১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভিবাসন নীতিতে নতুন করে সতর্কতা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করার সাম্প্রতিক ঘটনার পর সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১৯টি দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের রেকর্ড পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা (USCIS) ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্টের নির্দেশনায় এই পর্যালোচনা কাজ শুরু করেছে।
সিএনএনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) প্রকাশিত খবরে ইউএসসিআইএস এর পরিচালক জো এডলো এক্স–এ এক পোস্টে বলেন, “উদ্বেগজনক” বিবেচিত প্রতিটি দেশের নাগরিকদের পরিচয়, নথি ও যোগ্যতা নতুন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের জুন মাসের ঘোষণায় উল্লেখিত ১৯ দেশের তালিকায় রয়েছে—আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকি, ভিসা–অতিরিক্ত অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদ–সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এসব দেশকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসির ওই গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তি রহমানউল্লাহ লাখানওয়ালকে আফগান নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি ২০২১ সালে ‘অপারেশন অ্যালাইস ওয়েলকাম’ কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, তিনি আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং সিআইএ–এর সঙ্গে কাজ করেছেন। লাখানওয়াল ২০২৪ সালে আশ্রয়ের আবেদন করেন, যা ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে অনুমোদিত হয়।
ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ঘোষণা করেছে যে আফগান নাগরিকদের সব অভিবাসন আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সময়ে অনুমোদিত সকল আশ্রয় মামলাও পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজারের বেশি আফগানকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। তিনি দাবি করেন, বাইডেন প্রশাসন ২ কোটি “অপর্যাপ্তভাবে যাচাই” করা বিদেশিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা প্রত্যেক আফগানকে পুনরায় স্ক্রিনিং করা উচিত এবং যারা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে, তাদের দেশ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।
একটি মার্কিন গ্রিন কার্ড কোনও বিদেশিকে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয়। আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীরাও দেশে এক বছর অবস্থানের পর গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে