বিসিবি’র পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল এবং আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পরিচালক করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন।

বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩ জুন) এ আদেশ দেন বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এই আদেশের ফলে সভাপতি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‌‘বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে যারা পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বে আছেন ও কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, তারাই কাজ চালিয়ে যাবেন’।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘হাইকোর্ট রুল ও স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। যারা আছেন, তারা থাকবেন। হাইকোর্টের বক্তব্য হচ্ছে, যে যেভাবে আছেন, সে সেভাবে থাকবেন। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনেও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। তার মানে যে যে অবস্থায় আছেন, সে অবস্থায় ফাংশন করবেন’।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন এবং নয়জন বোর্ড সদস্যের আটজনের অনাস্থা প্রস্তাব পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিসিবি’র পরিচালক পদে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে এনএসসি। ফলে সভাপতি পদ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারিত হয়ে যান তিনি।

শুক্রবার (৩০ মে) আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করে এনসিসি। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তাকেই দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন বোর্ড সদস্যরা।

এসব সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে রোববার (১ জুন) হাইকোর্টে রিট করেন ফারুক আহমেদ। রিটে সিদ্ধান্তগুলোর বৈধতা বিচারিক পর্যালোচনা এবং মামলা না হওয়া পর্যন্ত বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার আরজি জানানো হয়।

শুনানি শেষে সোমবার (২ জুন) তালিকা থেকে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ। অন্য কোনো বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপনের স্বাধীনতা রিট আবেদনকারীর থাকবে বলেও উল্লেখ করেন।

এরপর বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি দাখিল করা হয়। রিটে বিবাদী করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া সচিব, বিসিবি এবং আরও পাঁচজনকে।