Views Bangladesh Logo

ভারত রুশ তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধকে সমর্থন দিচ্ছে: ট্রাম্পের উপদেষ্টা

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে ভারত এমন অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার। ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর মন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

রোববার (৩ আগস্ট) ফক্স নিউজের জনপ্রিয় টকশো ‘সানডে মার্নিং ফিউচারে’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিফেন মিলার বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন—ভারতের রুশ তেল ক্রয় কার্যত ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নেরই সমান। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। অনেকেই জানেন না, এখন ভারত রুশ তেল আমদানিতে চীনের সমপর্যায়ে পৌঁছে গেছে—এটি এক অবিশ্বাস্য বাস্তবতা।'

মিলারের এ বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ করে জ্বালানি খাতে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমাতে ওয়াশিংটনের চাপ বেড়েই চলেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের প্রতি তিনটি প্রধান অভিযোগ রয়েছে:
১. রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখা
২. মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ
৩. যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থার ‘অপব্যবহার’

তবে সমালোচনার মাঝেও ট্রাম্পের ভারত নীতির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মিলার। তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবসময় ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছেন।' তবে একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, 'আমরা বাস্তবতা মেনে চলি। রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থায়ন রোধে ট্রাম্পের হাতে রয়েছে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য কার্যকর উপায়।'

এদিকে, ব্লুমবার্গ-এর বরাতে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই ভারতের। ভারতের সরকারি সূত্র বলছে, তেল আমদানি একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত এবং এ বিষয়ে সরকারি কিংবা বেসরকারি রিফাইনারিগুলোর ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

সম্প্রতি ট্রাম্প শিবিরের ভারতবিরোধী বক্তব্যের তীব্রতা বাড়ছে। এর আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা অব্যাহত থাকলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'ভারত এখন ব্রিকস জোটের সদস্য হয়েছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখেছে। তারা যদি ধসে পড়া অর্থনীতিসহ নিচে নামতে চায়—তবে সেটা তাদের ব্যাপার।'

এ বিষয়ে এখনো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ