সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন
‘খাঁচার পাখি উড়ে গেল’: বিদায় লালনকন্যা ফরিদা পারভীন
পাখি কখন জানি উড়ে যায়, কেউ টের পায় না। একটি বদ হাওয়া এসে খাঁচায় লাগলেই, তার ডানা ছুটে যায় অনন্ত আকাশে। ঠিক তেমনভাবেই চলে গেলেন লালনসংগীতের কিংবদন্তি সাধিকা ফরিদা পারভীন- যার কণ্ঠে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চিনেছে সাঁইজি লালনকে, উপলব্ধি করেছে আত্মার গান। তার চলে যাওয়ায় যেন থমকে গেছে অদৃশ্য এক সুরের ধারা। যেন আটকুঠুরি নয় দরজা ভেঙে খাঁচার পাখিটি উড়ে গেল- এবারের মতো সত্যি সত্যিই।
গানের জন্য আরেকটু বাঁচতে ইচ্ছে করে
লালনকন্যাখ্যাত লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালে তিনি ভিউজ বাংলাদেশের অফিসে এসেছিলেন। গান-আড্ডায় মুখর করে রেখেছিলেন ভিউজ বাংলাদেশ অফিস। এর মাঝেই তিনি কথা বলেছিলেন তাঁর সংগীতজীবনের পথচলা, লালনসংগীত, বাংলা সংগীতাঙ্গনের নানান বিষয় নিয়ে। সেই আলাপচারিতা দুই পর্বে ভিউজ বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ও ৮ মার্চ ২০২৫ সালে। এই আলাপচারিতার কয়েকদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভিউজ বাংলাদেশের পরিবার তার খোঁজ খবরও রেখেছিল; কিন্তু তিনি চলে গেলেন। আজ ভিউজ বাংলাদেশের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার শেষ সাক্ষাৎকারটি আবার প্রকাশিত হলো।
আইসিইউতে সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন
কিংবদন্তি লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিল্পীর ছোট ছেলে ইমাম জাফর নোমানী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।