Views Bangladesh Logo

শিশুদের ওপর সহিংসতায় জাতিসংঘের ‘কালো তালিকায়’ ইসরায়েল

ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর সহিংসতার দায়ে জাতিসংঘের তৈরি ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হয়েছে ইসরায়েল। গাজায় ‘মানবসৃষ্ট খরা’ দেখা দেয়ায় পানির অভাবে শিশুদের মৃত্যু শুরুর আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফও।

‘চিলড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বজুড়ে শিশুদের ওপর গুরুতর সহিংসতা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে শিশুদের ওপর নজিরবিহীন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছে ফিলিস্তিনের শিশুরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর শিশুদের বিরুদ্ধে ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতার তথ্য যাচাই করতে পেরেছে তারা। এর মধ্যে ২০ শতাংশ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে। তাদের অবিরত হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু প্রাণ হারিয়েছে, নয়তো পঙ্গু হয়ে গেছে। বিদ্যালয় ও হাসপাতালেও নিয়মিত হামলা চালিয়ে শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো নাম উঠেছে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্তও’ করেছে জাতিসংঘ।

এদিকে, গাজায় মানবসৃষ্ট পানির সংকট নিয়ে সতর্ক করেছে ইউনিসেফও। শুক্রবার (২০ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংস্থাটির মুখপাত্র জেমস এল্ডার সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট চলছে। সুপেয় পানির ৬০ শতাংশ উৎস ধ্বংস হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে তৃষ্ণায় মারা যাবে শিশুরা।

শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফ মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, গাজার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এখন মাত্র ৪০ শতাংশ বিশুদ্ধ পানি উৎপাদন কেন্দ্র সচল রয়েছে। শিশুরা খুব শিগগিরই তৃষ্ণায় মরতে শুরু করবে।

তিনি আরও জানান, গাজা সফরে থাকা অবস্থায় তিনি দেখেছেন, খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে নারী ও শিশুরা কীভাবে আহত হচ্ছেন। এক কিশোর ট্যাংকের গোলায় আহত হয়ে পরে মারা গেছে বলেও জানান এল্ডার।

জেমস এল্ডার বলেন, সহায়তা কেন্দ্র কখন খোলা বা বন্ধ, সে বিষয়ে সঠিক তথ্যের ঘাটতি থেকেই বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, কখনও বলা হচ্ছে সহায়তা কেন্দ্র খোলা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে বন্ধ। কিন্তু তখন গাজার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। ফলে মানুষ তথ্য জানতে পারে না।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ