ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
বাংলার বারুদে ইউরোপে লড়াই
পূবের সূর্য যখন অস্ত যায়, পশ্চিমের আকাশ তখন রেঙে ওঠে ভোরের আলোয়। আজ পশ্চিমা অস্ত্রে মধ্যপ্রাচ্য কাঁপছে, ওয়াঘার দুপ্রান্তে বিদেশি বিমান কিংবা ড্রোনের আঘাতে জ্বলছে সাবেক ভারতের দুটি অংশ। অথচ সেকালের ভারত কিংবা মধ্যযুগের বাংলার অস্ত্রে কেঁপে উঠেছিল ইউরোপের মাটি।
অমরত্ব, শোরা ও বাংলার প্রথম যুদ্ধাস্ত্র
উজবেকিস্তানের ফারগানার শাসক ছিলেন তার বাবা। ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হটিয়ে মসনদের দখল নেয়। রাজা মারা পড়েন। ছেলে আশ্রয় নেন গহিন অরণ্যেঘেরা দুর্গম পাহাড়ে। সেখান থেকেই ঝটিকা আক্রমণে ছোট ছোট কাফেলা জয় করে সৈন্য ও সম্পদ জোগাড় করেন। একের পর সফল আক্রমণ তাকে আরও শক্তিশালী করে। পরে পুনরুদ্ধার করেন ফারগানাও। আরও শক্তিশালী হন, আরও দক্ষিণে এগিয়ে আসেন। এক সময় পুরো আফগানিস্তানও জয় করেন। তখন পাখির চোখে দেখেন ভারতবর্ষকে। স্বপ্ন আরও বড় হয়। সৈন্য-সামন্তের বিশাল বহর নিয়ে চলে আসেন সিন্ধু নদের কিনারায়। ভারতবর্ষের মসনদে তখন ইব্রাহিম লোদী। ডাকসাইটে সম্রাট। তাকে পরাস্ত করতে তাই বিশেষ কিছুর দরকার ছিল। সেই বিশেষ কিছু যুবকটি পেয়েছেন তুর্কিদের কাছ থেকে। বিশাল এক লোহার পাইপ। দুপাশে দুটি চাকা।