বাইডেন আমলে নিয়োগ পাওয়া ২৯ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদে নিয়োগ পাওয়া ২৯টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করছে। তাঁদের জায়গায় ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে সমর্থন করেন—এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
দুটি স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার বরাতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ২৯টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে যে তাঁদের মেয়াদ আগামী জানুয়ারিতে শেষ হবে। এই রাষ্ট্রদূতদের সবাই বাইডেন প্রশাসনের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
কর্মকর্তারা জানান, যাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের সম্পূর্ণভাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। চাইলে তাঁরা ওয়াশিংটনে ফিরে অন্য দায়িত্ব নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে কেন রাষ্ট্রদূতদের এভাবে প্রত্যাহার করা হচ্ছে—সে প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে তারা এটিকে “যেকোনো প্রশাসনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভাষ্য, রাষ্ট্রদূতেরা প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি, তাই প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো ব্যক্তিকে এ পদে নিয়োগ দেওয়ার অধিকার রাখেন।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই তালিকায় আফ্রিকা মহাদেশের রাষ্ট্রদূতরাই সবচেয়ে বেশি। আফ্রিকার ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। আফ্রিকার দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে, গ্যাবন, আইভরি কোস্ট, মাদাগাস্কার, মরিশাস, নাইজার, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সোমালিয়া ও উগান্ডা।
এর পর এশিয়ার ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে—ফিজি, লাওস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। এ ছাড়া ইউরোপের চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতও এই তালিকায় রয়েছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে