দলীয় প্রতীক শাপলা ও ধানের শীষ নিয়ে বিতর্ক কেন?
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন প্রত্যাশী বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ ‘গমের শীষ’ প্রতীক চেয়েছিল। বিএনপি তখন এর বিরোধিতা করে বলেছিল, গমের শীষ আর ধানের শীষ দেখতে একইরকম। সুতরাং ধানের শীষের ভোটাররা ভুল করে গমের শীষে ভোট দিতে পারেন। আবার উল্টোও হতে পারে। এরকম বাস্তবতায় বিএনএফ গমের শীষের বদলে ‘ধান গাছ’ প্রতীকের জন্য আবেদন জানায়। যদিও তাদের ‘গমের শীষ’ বা ‘ধান গাছ’ কোনোটাই না দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখতে বলা হয়! অর্থাৎ বিএনএফকে প্রতীক দেয়া হয় টেলিভিশন। ২০১৩ সালে ১৮ নভেম্বর তারা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়। তাদের নিবন্ধন নম্বর ৪২। যদিও ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপিকে প্রতীক দেয়া হয়েছিল সোনালি আঁশ।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলীয় প্রতীক ধান, গম বা এরকম খাদ্যনির্ভর বস্তুগুলোর ব্যাপারে কেন আগ্রহী বা তারা কেন এতটা ‘খাদ্যসচেতন’- ফেসবুকে এরকম একটি পোস্ট দিয়েছিলাম ২০১৩ সালে। তখন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যিনি বর্তমানে একটি সংস্কার কমিশনের প্রধান, আমার ওই পোস্টের নিচে লিখেছিলেন: ‘ঠিকই ধরেছেন খাদ্যসচেতন; কেননা ব্যাপারটা খাওয়া-দাওয়ারই তো। মানে যেভাবে পারা যায়, সেভাবেই খাওয়া-দাওয়া করার জন্যই তো রাজনীতি। তাই না?’
‘পল্লীবন্ধু’ এরশাদের জাতীয় পার্টির মার্কাও লাঙ্গল। খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যার ভূমিকা অত্যন্ত জোরালো। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতিতে এর গুরুত্ব হাল আমলে কিছুটা হ্রাস পেলেও যে ট্রাক্টরের মাধ্যমে এখন চাষাবাদ করা হয়, সেটাও এক প্রকারের লাঙ্গল। যদিও বারবার ভাঙনে অভ্যস্ত জাতীয় পার্টিতে সম্প্রতি আরেকদফা ভাঙন হয়েছে। এর আগে জাতীয় পার্টি অন্তত তিনবার ভেঙেছে। যেমন নির্বাচন কমিশনে এরশাদের মূল জাতীয় পার্টির বাইরেও এখন আরও তিনটি জাতীয় পার্টি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে জাতীয় পার্টি- জেপি (বাইসাইকেল), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল)। সম্প্রতি যে ভাঙন হলো অর্থাৎ দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো, তার মধ্য দিয়ে আরেকটি জাতীয় পার্টির আত্মপ্রকাশ হয়তো এখন সময়ের ব্যাপার। যদিও সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। আসা যাক দলীয় প্রতীকে।
বড় দলগুলোর প্রতীক
বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শাসন করা দল আওয়ামী লীগ, যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে ইসিতে যাদের নিবন্ধনও আপাতত স্থগিত, সেই আওয়ামী লীগের প্রতীক হচ্ছে নৌকা।
খাদ্য উৎপাদন, সংগ্রহ এবং বিপণন প্রক্রিয়ায় নৌকার ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে যে মাছে-ভাতে বাঙালিত্বের কথা বলা হয়, সেই মাছ ধরার প্রক্রিয়ায় নৌকাই প্রধান বাহন। মাছ ধরতে সমুদ্রে ইঞ্জিনচালিত নৌকা যাতায়াত করলেও নদীতে এখনো ইঞ্জিনবিহীন ‘লগিবৈঠা’র নৌকাই ভরসা।
মজার ব্যাপার হলো, মাছে-ভাতে বাঙালির মাছ ও ভাতের সংস্থান নিশ্চিত করতে দেশের প্রথম সারির তিনটি দলের ভূমিকা অনন্য এবং একটি অপরটির পরিপূরক। যেমন ভাতের সংস্থান করছে ধান, মানে ‘ধানের শীষ’ অর্থাৎ বিএনপি। ভাতের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জোরালো ভূমিকা রাখছে ‘লাঙ্গল’ মানে এরশাদের জাতীয় পার্টি আর মাছের সংস্থান করছে ‘নৌকা’ অর্থাৎ আওয়ামী লীগ। জামায়াতের দাঁড়িপাল্লার ভূমিকাও কম নয়। কারণ খাদ্য মাপার যন্ত্র না থাকলে সমাজে কী বিচ্ছিরি অবস্থা তৈরি হতো ভাবুন। তার মানে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে খাদ্যসচেতনতা শুরু থেকেই ছিল। এবার আসা যাক প্রতীক নিয়ে হালের বিতর্ক প্রসঙ্গে।
শাপলা নিয়ে বিতর্ক
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গত ২০ জুন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে যেখানে তারা দলীয় প্রতীক চেয়েছে শাপলা; কিন্তু শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ওঠে এই কারণে যে, শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক। অতএব, একটি দেশের জাতীয় প্রতীক কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে না। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ‘প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক হইতেছে উভয় পার্শ্বে ধান্যশীর্ষবেষ্টিত, পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা, তাহার শীর্ষদেশে পাট গাছের তিনটি পরস্পর-সংযুক্ত পত্র, তাহার উভয় পার্শ্বে দুইটি করিয়া তারকা।’
অর্থাৎ বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের মূল বিষয় হচ্ছে শাপলা। তাকে ঘিরে থাকা ধানের শীষ, পাট গাছের পাতা ও তারকা হচ্ছে শাপলাকে ঘিরে থাকা নকশার অংশ। সেই হিসেবে দূর বা কাছ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের দিকে তাকালে মনে হবে শাপলাই জাতীয় প্রতীক। বিতর্কটা এ কারণেই।
এরকম বাস্তবতায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বরাদ্দের জন্য প্রতীক সংখ্যা ৬৯ থেকে বাড়িয়ে ১১৫টি করলেও সেখানে শাপলা ও দোয়েল রাখেনি নির্বাচন কমিশন। তার মানে এনসিপি তো বটেই, কোনো রাজনৈতিক দলই তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ বা ‘দোয়েল’ পাবে না। অবশ্য এনসিপির আবেদনে পছন্দের প্রতীকের তালিকায় শাপলা ছাড়াও ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত করা হবে না মর্মে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতেও কোনো কোনো দল শাপলা প্রতীক চেয়েছিল; কিন্তু দেয়া হয়নি। কমিশনার বলেন, জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে আইন আছে। তবে জাতীয় ফুল বা ফলের বিষয়ে আইন করা হয়নি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন: ‘শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়। জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। একইভাবে ধানের শীষ, পাট পাতা এবং তারকাও জাতীয় প্রতীকের অংশ। শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না।’
সারজিসের এই ব্যাখ্যাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। কেননা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক ধানের শীষ নয়, শাপলাই। বরং ধানের শীষ, পাট পাতা ও তারকা হচ্ছে শাপলার অলঙ্করণ। প্রতীকের প্রাণকেন্দ্র শাপলা। প্রতীকের অলঙ্করণকে প্রতীক বলা যায় না। যেমন ধানের শীষ, পাট পাতা বা তারকাকে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বলার সুযোগ নেই। বরং জাতীয় প্রতীক বললে সাধারণ মানুষও শাপলাকেই বোঝে।
প্রশ্ন হলো, শাপলার প্রতীকের ব্যাপারে এনসিপির এত আগ্রহ কেন? জাতীয় প্রতীকের অংশ ধানের শীষ বিএনপির প্রতীক বলে? আর একটি দলের প্রতীক কী, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নাকি ওই দলের কর্মসূচি এবং দলের নেতৃত্বে কারা আছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ?
দোয়েল পাখিকেও রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি ইসি। প্রশ্ন হলো, দোয়েল কেন নয়? জাতীয় পাখি বলে? জাতীয় ফল কাঁঠাল যদি দলীয় প্রতীক হতে পারে, তাহলে জাতীয় পাখিতে কী সমস্যা, সেটি অবশ্য ইসি ভালো বলতে পারবে।
দলীয় প্রতীকে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ
বর্তমানে নিবন্ধিত ৫১টি দলের মধ্যে ২২টি দলে প্রতীকে কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতীক নিয়ে আলোচান আগেই হয়েছে। এর বাইরে এ মুহূর্তে নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে আরও অনেক দলের প্রতীকে খাদ্য ও কৃষির প্রতিচ্ছবি রয়েছে। যেমন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতীক কাস্তে- যে কাস্তে কৃষকের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বিশেষ করে পাকা ধান কাটতে কাস্তের বিকল্প নেই। কোথাও কোথাও ধান কাটতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার হলেও বৃহত্তর অংশে এখনো ধান কাটার প্রধান হাতিয়ার এই কাস্তে। তবে শুধু ধান কাটা নয়, বরং কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের রাজনীতিতেও কাস্তে প্রতিবাদের ভাষা। বিশেষ করে কৃষকরা যখন প্রতিবাদ করেন তখন তাদের হাতে কাস্তে আর মাথায় গামছা থাকা মানেই সেটি ক্ষমতাবানদের জন্য একটা কড়া হুঁশিয়ারি। কবি দিনেশ দাশ লিখেছেন:
‘বেয়নেট হোক যত ধারালো
কাস্তেটা ধার দিও বন্ধু,
শেল আর বোম হোক ভারালো
কাস্তেটা শান দিও বন্ধু!’
অর্থাৎ রাষ্ট্র বেয়নেট ও বুলেট দিয়ে যতই চোখ রাঙাক বা ভয় দেখাক, শ্রমিক-মজুর যেন কাস্তেটা শান দিয়ে রাখে। কেননা বেয়নেটের বিরুদ্ধে ওই শানিত কাস্তেই হবে যুদ্ধের হাতিয়ার।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রতীক কুলা। কৃষিনির্ভর গ্রামবাংলার সঙ্গে পরিচয় আছে, তিনি জানেন ধান ঝাড়াসহ আরও নানা কাজে কুলার ব্যবহার এখনো কতটা জরুরি।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির প্রতীক গরুর গাড়ি। একসময় গ্রামবাংলার প্রধান বাহন। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের কোথাও কোথাও এখনো ধানের মৌসুমে গরু-মহিষের গাড়ি চোখে পড়ে। ক্ষেত থেকে ধান কেটে নিয়ে যেতে এখনো গরু ও মহিষের গাড়ির প্রচলন আছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে। যদিও গ্রাম পর্যন্ত পিচঢালা রাস্তা হওয়ায় এখন ইজিবাইকসহ নানা ধরনের বাহন সহজলভ্য হওয়ায় মানুষের যাতায়াতে গরুর গাড়ির ব্যবহার নেই বললেই চলে; কিন্তু কৃষিনির্ভর গ্রামবাংলায় গরুর গাড়ি এখনো একটি ঐতিহ্যের প্রতীক।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের প্রতীক গাভী। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের মানুষের প্রধান গৃহপালিত পশু গরু। গরুর স্ত্রী লিঙ্গ গাভী। গাভীর দুধ ছাড়া বাঙালির জীবন বলতে গেলে অচল। ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’। মাছে-ভাতে বাঙালিত্বের সাথে সাথে দুধ-ভাতও বাঙালির সমৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সচেতনতার উদাহরণ। যে কারণে আধুনিক কৃষি উপকরণ যেমন ট্রাক্টর আসার আগে যখন লাঙ্গল ও গরু দিয়ে চাষাবাদ করা হতো, সেখানে গাভীকে মুক্তি দেয়া হতো প্রধানত তার দুধের কারণে। গরুর মধ্যে গাভীকে বিশেষ আদর করা হয়। তবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব ধরনের গরুর প্রতিই বাঙালির একটি বিশেষ আকর্ষণ, ভালোবাসা ও টান আছে। গরুর বড় বড় চোখের যে মায়া, সেটিও শিল্পীর চোখ এড়ায় না। গীতিকবি কফিল আহমেদের একটি গান: ‘পাখির ডানায় দারুণ শক্তি গরুর চোখে মায়া।’
মাছে-ভাতে বাঙালির বড় পরিচয় মাছ প্রতীকের মালিক গণফ্রন্ট। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতীক হচ্ছে কোদাল। কৃষিকাজে কোদালের বিকল্প নেই। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পরে নিবন্ধন পাওয়া গণসংহতি আন্দোলনের প্রতীক মাথাল। এটি কৃষকের একধরনের বিশেষ টুপি- যা তাকে রোদের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়।
এর বাইরে আরও কিছু দলের প্রতীকে কৃষি, ফল ও ফসলের প্রতিচ্ছবি আছে। যেমন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রতীক ফুলের মালা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতীক বটগাছ, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি-এনপিপির প্রতীক আম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতীক খেজুর গাছ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রতীক ফুলকপি। বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল প্রতীকের মালিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। সবচেয়ে সুস্বাদু ও উপকারী পানীয় ডাব প্রতীকের মালিক বাংলাদেশ কংগ্রেস।
বিদেশি ফল হলেও আপেল বেশ পুষ্টিকর। ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ-এর প্রতীক আপেল। গণতন্ত্রী পার্টির প্রতীক কবুতর ও জাকের পার্টির গোলাপ ফুলের মধ্যেও কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি আছে।
নিবন্ধিত দলের বাইরে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নির্বাচন কমিশন যেসব প্রতীক ঠিক করেছে সেখানে আরও কিছু প্রতীকে খাদ্যসচেতনতা তথা কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি রয়েছে। যেমন: আনারস, কলার ছড়ি, কলা, কুড়াল, চিংড়ি, ঢেঁকি, তরমুজ, ফুলের টব, ফুলের মালা, লাউ ও লিচু।
আমীন আল রশীদ: সাংবাদিক ও লেখক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে