গণপরিবহন
মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক তুলতে হলে সরকার ও মালিক পক্ষের বোঝাপড়া জরুরি
ঢাকার রাস্তায় চলতে গেলেই দেখা যায় মুখের ওপর কালো ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যাচ্ছে লঙ্কড়ঝক্কড় বাস-ট্রাক, বাসের বডি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এরকম অবস্থা, যাত্রী-পথচারীর জন্য এগুলো প্রচণ্ড হুমকিস্বরূপ। শুধু দুর্ঘটনা নয়, এসব গাড়ির কালো ধোঁয়াও পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরেই এসব মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক বন্ধের কথা হচ্ছে; কিন্তু কোনো সরকারের আমলেই তা যথাযথভাবে কার্যকর হয়নি; এর কারণ এসব পরিবহনের বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। বেশিরভাগ যানবাহনের মালিকও কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতা, কিংবা অন্তত পরিবহন সেক্টরের মালিকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা অত্যন্ত গভীর। ফলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও উক্ত বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেনি।
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
দেশের নানা জায়গায় হঠাৎ করেই খুব ছিনতাই বেড়ে যাচ্ছে, তাতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। গত দুদিন ধরেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, আলো নিভলেই জেঁকে বসছে ছিনতাই আতঙ্ক। কোথাও দিন-দুপুরেই ছিনতাই হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরেই ছিনতাই চলছে বেশি। ঢাকার মোহাম্মদপুরে চলছে সিরিজ ছিনতাই।
বাস থেকে হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায়
গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণায় জানিয়েছে, দেশের ব্যক্তিমালিকাধীন বাস ও মিনিবাস থেকে চাঁদাবাজি ও অনিয়ম করে বছরে প্রায় ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা আদায় করা হয়। এ খবরে স্তম্ভিত হয়ে গেছে দেশের জনগণ। প্রতিটি পত্রিকাই খবরটি বড় করে ছেপেছে। এতেই এর গুরুত্ব ও ভয়াবহতা বোঝা যায়।