সৌদি যুবরাজকে মার্কিন কংগ্রেসে ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস সফর একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তাকে প্রদান করা হয় রাজকীয় মর্যাদার মতো উষ্ণ অভ্যর্থনা। ২০১৮ সালের সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রথম পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক উপস্থিতিতে মার্কিন নেতাদের এমন সম্মান প্রদর্শন দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কংগ্রেস ভবনে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান মার্কিন আইনপ্রণেতারা। উচ্চপর্যায়ের নেতাদের উপস্থিতি, আনুষ্ঠানিক সম্ভাষণ এবং করতালিতে ভরা এই সংবর্ধনা তার কৌশলগত গুরুত্বকে স্পষ্ট করে দেয়।
কেন এই সফর গুরুত্বপূর্ণ?
যদিও সৌদি- যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিনের মিত্র, গত কয়েক বছর মানবাধিকার ইস্যু ও খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কারণে সম্পর্কের মাঝে তিক্ততা ছিল। কিন্তু এবার কংগ্রেসে যুবরাজকে দেওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনা দুই দেশের সম্পর্ক যে দ্রুত পুনরুদ্ধার ও প্রসারিত হচ্ছে, তা প্রকাশ করে।
মার্কিন নেতারা আলোচনায় তেলবাজার, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি এবং সৌদির সম্ভাব্য বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন।
ইসরায়েল–সৌদি সম্পর্ক নিয়ে বার্তা
কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় ক্রাউন প্রিন্স জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা এখনো খোলা আছে; তবে এর জন্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি 'সুস্পষ্ট পথ' অপরিহার্য।
সৌদি আরবে প্রতিক্রিয়া
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমগুলো এই সফরকে বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে দেখছে। শিরোনামগুলোতে উঠে এসেছে, 'যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি অংশীদারিত্বের নতুন যুগ' এবং 'ওয়াশিংটনে যুবরাজের প্রতি ব্যতিক্রমী সম্মান।'
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মার্কিন কংগ্রেসে তার দৃশ্যমান মর্যাদাপূর্ণ উপস্থিতিকে সৌদির ভবিষ্যৎ কৌশলগত শক্তির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে