Views Bangladesh Logo

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার

দুনিয়ার নিরস্ত্র মানুষ আজ অস্ত্রবাজ শক্তির হাতে জিম্মি

ণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বের ৩০০ বছরের গণতান্ত্রিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে গণতন্ত্র কয়েকটি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্রসমূহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সমস্ত দেশেরও মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। মানবাধিকার বিশ্বজুড়ে একটি চর্চিত বিষয়। কষ্টের কথা বিশ্বজুড়ে অহরহ লঙ্ঘিত বিষয়ও মানবাধিকার। মানবাধিকার দুটি শব্দের একত্রিত রূপ; মানব ও অধিকার। সহজ কথায় মানবের অধিকারই মানবাধিকার। মানুষ যখন তার অধিকার ঠিকভাবে পায় না তখনই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর তখনই বিশ্বজুড়ে শোরগোল ওঠে।

বিশ্বব্যাপী নানা সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়-আসয় নিয়ে চর্চা হয়। কেন মানুষ তার সঠিক অধিকার পায় না তা আজন্ম লালিত জিজ্ঞাসা।গেল দশক থেকে বিশ্বজুড়ে বাড়তে শুরু করে পরাশক্তিগুলোর মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে একপ্রকার সরাসরি যুদ্ধে নেমেছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই গত বছর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে বহুগুণে। এর মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়ছে আরেক যুদ্ধ, যা পাল্টে দিতে পারে গোটা দুনিয়ার মানচিত্র। মধ্যপ্রাচ্য যেন এক অস্থিরতার প্রতীক। নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। যদিও সরাসরি স্থলযুদ্ধ এখনো পূর্ণমাত্রায় ছড়িয়ে পড়েনি, তবে আকাশপথে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা, হুমকি ও কূটনৈতিক যুদ্ধ এরই মধ্যে গোটা বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নাড়া দিয়েছে। সংঘাতের এই ঘূর্ণিপাকে পৃথিবী এখন যেন এক নাজুক সরু সেতুতে হাঁটছে। ইরান-ইসরায়েল বিরোধ দীর্ঘদিনের।

সম্প্রতি এটি এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ইসরায়েলের গাজায় আগ্রাসন এবং ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের সক্রিয়তা এই সংঘাতকে এক বহুমাত্রিক রূপ দিয়েছে। এই উত্তেজনার প্রভাব কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। একদিকে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, অন্যদিকে বিশ্ব শেয়ারবাজারে ছড়াচ্ছে অনিশ্চয়তা। ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর যেভাবে ‘অয়েল ইমবার্গো’ বিশ্ব অর্থনীতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, সেই স্মৃতি আবার ফিরতে শুরু করেছে বিনিয়োগকারীদের মনে। বাংলাদেশের মতো দেশ, যাদের আন্তর্জাতিক বাজার ও প্রবাস আয়ে অর্থনীতি অনেকখানি নির্ভরশীল, তারাও এই সংঘাতের আঁচ টের পাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যদি উত্তেজনা বাড়ে, তবে প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা, রেমিট্যান্সপ্রবাহ ও জ্বালানি আমদানিতে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কাঁচামালের দাম বাড়ায় দেশের মূল্যস্ফীতিরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক শান্তিপ্রয়াস ব্যর্থ বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো নীতি, জাতিসংঘ মহাসচিবের অসহায় বিবৃতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরায়েলের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার দেউলিয়াত্বের দৃষ্টান্ত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বুলি যারা সবচেয়ে বেশি আওড়ায়, তারাই ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এ এক নির্মম বাস্তবতা। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো, এই যুদ্ধ এখন আর কেবল রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে নেই। এটি ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের হৃদয়ে। মুসলিম বিশ্বের তরুণরা ক্ষোভে ফুঁসছে, পশ্চিমা দেশে মুসলিমবিরোধী ঘৃণা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে, অ্যান্টিসেমেটিজম ও ইসলামোফোবিয়া দুটিই বেড়েছে নতুন করে। ফলে যুদ্ধ যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই, তেমনি এটি এক সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধেও রূপ নিচ্ছে।

এই মুহূর্তে যা প্রয়োজন, তা হলো দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য নিরপেক্ষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, বাস্তবসম্মত আলোচনার প্ল্যাটফর্ম এবং দুই পক্ষের ওপর এক ধরনের আন্তর্জাতিক চাপ, যাতে তারা সহিংসতা পরিহার করে। শুধু ইরান বা ইসরায়েল নয়, এই আগুনে গোটা বিশ্ব পুড়ছে। আর যদি এই আগুন নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক বাস্তবতায় রূপ নিতে পারে। শুধু মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি নয়, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যতের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। তাই বিশ্বসম্প্রদায়ের উচিত এই আগুনে ঘি ঢালা নয়, আগুন নেভাতে উদ্যোগী হওয়া। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, ইরানকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা-সবকিছু ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র ছত্রচ্ছায়ায় পরিচালিত হলেও এর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ধীরে ধীরে জমে উঠছে অস্বস্তি।

যুদ্ধকবলিত গাজা উপত্যকায় কয়েক হাজার শিশু ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর ছবি ইসরায়েলি তরুণদের মনেও প্রশ্ন ছড়িয়েছে আমরা কি সত্যি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি, না শুধু প্রতিশোধ নিচ্ছি?তেল আবিব,হাইফা,জেরুজালেমের অলিগলিতে যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বপ্ন দেখে, তারা এখন সরকারের যুদ্ধনীতি নিয়ে বিরক্ত, আতঙ্কিত এবং বিষণ্ন। কেউ প্রতিবাদ করছে, কেউ আবার ভয়ে মুখ খুলছে না। এ যেন এক ‘মূক মতামত’-এর জগৎ, যেখানে চিন্তাগুলো গলা টিপে ধরা, কণ্ঠস্বরগুলো পুলিশি নজরদারিতে নীরব। অন্যদিকে ইরানের অভ্যন্তরেও পরিস্থিতি কম জটিল নয়। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের রণহুংকার আর সর্বোচ্চ নেতার যুদ্ধোন্মাদনা হয়তো রাষ্ট্রীয় প্রচারে সর্বত্র বিদ্যমান, কিন্তু বাস্তবতা হলো দেশটির বড় অংশের তরুণ, মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যুদ্ধ চায় না।অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত, মুদ্রাস্ফীতিতে ক্লান্ত, ধর্মীয় দমননীতিতে বিপর্যস্ত এই জনগোষ্ঠীর কাছে যুদ্ধ মানে আরেক ধাক্কা।এখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।

পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো একদিকে যুদ্ধ থামানোর কথা বলছে, অন্যদিকে অস্ত্র বিক্রি করে চলেছে ইসরায়েলকে। আবার কেউ কেউ ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়াস চালাচ্ছে। বিশ্বশান্তির নামে এই দ্বিচারিতা ও কৌশলী কণ্ঠরোধ যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে,আর মূক বন্ধ করে রাখছে জনগণের অভিমতকে। এর সঙ্গে একটি যুদ্ধবাজ, দখলবাজ রাষ্ট্র কথা বলছে বিজয়ের ভাষায়, অথচ মানুষ বলছে হারানোর কান্নায়। যুদ্ধ আজ শুধু এক সামরিক অভিযান নয়, এটি দুই দেশের নাগরিক মননে গভীর এক শোকগাথার রূপ নিয়েছে।যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তড়িঘড়ি করে জি-৭ বৈঠক ত্যাগ করে বিমানে উঠছিলেন। বিমানের দরজায় দাঁড়িয়ে তিনি দম্ভ করে জানালেন, ‘ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মতো একই ভাগ্য অপেক্ষা করছে ইরানি নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির জন্য। আমরা খামেনির অবস্থান জানি। তবে তাঁকে এখনই হত্যা করব না। সামনে যুদ্ধের চেয়ে আরো নতুন কিছু ঘটতে যাচ্ছে।

আমরা জানি দম্ভ, অহংকার মানুষের পতন ত্বরান্বিত করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে উক্তি করেছেন, সেটি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। এটি এক অস্বাভাবিক মস্তিষ্কের প্রতিফলন,যা খোদ আমেরিকাবাসী ভালোভাবে নিচ্ছে না। এমন মারমুখী প্রেসিডেন্ট তারা চায়নি। মনে হচ্ছে, তিনি যেন এক নাজুক সরু সেতুতে হাঁটতে গিয়ে আটকা পড়ে গেছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট, মৃত্যু-শোককে তিনি কখনোই পাত্তা দেন না, এটিই তার প্রমাণ। যখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ধীরে ধীরে আরো নতুন এক ভয়ংকর পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে, তখন এই শোকের মতামতকেই গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ হয়তো কৌশলগত অবস্থান বদলাবে, হয়তো ভূ-রাজনীতির ভারসাম্য পাল্টাবে, কিন্তু দুই দেশের মানুষ যে হারিয়েছে এবং হারাবে সন্তান,সহায়-সম্বল, শান্তি ও স্বপ্ন। সে শোক অব্যক্ত থাকলেও অমোচনীয়। তাই এই শোকের মতামত-ই আসলে মানবতার শেষ আশ্রয়।

এখন প্রশ্ন একটিই, এই যুদ্ধবাজ ও দখলবাজদের মৃত্যুকূপের দিকে ধাবিত নাজুক সরু সেতু থেকে অন্যত্র সরাবে কে? তারা কি কারো কথা শুনবে, নাকি শুধু যুদ্ধের দামামাই বাজবে অবিরাম? মানবসভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে মানবিক সমাজ, রাষ্ট্র, পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে সৃজনশীল চিন্তা ও উন্নত পৃথিবীর জন্য যুদ্ধ বন্ধের বিকল্প নেই। যুদ্ধ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে, ভোগবাদী, দখল দারিত্ব, চরম আত্মকেন্দ্রিকতার চিন্তাকে জাগিয়ে তোলে। ফলে মানুষ দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ, খুন, হত্যার মতো কাজে নিজেকে জড়িয়ে একটা অমানবিক সমাজ গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে পৃথিবীকে বাঁচানো জরুরি হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোকে অস্ত্র বিরতির সকল শর্ত মানতে হবে এবং সেই সাথে সকল প্রকার অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। সাম্রাজ্যবাদ শক্তিগুলো তাদের অস্ত্র ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে, এই ব্যবসার প্রসার ঘটাতে দেশে দেশে এবং দেশের অভ্যন্তরে নানা কৌশলে যুদ্ধ বাঁধিয়ে রেখেছে।

পৃথিবীর পরাশক্তি দেশগুলো প্রতি বছর সামরিক খাতে যে পরিমাণ ব্যয় করে যদি এক বছর এই ব্যয় সংকোচন করে তবে সেই পরিমাণ অর্থ দিয়ে গোটা পৃথিবীর মানুষের খাদ্য এবং শিক্ষার নিশ্চয়তা করা সম্ভব হতো। আজকের পৃথিবীর জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন নয়, প্রয়োজন মানবিক শক্তি, মূল্যবোধ ও মানবিক শিক্ষার। বর্তমানে মানবাধিকার এক বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। প্রকৃত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ কেবল তখনই সম্ভব হবে, যখন তা মানুষ সংক্রান্ত প্রকৃত বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও দর্শন থেকে উৎসারিত হবে। ফিলিস্তিনে মানুষ মার খেয়েছে দেদার ইসরায়েলের আগ্রাসনে। একে একে বের হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞের আরো বিভৎস খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ভোগাচ্ছে বিশ্বকে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ।

সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধ বিশ্বকে অস্থির করে রেখেছে। যুদ্ধ মানেই মানবাধিকারের পরম লঙ্ঘন। নির্বিচারে সাধারণ মানুষ মার খাচ্ছে। জীবনই যেখানে থাকে না সেখানে মানবাধিকার সাধারণ হিসাব আর কি করা যায়? আর এসব বিশ্ব মোড়লদের আজব কূটচাল। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের অন্যরকম ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ। বিশ্ব শাসনের অদ্ভুত এক চলমান খেলা। চারপাশে মানবতা নীরবে-নিভৃতে কাঁদছে; কিন্তু শোনার কিংবা দেখার কেউ নেই। দুনিয়ার নিরীহ নিরস্ত্র মানুষ আজ জালিম শোষক-অস্ত্রবাজ শক্তির হাতে জিম্মি।

প্রকৃতপক্ষে নিরীহ জনগণের অধিকার নিয়ে দুনিয়াব্যাপী যাদের কথা বলার সামর্থ্য আছে, তারা কিন্তু জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসছে না বিধায় দ্বন্দ্ব থামছে না। একইসঙ্গে ক্ষমতাধর ও শাসকদের ভাবনার উদয় হতে হবে বৈষম্য-নির্যাতন দূর করে একটি শোষণহীন শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনের জন্য মানবাধিকার সুরক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

রায়হান আহমেদ তপাদার: গবেষক ও কলাম লেখক

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ