রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
রসায়ন বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী— সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমার এম. ইয়াগি। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করে।
সুইডিশ অ্যাকাডেমির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ তিনজন বিজ্ঞানী ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস’ (Metal-Organic Frameworks বা MOFs) উদ্ভাবনের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। তারা এমন একধরনের আণবিক কাঠামো তৈরি করেছেন যার ভেতর দিয়ে বিভিন্ন গ্যাস ও রাসায়নিক পদার্থ সহজে চলাচল করতে পারে।
‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস’ হলো এমন এক ধরনের ছিদ্রযুক্ত স্ফটিক পদার্থ, যেখানে ধাতব আয়নগুলো কাঠামোর কোণার খুঁটির মতো কাজ করে, আর সেগুলো জৈব অণুর মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
এই কাঠামোর বিশাল গহ্বর বা ফাঁকা জায়গাগুলোয় গ্যাস বা তরল সহজে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে মরুভূমির বাতাস থেকে পানি আহরণ, কার্বন ডাই–অক্সাইড বা বিষাক্ত গ্যাস ধরে রাখা, এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব হয়।
রসায়নবিদরা এই কাঠামোর উপাদান সহজেই পরিবর্তন করতে পারেন, ফলে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী MOF–এর নকশা তৈরি করে নির্দিষ্ট পদার্থ আটকে রাখা বা পরিবাহী বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এ পর্যন্ত রসায়নে মোট ১১৬ বার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বয়স্ক নোবেলজয়ী ছিলেন জন বি. গুডএনাফ, যিনি ২০১৮ সালে ৯৭ বছর বয়সে এই পুরস্কার পান। আর সবচেয়ে তরুণ ছিলেন ফেদ্রিক জোলিয়ট, যিনি মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে নোবেল জয় করেন।
১৯০১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল-এর নামে পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে।
ডিনামাইট আবিষ্কারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া আলফ্রেড নোবেল মৃত্যুর আগে উইল করে যান, তাঁর সম্পদ থেকে প্রতি বছর পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে। ১৯৬৯ সালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতি বিভাগ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে