বার্লিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা উদ্ধার, সরানো হলো ২০ হাজারের বেশি মানুষ
বার্লিনে আলাদা দুটি এলাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এ সপ্তাহে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শহরে এটিই অন্যতম বড় বোমা-সংক্রান্ত অভিযান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিট্টে জেলায় নির্মাণকাজ চলাকালে স্প্রি নদীতে একটি বোমা পাওয়া গেলে প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি দূতাবাস ও প্রশাসনিক ভবন থাকায় ৫০০ মিটারের একটি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।
পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে নেয়, বন্ধ করে দেয়া হয় গণপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ। ইউ–২ লাইন সাবওয়ে চলাচল স্থগিত করা হয় এবং রাতভর স্প্রি নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
শত শত মানুষ আশ্রয় নেন বার্লিন মিট্টে টাউন হলে তৈরি করা জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে। পরে চাপ বেড়ে গেলে কাছের একটি স্কুলেও অতিরিক্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়।
শুক্রবার ভোরে পুলিশ জানায়, নদীতে পাওয়া বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার প্রয়োজন নেই।
এক পুলিশ মুখপাত্র জার্মান প্রেস এজেন্সিকে (ডিপিএ) বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে পারি—এখন আর কোনো ঝুঁকি নেই। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার দরকার নেই।
পুলিশ জানায়, বোমাটি চার মিটার পানির নিচে কাদায় ঢাকা ছিল, যার কারণে শুরুতে সঠিকভাবে মূল্যায়ন কঠিন হয়েছিল। নিরাপদ ঘোষণা দেয়ার পর বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়।
অন্যদিকে, বুধবার বার্লিনের স্পানডাউ জেলায় আরও একটি ১০০ কেজি ওজনের অবিস্ফোরিত বোমা পাওয়া যায়। এটি শুক্রবার নিয়ন্ত্রিতভাবে নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার ৪০০ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। একটি স্থানীয় জিমনেশিয়ামকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে এবং পুরো এলাকা পুলিশের পাহারায় রাখা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বোমাটি তাৎক্ষণিক ঝুঁকির নয়, তবে নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করা জরুরি।
জার্মান শহরগুলোতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার অবিস্ফোরিত বোমা পাওয়া এখনো সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে যেসব এলাকায় তীব্র মিত্রবাহিনীর বোমাবর্ষণ হয়েছিল, সেখানে নির্মাণকাজের আগে নিয়মিতভাবে বোমা অনুসন্ধান করা হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে