লম্বা ছুটিতেও আশানুরূপ পর্যটক নেই বান্দরবানে
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও ঈদের লম্বা ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক আসেননি পর্যটনস্পট সমৃদ্ধ বান্দরবানে। জেলার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রুমও ভরেনি ঈদের ছুটির দিনগুলোতে।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও ঈদের লম্বা ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক আসেননি পর্যটনস্পট সমৃদ্ধ বান্দরবানে। জেলার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রুমও ভরেনি ঈদের ছুটির দিনগুলোতে।
বান্দরবানের থোয়াইংগ্যাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার মহোৎসবে মেতেছে পাহাড় খেকোরা। দিন-রাত স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা চললেও স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে ও রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে এই পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ড চলছে। এতে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরদিকে বর্ষায় ভূমিধসের কারণে প্রাণহানীর শঙ্কাও বাড়ছে।
বান্দরবানের পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে 'রোজেলা' টকপাতা ফলের। পাতা, আঁশ এবং ফল তিনটি অংশই ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় ভিটামিন সমৃদ্ধ ও ভেষজ ভরা এই ফলের কদর দিনদিনই বাড়ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে।
বান্দরবানে পাহাড়ি পথে পথে শোভা পাচ্ছে লাল-হলুদ-নীল-সোনালি রঙের ফুল। ভ্রমণকারীদের যে কেউই দেখে ভাবতে পারেন হয়ত ভিন্ন কিছু। যেন নববধূর সাজে কারও অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে কেউ। জেলা প্রবেশপথসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো এখন সেজেছে এমনি, যেন বধূ সেজে বসে আছে ওই পাহাড়ি কন্যা বান্দরবান।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, পোকার উপদ্রব ও সেচ সংকটে আমের মুকুল ও গুটি ঝরে পড়ায় আশানুরূপ ফলন নিয়ে শঙ্কায় বান্দরবানের আমচাষিরা। খরচ কমাতে ও বেশি লাভের আশায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে কাঁচা আম বিক্রি করে দিচ্ছেন বাগানিরা।
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সাজানো-গোছানো পরিপাটি পাহাড়ি গ্রাম মুনলাইপাড়া। প্রতিটি মাচাং ঘরের আঙিনায় লাগানো জবাসহ হরেকরকম ফুলের গাছ সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে আরও বহুগুণে। সাঙ্গু নদীর পাশ ঘেঁষে গড়ে তোলা পাড়াগ্রামটি দর্শনার্থীদের স্বাগত জানায় ইকো সিস্টেমের হোম স্টে ও পাহাড়ি রান্না, রোমাঞ্চকর ট্রেকিং, কায়াকিং, দেশের দীর্ঘতম জিপ লাইন ও বিভিন্ন ইভেন্ট দিয়ে।