শুল্কহ্রাসের চূড়ান্ত প্রস্তাব দিতে বাণিজ্য অংশীদারদের চাপ ট্রাম্পের

শুল্কবৃদ্ধি স্থগিত রাখার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আলোচনা শেষ করতে বাণিজ্য অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবারের (৪ জুন) মধ্যে শুল্কহ্রাসে তাদের সেরা প্রস্তাব জমা দিতেও বলেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) চিঠি পাঠিয়ে এ আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) কার্যালয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, চিঠিটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাধিক দেশের সঙ্গে জটিল আলোচনা চূড়ান্তের কৌশলে আলোকপাত করে, যা ৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। প্রস্তাবিত শুল্কের ব্যাপকতায় বাজারগুলো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানোর পর ওই দিন শুল্ক আরোপ ও বৃদ্ধি ৯০ দিনের জন্য ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন ট্রাম্প।

নথিটি দ্রুত সময়সীমার মধ্যে চুক্তি নিশ্চিতে প্রশাসনের মাঝেও ক্রমবর্ধমান তাগিদ প্রকাশ করে। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট ও অন্যদের বারবার আশ্বাস সত্ত্বেও যে বেশ কয়েকটি চুক্তির কথা বলা হয়েছিল, এখন পর্যন্ত কেবল তার একটিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এমনকি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পাদিত সেই চুক্তিটিও বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তির চেয়ে অব্যাহত আলোচনার কাঠামো হিসেবেই বেশি কাজ করে।

খসড়া চিঠিতে দেশগুলোকে মার্কিন শিল্প ও কৃষিপণ্যে শুল্ক ও কোটা অফার, অ-শুল্ক বাধা মোকাবিলার পরিকল্পনা, ডিজিটাল বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি এবং দেশ-নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দ্রুত প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা এবং চিঠিতে ‘সম্ভাব্য অবতরণ অঞ্চল’ হিসাবে উল্লেখের প্রস্তাব দেয়ারও পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, যার মধ্যে পারস্পরিক শুল্ক কাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

যদিও চিঠিতে কোন দেশগুলো এটি গ্রহণ করবে তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে এটি সক্রিয় আলোচনারত দেশগুলোকে লক্ষ্য করে, যাদের সঙ্গে বৈঠক ও নথি বিনিময় করেছে ওয়াশিংটন। চলমান আলোচনায় জড়িত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, ভিয়েতনাম এবং ভারতসহ অন্যরা।

ইউএসটিআরের একজন কর্মকর্তা আলোচনার গতি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে উৎপাদনশীল আলোচনা দ্রুতগতিতে চলছে। সব পক্ষের স্বার্থে অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলো মূল্যায়ন করা হচ্ছে।’