শেখ হাসিনা ও কামালে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নামে দেশে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যে অপরাধ করেছেন তাতে শুধু মৃত্যুদণ্ডই নয় তাদের সব সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। এই নির্দেশ দ্রুত কার্যকর করতে হবে।’
বাংলাদেশের সাবেক কোনো সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার মামলায় এমন রায় নজিরবিহীন।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার ৬টি অধ্যায়ের ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ‘মিসকেস’থেকে এ মামলার রায় ঘোষণা পর্যন্ত সময় লেগেছে ৩৯৭ দিন।
ট্রাইব্যুনাল-১–এর এজলাস থেকে ঐতিহাসিক এই রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করে বিটিভি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ থেকেও সরাসরি দেখানো হয়।
পাশাপাশি ঢাকার ১০টি পয়েন্টে বড় পর্দায় দেখানো হয় এই রায় ঘোষণা। শেখ হাসিনার এ রায় ঘিরে দেশে-বিদেশের সকল বাংলাদেশী ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দিকে।
গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় আজ ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শেষে রায় ঘোষণা হলো।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে