নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি

দেশে যখন জাতীয় নির্বাচনের দাবি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় এ বছর ১৭২৬.১৫ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০২৩-২৪ সালে ২০২৪ সালের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশনের সামগ্রিক বাজেট তার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১,৫৩৮ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২,৪০৬ কোটি টাকা করেছিল।

আজ সোমবার (০২ জুন) বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ তার বাজেটে এই বরাদ্দের কথা জানান।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাই আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছি এবং এ লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা ও আদেশ সংশোধন ও সংস্কারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

বাজেট প্রস্তাবনা অনুযায়ী এ বছর নির্বাচন কমিশনের উন্নয়ন বাজেট ৪৩৬.৮ কোটি থেকে কমে ২২৯.০৫ কোটি প্রস্তাবনা করা হয়েছে। একইভাবে পরিচালন ব্যয় ৭৯৩.০৩ কোটি থেকে ১৯৩৩.৯২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২৭২৬.৯৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।

অর্থাৎ মোট বাজেট ১২২৯.৮৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৯৫৬ কোটি টাকা করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ খাতে ২,০৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখে বাজেট চূড়ান্ত করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে নির্বাচন খাতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৫,৯২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার অনুরোধ জানিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। এর ভিত্তিতে দুই দফা নির্বাচন কমিশন, অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আলোচনার পর এ খাতে ২,০৮০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে বলা জানা গেছে। নির্বাচন পরিচালনার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাবদ খরচ মূলত নির্বাচন খাত থেকে নির্বাহ করা হয়।