ট্রাম্পের হুমকি কেন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থার প্রধান দুর্বলতা হলো যখন শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে তখন উচ্চ পরিমাণে ঋণ নেওয়া ও প্রায় নিয়ন্ত্রণহীন হেজ ফান্ডগুলো টিকতে না পেরে হঠাৎ করে নগদ অর্থ জোগাড়ের জন্য সরকারি বন্ডসহ নানা সম্পদ বিক্রি করে দেয়। এ কারণে বাজারে ব্যাপক আতঙ্ক ও অস্থিরতা দেখা দেয়। এই হঠাৎ অস্থিরতার সম্ভাবনাই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে অন্য অনেক দেশের তুলনায় বেশি দুর্বল করে তোলে। ট্রাম্প যতই দাম্ভিক ও হুমকির ভঙ্গিতে কথা বলুন না কেন, বাস্তবে তিনি ভেতরে-ভেতরে দুর্বল। যখন তার আরোপিত শুল্ক তার ধনী বন্ধুদের ব্যবসায়িক স্বার্থে আঘাত হানে তখন তিনি পিছু হটেন।
এখন প্রশ্ন হলো, অন্যান্য দেশ কীভাবে এই দুই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে পারে? এ প্রশ্নের জবাব নিশ্চয়ই ওয়াশিংটনে গিয়ে ট্রাম্পের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়ানোর মধ্যে নেই। এটি শুধু যে মর্যাদাহানিকর তা-ই নয়; বরং তা একেবারেই কোনো কাজে আসবে না। কারণ, এতে ট্রাম্প নিজের ক্ষমতা আরও বেশি করে অনুভব করেন এবং এক দেশের বিরুদ্ধে আরেক দেশকে লাগিয়ে খেলা দেখানোর সুযোগ পান। আরও খারাপ বিষয় হলো, ট্রাম্প যদি কোনো দেশের দুর্বলতা টের পান তাহলে তিনি সেই দেশের ওপর আরও কঠিন শর্ত চাপিয়ে দেন। তার সঙ্গে করা চুক্তিগুলো যে কার্যকর হবে তা নিয়েও সন্দেহ থাকে। কারণ, তিনি নিজে প্রায়ই এসব চুক্তিকে পাত্তা দেন না।
সেই অর্থে এসব চুক্তি আসলে কাগজের ওপর সই-স্বাক্ষর ছাড়া আর কিছু নয়। আরও সহজ করে বললে ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে হলে মাথা নিচু করে যাওয়ার কোনো মানে হয় না; বরং তার দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে আঘাত করলেই ফল পাওয়া যাবে। ট্রাম্পকে মোকাবিলার অনেক ভালো কৌশল হলো- যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা।
এতে আমেরিকার প্রকৃত দুর্বলতা প্রকাশ পাবে, ট্রাম্পের ধনী বন্ধুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে এবং শেষমেশ ট্রাম্পকে তা আবারও পিছু হটতে বাধ্য করবে। যদি অন্যান্য দেশ কোনো ধরনের আলোচনায় না যায় এবং ট্রাম্পের শুল্কনীতির জবাবে সমান মাত্রায় পাল্টা শুল্ক আরোপ করে তাহলে ট্রাম্পের ওপর এই চাপ প্রয়োগ করা সম্ভব। যদি অনেক দেশ একসঙ্গে এই কৌশল নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র একা হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, বিশ্ববাণিজ্যের মাত্র ১৫ শতাংশের অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। বাকি ৮৫ শতাংশ যেসব দেশ, তারা যদি একজোট হয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় তাহলে তাদেরই লাভ হবে। তবে কিছু অর্থনীতিবিদ পাল্টা শুল্ক আরোপের যুক্তির বিরোধিতা করেন। মুক্তবাণিজ্যের প্রচলিত মত হলো যে দেশ শুল্ক আরোপ করে সে দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আমেরিকার অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব, ১৯০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। অথচ আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে সহজেই তার চিকিৎসা করা যেত। যদিও তখন এক্স-রে আবিষ্কার হলেও তা ছিল অপ্রতুল। তাই ম্যাককিনলির চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিকেল টিম হত্যাকারীর একটি গুলিও খুঁজে পাননি। ম্যাককিনলির মৃত্যু হয়েছে সেপসিস রোগের কারণে। এমন পচন রোগের সূত্রপাত রোধ করতে যে অ্যান্টিবায়োটিক তা আরও কয়েক দশক পরও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার কথা বলেন তখন তিনি এই সময়ের কথাই উল্লেখ করেন। ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, ম্যাককিনলি শুল্কের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলেন। ম্যাককিনলির নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের যে কোনো সময়ের চাইতে সম্ভবত সবচেয়ে ধনী ছিল। তবে, ট্রাম্প ইতিহাস এবং অর্থনীতি উভয়কেই ভুল হিসেবে দেখছেন।
শুরুতে, ম্যাককিনলি ট্যারিফ ১৮৯০ সালে পাস হয়েছিল, যখন এর নামকরণ ছিল প্রতিনিধিত্বমূলক। ট্যারিফ শুরু হওয়ার সাত বছর পর তার প্রেসিডেন্সির সময় ম্যাককিনলি ট্যারিফের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। যদিও সেই সময় ছিল সোনালি যুগের শীর্ষে; কিন্তু আমেরিকানদের জন্য সবকিছুই সোনালি ছিল না। তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত আয় আজকের আয়ের এক-সপ্তমাংশ ছিল। তখনো চরম বৈষম্য বিরাজ করছিল। যদি তুলনা করা হয় তাহলে দেখা যায়, ১৮৯০ সালে যেখানে ১ শতাংশ আমেরিকান পরিবারের অভ্যন্তরীণ টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা ছিল। অথচ যা আজ ৯৯ শতাংশ। বলাবাহুল্য, ম্যাককিনলির সময় থেকে এখন দেশের সার্বিক অবস্থা নাটকীয়ভাবে উন্নত হয়েছে। ১৮৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিশু মৃত্যুহার ২৩.৯ শতাংশ থেকে কমে আজ ০.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জন্মের গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়ে ৭৭ বছর হয়েছে। এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে মূলত স্যানিটেশনের উন্নতি এবং বিজ্ঞান ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য। টিকাদানের প্রভাব বিবেচনা করা যায়।
১৯৩৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিবাসী ম্যাক্স থেইলার হলুদ জ্বরের টিকা তৈরি করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এই রোগ নির্মূল হয়ে যায়। ১৯৩৯ সালে পার্ল কেনড্রিক এবং গ্রেস এল্ডারিং হুপিং কাশির টিকা তৈরি করার পর এ রোগে মৃত্যু ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। ১৯৫৫ সালে জোনাস সাল্ক তার পোলিও টিকা তৈরি এবং ১৯৬০ সালে পোলিশ অভিবাসী অ্যালবার্ট সাবিনের মুখে খাওয়া টিকা আবিষ্কারের পর থেকে মুষ্টিমেয় দেশ ছাড়া বাকি সব দেশেই এই রোগ নির্মূল হয়ে যায়। হাম আরেকটি বড় উদাহরণ, একসময় এটি যুক্তরাষ্ট্রে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হাম রোগ নির্মূল ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৩ সালে চালু হওয়া টিকার মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশে তা দমন করা হয়। এ ছাড়া গুটিবসন্ত, টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি এবং ফ্লুর জন্য টিকা আবিষ্কার করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছে।
তারপর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন-আধুনিক বিজ্ঞানের এক সত্যিকারের বিজয়। এমআরএনএ সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে ভ্যাকসিনগুলো এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল। তারা তাদের প্রথম ১২ মাসে আনুমানিক ১৪-২০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু এড়াতে সক্ষম হতে পেরেছিল। এই অর্জনটি অভিবাসীদের কাজের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত ক্যাটালিন কারিকো, লেবানিজ বংশোদ্ভূত নুবার আফিয়ান, ফরাসি বংশোদ্ভূত স্টিফেন ব্যানসেল এবং নোভাভ্যাক্সের ভ্যাকসিন দলের নেতৃত্বদানকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীতা প্যাটেল এদের অদম্য পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমেই এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে।
একনজরে দেখলে, গত অর্ধ শতাব্দীতে টিকা কমপক্ষে ১৫৪ মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। প্রতি বছর আনুমানিক ৪০-৫০ মিলিয়ন জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাককিনলির পর থেকে টিকাদানের মাধ্যমে ১২৪ বছরে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসায় অসংখ্য জীবন রক্ষাকারী অগ্রগতি হয়েছে। ট্রাম্প এখন এই অগ্রগতি উন্মোচনের হুমকি দিচ্ছেন। তার প্রশাসন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’-এর নামে বিদেশি সাহায্য কমিয়ে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি আপত্তি জানিয়েছে। এখন তিনি সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিচালককে বরখাস্ত করেছেন। কারণ তিনি স্বাস্থ্য ও মানবসেবামন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের টিকাবিরোধী নীতি অনুমোদন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ট্রাম্প নিয়ন্ত্রণে আনা রোগগুলোর পুনরুত্থানকে সক্ষম করে এবং অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রগতিকে ব্যাহত করে পরোক্ষভাবে আমেরিকানদের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে তুলেছেন। ট্রাম্প দেশে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি আক্রমণ চালাচ্ছেন। তার প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য অলাভজনক বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে অনুদানসহ গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা গবেষণার জন্য তহবিল তীব্রভাবে হ্রাস বা বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্পের যুদ্ধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের সঙ্গে মিলে যায়। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর করার মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসছে তখন অনেক ডেস্ক খালি। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। অভিবাসীদের অবদানের দীর্ঘ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সত্ত্বেও ট্রাম্প আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি অর্জনের পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আরও কঠিন করার চেষ্টা করছেন। এটি কোনো ব্রেন ড্রেন নয়, বরং এটি ব্রেনের সংকোচন। কোভিড-১৯ মহামারিটি একটি জাগরণের ডাক হিসেবে কাজ করার কথা ছিল ফলে বৈজ্ঞানিক দক্ষতা, চিকিৎসা গবেষণা এবং জনস্বাস্থ্য প্রস্তুতির মূল্য উপেক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অস্বীকার করা তো দূরের কথা। যুক্তরাষ্ট্রে এর বিপরীত ঘটেছে: বিজ্ঞান, সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা নতুনভাবে তলানিতে নেমে এসেছে। যার আংশিক কারণ এমএজিএ আন্দোলনের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ভুল তথ্য, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অবিশ্বাস। এখন টিকা নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে।
কেবল কোভিড-১৯ টিকার নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার জন্য অধিকসংখ্যক আমেরিকানই বেঁচে যান। এ টিকা গত শতাব্দীতে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে এবং আমাদের আয়ু কয়েক দশক বাড়িয়েছে। এমন প্রতিষ্ঠিত টিকার নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এখন ট্রাম্পের অনুগতদের জন্য একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রয়েছে যাতে তারা তাদের ভীতিতে ডুবে যেতে পারে ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই। তাছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বারবার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপও উল্লেখযোগ্যভাবে এ প্রক্রিয়াকে গতিশীল করেছে।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ব্রিকস দেশগুলোর বিরুদ্ধে শতভাগ শুল্ক আরোপ করলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বরং তাদের আন্তর্জাতিক রিজার্ভ হিসেবে রেনমিনবি (ইউয়ান), স্বল্প মানের মুদ্রা, এমনকি স্বর্ণ মজুতের দিকেও ঝুঁকতে বাধ্য হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প রেনমিনবি এবং অন্যান্য যেসব মুদ্রা ব্যবহারকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে উদ্বৃত্তে রয়েছে, ডলারের বিনিময় হার কমানোর মাধ্যমে সেগুলোর সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কথা বলছেন।
আবার এ ধরনের লক্ষ্যের সঙ্গে ডলারের আন্তর্জাতিক ব্যবহারকে কাজে লাগানোর যেসব প্রয়াস নেয়ার কথা তিনি বলছেন, সেগুলোও খুব একটা যায় না। বরং ডলারের বিনিময় হার কমানোর বক্তব্যটি ট্রাম্পের যেসব প্রতিশ্রুতি মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে সেগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেমন তার ফেডের স্বাধীনতা খর্বের হুমকি বা অভিবাসীদের গণহারে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব। তবে ডলারের মতো মূল্যস্ফীতির বাড়তি ঝুঁকিতে থাকা একটি মুদ্রা যা একই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রিজার্ভ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়; সেটির বিনিময় হার কমানোর চিন্তাটি খুব একটা চিত্তাকর্ষক না। মোদ্দা কথা হলো ট্রাম্পের ট্যারিফ সংক্রান্ত হুমকিগুলো বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে আসবে না।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে