক অধিকারকে নিশ্চিত করে
৭ মার্চের ভাষণ: মানবিক অধিকারকে নিশ্চিত করে

৭ মার্চের ভাষণ: মানবিক অধিকারকে নিশ্চিত করে

৭ মার্চ ১৯৭১ সাল। সেদিনের বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বসে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ ভাষণটি শুনেছিলাম, সে সময় ভাবিনি ‘সাতই মার্চের বিকেল’ নামে কোনো উপন্যাস আমি লিখতে পারব। ঐতিহাসিক সেই ৭ মার্চে আমার সঙ্গে ছিল আমাদের বন্ধু নমিতা সান্যাল।

উদ্বোধনী সংখ্যা ৫ : বাংলা সাহিত্যের সম্ভাবনা বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কী?
উদ্বোধনী সংখ্যা  ৫ : বাংলা সাহিত্যের সম্ভাবনা বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কী?

উদ্বোধনী সংখ্যা ৫ : বাংলা সাহিত্যের সম্ভাবনা বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কী?

কোনো সাহিত্যের সম্ভাবনা অন্তর্নিহিত থাকে তার ভাষার মধ্যে। আর ভাষার প্রাণ সজীব থাকে সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে; কিন্তু কোনো ভাষাকে বিস্তার লাভের জন্য বেশি প্রয়োজন, সেই ভাষার অর্থনৈতিক প্রবাহ এবং সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। প্রসঙ্গত, বাংলা সাহিত্যের অর্থনৈতিক বাজার খুব ছোট কিন্তু এই ভাষার জনগোষ্ঠী বিশাল। মাতৃভাষা হিসেবে বিশ্ব ভাষা তালিকায় বাংলার অবস্থান পঞ্চম এবং বহুল ব্যবহৃত ভাষা হিসেবে এর অবস্থান সপ্তম। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বাংলায় কথা বলেন ২২ কোটির বেশি মানুষ। এই ছোট অর্থনৈতিক বাজারে লেখক, প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট সহযোগীরা খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপন করতে পারেন না। এই বিষয়টি বাংলা সাহিত্য সম্ভাবনার অন্যতম অন্তরায়। তবে বিশ্বাস করি, এই অন্তরায় আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কাটিয়ে উঠবে।

নারীর অগ্রগতি ও একজন জান্নাতুল ফেরদৌস
নারীর অগ্রগতি ও একজন জান্নাতুল ফেরদৌস

নারীর অগ্রগতি ও একজন জান্নাতুল ফেরদৌস

অতি সম্প্রতি বিবিসি বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর যে তালিকা করেছে, সেখানে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক লেখক ও মানবাধিকারকর্মী। এ ছাড়া তিনি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি জান্নাতুল ফেরদৌসকে চিনি না, নামও জানতাম না, যদি বিবিসি বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর তালিকায় তাকে স্থান না দিত। এটা আমার কিংবা আমাদের ব্যর্থতা। বিবিসির তালিকায় তার নাম প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে সে যেমন নিজেকে সম্মানিত করেছে, তেমনি আমাদেরও। কারণ ওই তালিকায় জান্নাতুলের সঙ্গে আরও আছেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, মেয়েদের ব্যালন ডি’অরজয়ী আইতানো বনমাতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞ টিমনিত জিবরু ও হলিউড অভিনেত্রী আমেরিকা ফেরেইরার মতো নারীরা।