ক্যারিবিয়ান সাগরে সন্দেহভাজন নৌকায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৪
ক্যারিবিয়ান সাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় আবারও হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে, বৃহস্পতিবারের এই অভিযানে চারজন নিহত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব হামলা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক পোস্টে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড জানায়, সর্বশেষ হামলার নির্দেশ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তারা দাবি করে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’-নিয়ন্ত্রিত নৌযানকে লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কমান্ড জানায়, নৌযানটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পরিচিত মাদকচোরাচালান রুটে চলছিল এবং এতে মাদক বহন করা হচ্ছিল। নৌকায় থাকা চারজনকে তারা ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মাছ ধরা নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনীর বোমা হামলা বাড়ছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ এসব হামলাকে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যা’ উল্লেখ করে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের হামলা প্রকাশ্যে আসার পর মার্কিন কংগ্রেসের দ্বিদলীয় কমিটিগুলো নতুন তদন্ত শুরু করেছে।
হোয়াইট হাউস জানায়, প্রথম হামলার পর দ্বিতীয় দফা হামলার নির্দেশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ দেননি; নির্দেশ দেন অ্যাডমিরাল ফ্রাঙ্ক ‘মিচ’ ব্রাডলি। ধারণা করা হয়, ওই হামলায় প্রথম হামলা থেকে বেঁচে থাকা দুই ব্যক্তি নিহত হন।
যদিও হোয়াইট হাউস দাবি করছে সব হামলাই ‘সশস্ত্র সংঘাতের আইন’ মেনে পরিচালিত হয়েছে, তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরস্ত্র ব্যক্তির ওপর হামলা চালানো স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ। মার্কিন সামরিক ম্যানুয়ালেও জাহাজডুবির পর জীবিতদের ওপর গুলি চালানোকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে