নেতানিয়াহুর বিচার বাতিল ও ক্ষমার আহ্বান ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (২৫ জুন) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির বিচার বাতিল করার বা তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, 'বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচার অবিলম্বে বাতিল করা উচিত, অথবা এই মহান বীরকে ক্ষমা দেওয়া উচিত, যিনি ইসরায়েলের জন্য এত কিছু করেছেন।' ২০১৯ সালে ঘুষ, প্রতারণা এবং আস্থা ভঙ্গের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০২০ সালে তেল আবিবে তার বিচার শুরু হয়, যা এখনো চলমান। নেতানিয়াহু বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩ জুন থেকে নেতানিয়াহুর পক্ষে ও বিপক্ষে সাক্ষীদের জেরা শুরু হয়েছে এবং তা প্রায় এক বছর পর্যন্ত চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প আরও দাবি করেন, 'যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ইসরায়েলকে বাঁচিয়েছে, এখন সেভাবেই নেতানিয়াহুকেও বাঁচাবে।' তিনি নেতানিয়াহুকে একজন 'যোদ্ধা' আখ্যা দিয়ে বলেন, 'তিনি ইসরায়েলের জন্য অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন।'
যদিও ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি ইসাক হারজগের ক্ষমা দেওয়ার সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে, তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, এখনো কোনো পক্ষ থেকে ক্ষমার আবেদন জমা দেওয়া হয়নি এবং বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার টেবিলে নেই। ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিচার প্রক্রিয়াকে 'উইচ হান্ট' হিসেবে উল্লেখ করেন।একই শব্দ তিনি নিজের বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে থাকেন।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন একদিন আগেই তিনি ইসরায়েলের ইরানবিরোধী হামলার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'চুক্তি হওয়ার পরপরই ইসরায়েল এমনভাবে বোমা ফেলেছে, যা আমি জীবনে দেখিনি। এতে আমি সন্তুষ্ট নই।' তিনি আরও মন্তব্য করেন, 'ইরান ও ইসরায়েল এতদিন ধরে যুদ্ধে লিপ্ত যে এখন তারা নিজেরাই জানে না কী করছে।'
ট্রাম্পের এসব মন্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে তিনি একদিকে নেতানিয়াহুকে 'বীর' বলছেন, অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।এতে পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনৈতিক স্তরেও প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে