মার্কিন ডলারের মান নামলো সর্বনিম্নে
মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে। গত তিন বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পতন ঘটেছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার মান।
বিশ্বে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান সাধারণত এটির মানের ওপরই নির্ভরশীল।
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোর পাঁচটার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক ০১-এ দাঁড়িয়েছে, যা এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় আট শতাংশ পতনের রেকর্ড। এটি মার্কিন ডলারের মানকে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নামিয়েছে।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের জেরে এই রেকর্ড পতন। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন উচ্চ আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি। ওই দিনই ডলারের মানের বেশি পতন ঘটে।
ট্রাম্পের এই উদ্যোগ বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায়ও ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নামছে। যদিও পরে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় আলাদা দুটি দেশের মুদ্রায়। যেমন, অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার কেনা। এর ফলে এক দেশের মুদ্রার মান আরেক দেশের মুদ্রার মানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যা পরিচিত ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ নামে। মুদ্রা শক্তিশালী হয় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদাসহ নানা কারণেও।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রার মানই ওঠা-নামা করে। যার অর্থ চাহিদা এবং সরবরাহ অনুসারে দামের পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিছ মুদ্রার মান স্থির। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের ডলার নির্দিষ্ট দামে নির্ধারিত। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মান নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু পরে সেটি বাতিল করায় এখন চাহিদা ও সরবরাহ অনুসারে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্যও ওঠা-নামা করে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে