চীনে খুলে দেওয়া হলো বিশ্বের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে টানেল
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে যান চলাচলের জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে টানেল খুলে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ‘তিয়ান শান শেংলি’ নামক এই সুড়ঙ্গপথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
২২.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি মূলত ‘জি০৭১১ উরুমকি-উলি এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পের প্রধান অংশ। এই সুড়ঙ্গপথ চালুর ফলে উত্তর ও দক্ষিণ জিনজিয়াংয়ের সংযোগকারী দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে এখন কয়েক ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন এই এক্সপ্রেসওয়ে টানেলের ফলে উরুমকি এবং কোরলা শহরের মধ্যকার দূরত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আগে এই দুই শহরের মধ্যে যাতায়াতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন তা মাত্র ৩ ঘণ্টায় সম্পন্ন করা যাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই প্রকল্পটি চীনের মূল অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ইউরেশীয় দেশগুলোর সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে। এটি বেইজিং-তিয়ানজিন-হেবেই, ইয়াংজি রিভার ডেল্টা এবং গুয়াংডং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে এরিয়ার মতো বাণিজ্যিক অঞ্চলগুলোকে শক্তিশালী সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসবে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া এই দীর্ঘতম টানেলটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৬.৭ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৬.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। প্রতিকূল পরিবেশে নির্মিত এই টানেলটি মাটির নিচে সর্বোচ্চ ১,১১২.২ মিটার গভীরতায় অবস্থিত। এটি ১৬টি ভূতাত্ত্বিক ফল্ট জোন বা চ্যুতি রেখার ওপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। এছাড়া তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকি, প্রচণ্ড শীত এবং উচ্চ-উচ্চতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুড়ঙ্গপথটি তৈরি করেছে ‘চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি’।
চায়না ডেইলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে মাঝারি ও ভারী ট্রাক ব্যতীত সব ধরনের হালকা যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে