ভারতের পাশে থাকার ঘোষণা শি জিনপিংয়ের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী তিয়ানজিনে। বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
রোববার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী চীনের শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকে মোদি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সীমান্তে শান্তি রক্ষা এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ জোরদারের বিষয়েও আলোচনা করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ভাষ্য অনুযায়ী, বৈঠকে মোদি সন্ত্রাসবাদকে প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, সন্ত্রাসবাদ ভারত ও চীন উভয়ের জন্যই বড় হুমকি। এ বিষয়ে ভারতের আহ্বানে চীন সমর্থন জানিয়েছে।
এর আগে গত জুনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ না করায় যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ভারত। পরিবর্তে ঘোষণায় বেলুচিস্তানের হামলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা পরোক্ষভাবে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর নয়াদিল্লি ও বেইজিং সম্পর্কের নতুন সমীকরণে এগোতে শুরু করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে বলেন—ভারত ও চীনকে কৌশলগত স্বশাসন বজায় রাখতে হবে এবং সম্পর্ককে তৃতীয় কোনো দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা উচিত নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতেও দুই দেশকে একই অবস্থান গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন মোদি ও শি জিনপিং।
এদিকে সোমবার এসসিও সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পেহেলগাম হামলা ও ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর এটাই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তিন বছর পর সরাসরি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিলেন মোদি। ২০২৩ সালে ভারত আয়োজক হলেও সম্মেলন হয়েছিল অনলাইনে, আর ২০২৪ সালে কাজাখস্তানের সম্মেলনে যোগ দেননি তিনি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে