পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে ডেকেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল (ফিল্ডমার্শাল) আসিম মুনিরের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, বৈঠকে গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

বুধবার (১৮ জুন) ওয়াশিংটন সময় দুপুরে (বাংলাদেশ সময় রাতে) হোয়াইট হাউসে দুজনের একসাথে মধ্যাহ্ন ভোজ করারও কথা রয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন জানিয়েছে, ট্রাম্পের সরকারি সময়সূচিতে তালিকাভুক্ত বৈঠকটি মন্ত্রিসভা কক্ষে হবে।

শনিবার (১৪ জুন) থেকে জেনারেল মুনির যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। পূর্বনির্ধারিত হলেও ইরান-ইসরায়েল ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যসহ আশেপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার মধ্যে এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দু’জনের বৈঠকটি। ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে।

ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি ড্রোন, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা টানা ষষ্ঠদিনে গড়িয়েছে। প্রতিশোধমূলক হামলা অব্যাহত রেখেছে ইরানও। এরই মধ্যে ইরানে কমপক্ষে ৫৮৫ জন নিহত ও এক হাজার ৩২৬ জন আহত এবং ইসরায়েলে অন্তত ২৪ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হওয়ার খবর জানা গেছে।

ইরানি গণমাধ্যম জানায়, জেনারেল মুনির মে মাসের শেষের দিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ হোসেন বাঘেরির সাথে দেখা করেছিলেন। শুক্রবার (১৩ জুন) চলমান যুদ্ধের প্রথম দিনেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন বাঘেরি। অন্যদিকে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয় জেনারেল মুনিরকে।

পশ্চিম এশিয়ার ক্রমবর্ধমান সংকটে আলোকপাত করে মঙ্গলবার (১৭ জুন) ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ- এর পোস্টে তিনি দাবি করেন, আমেরিকার ‘ইরানের আকাশের ওপর সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে’ এবং তারা দেশটির তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন, ঠিক জানেন।

ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য ক্রমশ ভেঙে পড়ছে’। সবশেষে ইরানের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!’।

বিপরীতে ইরানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জেনারেল মুনির। ওয়াশিংটনে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সংঘাতের দ্রুত সমাধানের আশা করছে’। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (১৬ জুন) ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রবাসী পাকিস্তানি এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখোমুখি হন সফররত এই সেনাপ্রধান।