Views Bangladesh Logo
author image

চিররঞ্জন সরকার

  • কলামিস্ট

  • থেকে

কলামিস্ট

ট্রাম্প কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে?
ট্রাম্প কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে?

ট্রাম্প কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে?

শি জিনপিং, নরেন্দ্র মোদি এবং ভ্লাদিমির পুতিন- তিনজনই তাদের নিজ নিজ ভূরাজনৈতিক পরিসরে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র নেতাদের একজন। যখন এই তিন নেতা একই টেবিলে বসে বৈঠক করেন, তখন শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক কূটনীতিতেও তার প্রতিফলন ঘটে।

গুপ্ত রাজনীতির অপচর্চা
গুপ্ত রাজনীতির অপচর্চা

গুপ্ত রাজনীতির অপচর্চা

বাংলার রাজনীতিতে যেন নতুন এক নাট্যমঞ্চের জন্ম হয়েছে। একসময় রাজনীতি মানেই ছিল প্রকাশ্য লড়াই- কে কত জোরে স্লোগান দিতে পারে, কে কত বড় মিছিল নামাতে পারে, কে কতটা উঁচু কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ কিংবা ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে জনতাকে মাতিয়ে তুলতে পারে। তখন রাজনীতিকরা পরিচয় লুকাতেন না, বরং গর্ব করতেন- ‘আমি অমুক দলের কর্মী, আমি অমুক মতের অনুসারী।’ কিন্তু সময় বদলেছে। সেই সরল ঘোষণা আজ সেকেলে মনে হয়। রাজনীতির মঞ্চে এখন নতুন ঢেউ- প্রকাশ্যে যা নয়, আড়ালে সেটাই আসল; নাম তার গুপ্ত রাজনীতি।

সাদা পাথরের কান্না আর লুটপাটের মহাকাব্য
সাদা পাথরের কান্না আর লুটপাটের মহাকাব্য

সাদা পাথরের কান্না আর লুটপাটের মহাকাব্য

বাংলাদেশ—এমন এক দেশ, যেখানে ইতিহাস, রাজনীতি আর চুরি—এই তিনটি শব্দ যেন জন্ম থেকেই হাত ধরাধরি করে চলেছে। এখানে নদীর মতোই সততার প্রবাহও কখনো কখনো শুকিয়ে যায়। প্রকৃতি যেমন ধীরে ধীরে রূপ হারায়, সৎ মানুষও তেমনি বিলুপ্তির পথে হাঁটে।

ড. ইউনূসের ভাষণ: উচ্চাশা নাকি আশ্বাসের পুনরাবৃত্তি?
ড. ইউনূসের ভাষণ: উচ্চাশা নাকি আশ্বাসের পুনরাবৃত্তি?

ড. ইউনূসের ভাষণ: উচ্চাশা নাকি আশ্বাসের পুনরাবৃত্তি?

জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে যেভাবে উচ্চাভিলাষী রূপরেখা উপস্থাপন করলেন, তা শুনে প্রথমত মনে হতে পারে- এই সরকার সত্যিই কিছু পরিবর্তন করতে চায়; কিন্তু এই উচ্চাশার রঙিন বয়ানের পরপরই মনে পড়ে যায়- আমরা তো এরকম কথা বহুবার শুনেছি। বিভিন্ন সরকার, বিভিন্ন মুখ আর বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা এই জাতিকে বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, নতুন সূচনার ডাক দিয়েছে, আবার নিজেদের সুবিধামতো সেই সূচনাকেই অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতায় ভর করে আজকের ভাষণ শুনে দেশের মানুষ আশাবাদী হওয়ার বদলে সংশয়গ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রশ্ন জাগে- এ কি আবারও সেই পুরোনো খেলা, কেবল মুখপাত্রটা বদলে গেছে?

চাঁদাবাজি: এক উত্তরাধুনিক বিপ্লবী সংস্কৃতি
চাঁদাবাজি: এক উত্তরাধুনিক বিপ্লবী সংস্কৃতি

চাঁদাবাজি: এক উত্তরাধুনিক বিপ্লবী সংস্কৃতি

‘চাঁদাবাজি’- শব্দটি শুনলেই মনে এক মিশ্র অনুভূতি জাগে। যেন এটি বাংলার নিজস্ব এক লোকজ ঐতিহ্য যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ঘাম, রক্ত আর রাজপথের ধুলোয় মিশে আজকের আধুনিক সমাজে এক স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে। একসময় লাঙল ছিল কৃষকের অস্ত্র, আর এখন তার জায়গা দখল করেছে হল গেট চাঁদা, মিছিল চাঁদা, ইফতার পার্টি চাঁদা এবং নতুন সংযোজন- আন্দোলনের চাঁদা।

ছাত্রদের কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হতে দেয়া যাবে না
ছাত্রদের কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হতে দেয়া যাবে না

ছাত্রদের কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হতে দেয়া যাবে না

ছাত্রসমাজ একটি জাতির সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও গতিশীল অংশ। তাদের মধ্যে থাকে আদর্শবাদ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস, এবং পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার এক প্রকার স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব। তারা কেবল একটি নির্দিষ্ট বয়সের জনগোষ্ঠী নয়, বরং পরিবর্তনের বার্তাবাহক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। আমাদের দেশের ইতিহাসে ছাত্র আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যায়- বাংলা ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাংলাদেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্ররাই। তারা ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে জাতির প্রহরী।

...