তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন বন্ধের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প

ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন। প্রতিবছর তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে আসে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বৈশ্বিকভাবে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

গতকাল, আফগানিস্তানে অবস্থানকালে মার্কিন সেনাবাহিনী এবং সিআইএ-র সঙ্গে কাজ করা এক আফগান নাগরিক দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করে। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর জো বাইডেন প্রশাসনের একটি বিশেষ ব্যবস্থায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ঘটনাটি পুরো অভিবাসন ব্যবস্থায় তীব্র সংকট সৃষ্টি করেছে, যা ট্রাম্পকে সরাসরি এই ঘোষণা দিতে প্ররোচিত করেছে।

ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমরা প্রযুক্তিতে বড় অগ্রগতি করেছি। কিন্তু ভুল অভিবাসন নীতির কারণে এসব অর্জন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এবং বহু মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।”

“আমি তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে আমেরিকার পুরো ব্যবস্থাকে নিজেকে ঠিক করার সুযোগ দেওয়া যায়।”

“এছাড়া জো বাইডেনের আমলে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা লাখ লাখ মানুষের থাকার অনুমতিও আমি বাতিল করব। বাইডেন অবৈধভাবে এই মানুষগুলোকে দেশে ঢুকতে দিয়েছে।”

“যারা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অবদান রাখে না বা সত্যিকারের এই দেশকে ভালোবাসতে পারে না—তাদের বহিষ্কার করা হবে।”

“বিদেশিদের জন্য সকল সরকারি সুবিধা ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যারা আমাদের দেশের শান্তি বিঘ্নিত করবে—তাদের নাগরিকত্বও বাতিল করা হবে।”

“যে কোনো বিদেশি যিনি দেশের বোঝা, নিরাপত্তার জন্য হুমকি বা আমেরিকান সংস্কৃতিতে একীভূত হতে অক্ষম, তাকে অপসারণ করা হবে।”

তিনি লিখেছেন, প্রধান লক্ষ্য হলো অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমানো এবং যারা সমস্যা সৃষ্টি করে তাদের সরিয়ে দেওয়া—এর মধ্যে বিশেষ ছাড়ে প্রবেশকারীরাও অন্তর্ভুক্ত।

আমেরিকাকে উন্নত করতে অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প লিখেছেন, “এটি পুরোপুরি ঠিক করার একমাত্র উপায় হলো অভিবাসীদের তাদের দেশে ফিরে যাওয়া।”