দুই শতাধিক খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গরুর মাংস, টমেটো, কলাসহ দুই শতাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছেন। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নতুন শুল্কছাড় কার্যকর হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শুল্ক নীতিকে মূল্যস্ফীতি–বহির্ভূত দাবি করে আসা ট্রাম্পের জন্য এটি উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবারই ট্রাম্প প্রশাসন আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা ও এল সালভাদরের সঙ্গে নতুন কাঠামোগত বাণিজ্যচুক্তির ইঙ্গিত দেয়। চূড়ান্ত হলে এসব দেশ থেকে আমদানি হওয়া কিছু খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর ওপর শুল্ক তুলে নেওয়া হবে। চলতি বছরের শেষের আগেই আরও এমন চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার প্রকাশিত শুল্কমুক্ত পণ্যের তালিকায় এমন সব সামগ্রী রয়েছে, যেগুলো মার্কিন ভোক্তাদের প্রতিদিনের কেনাকাটার অংশ। গত এক বছরে এসব পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্সের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে গরুর কিমা মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ এবং স্টেকের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ—যা তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। কলার দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ ও টমেটোর দাম ১ শতাংশ।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করছেন, চলমান মূল্যবৃদ্ধির পেছনে দায়ী তাঁর শুল্কনীতি নয়; বরং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিমালা। সেপ্টেম্বরে ঘরে খাওয়ার উপযোগী পণ্যের সামগ্রিক খরচ বেড়েছে ২.৭ শতাংশ।
বিশ্ব বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি পণ্যের ওপর কমপক্ষে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছেন বলে সমালোচনা রয়েছে। অনেক অঙ্গরাজ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপও করা হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্কই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। আগামী বছর ভোগ্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে, যেহেতু ব্যবসায়ীরা শুল্কের পুরো চাপ ক্রমেই ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে