Views Bangladesh Logo

অলিম্পিকে কচ্ছপ

Pabitra  Sarkar

পবিত্র সরকার

লিম্পিকের তিনটে ‘লাতিন’ লক্ষ্যের কথা সবাই জানেন, citius, altius, fortius! মানে ‘আরও জলদি, আরও উঁচুতে, আরও জোরে।’ মনে রাখবেন, শুধু ১৮৯৬-এর গ্রিসের অলিম্পিক থেকে মানুষ নিজের জন্য এসব পাগলের মতো লক্ষ্য স্থির করেছে তাই নয়, একেবারে তার জন্মের প্রথম থেকে সে এসব ব্যাপারগুলোকে ভালো ভেবে এসেছে। এগুলোতে যেন প্রাপ্তি, এগুলোতেই যেন সাফল্য। না, শুধু মানুষ বলব কেন, পশুরাও নিশ্চয়ই জীবনের মূল্যে এসব শিখেছে।

একটা হরিণকে যখন সিংহ বা বাঘ তাড়া করেছে, শেয়ালকে কুকুর বা রাস্তার ছাতা-হাতে নিরীহ পথিককে পাগলা ষাঁড়, তখন তারা ভেবেছে, বাপু হে, আর কোনো ফালতু কথা নয়, কাউকে দেখে ‘গুড মর্নিং’ বলা নয়, কোনো দার্শনিকতাও নয়। Run for your life! ইংরেজি ব্যবহার করলাম বলে পাঠক মাপ করবেন, বাংলাতে ঠিক ‘জোর’টা আসত না। যারা ওরকম বাঁই-বাঁই ছুটতে পারেনি, তারা বাঘ-সিংহের খাবার হয়েছে, ষাঁড়ের গুঁতোয় চিতপাত।

অন্যদিকে শিকারি পশুরাও ভেবেছে, এই ব্যাটাচ্ছেলে! জোরে, আরও জোরে দৌড়ো, ওই হারামজাদাকে ধর্, নইলে আজ তোকে হয় থানকুনি পাতা চিবোতে হবে নয় হরিমটর করতে হবে।

আরও জলদির দায় দুদিকেরই ছিল। যে বাঁচতে চায় তার, যে মারতে চায় তারও। এই ছিল এক ধরনের ‘জেতার’ দর্শন। কাজেই দৌড়ের, দ্রুততার প্রেরণাটা খুব আদিম। প্রাণীরা শিকারের জন্য জোরে ছোটে, শিকার বাঁচবার জন্য তারও চেয়ে জোরে ছোটে- এই হলো দৌড়ের একটা আদি মেটাফর।

মানুষ পশুদের থেকে আলাদা হয়ে গেল যখন সে পর্বতের গুহা, গাছের ডালের নীড় বা মাটিতে গর্ত থেকে আলাদা করে পাকাপাকি বাড়ি তৈরি করল, মাটির, বাঁশ ও গাছপালার, টিনের, ইট-সিমেন্ট-কাচ-ইস্পাতের। হ্যাঁ, দৌড়ের প্রতিষেধক একটা কিছু- দৌড় থেকে ফিরে আসার, বিশ্রামের, ঘুমের একটা আস্তানা। তাতে আসন, চেয়ার, ইজিচেয়ার, শয্যা তৈরি করল, হাতপাখার ভূগোল, সময় ও সংস্কৃতি পার হয়ে ঘরে ফ্যান বা এসি বসাল। সে ভাবল, এইটা আমার দৌড়কে থামিয়ে রাখার জায়গা। ঘরের বাইরে গেলে আমি তো দৌড়োবই; কিন্তু আমার ঘর, আমার ‘হোম্ সুইট হোম্’- এই আমার বনলতা সেনের দুই চোখ, বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগৎ, সিংহল সমুদ্র থেকে মালয় সাগর- সব কিছু থেকে ফিরে আসার একটা ঠিকানা তো চাই। ঘর, ঘরনি, সন্তান- যারা অপেক্ষা করে তোমার ফেরার জন্য।

জীবনানন্দের কবিব্যক্তির এত কীসের দৌড় ছিল জানি না; কিন্তু মানুষ যে তাড়ায় থাকে, ছোটে, তার একটা কারণ তো ওই শিকারি পশুদের মতো- খাদ্য সংগ্রহ, ‘পাপী পেটকা সওয়াল’। নিজে খেতে হবে, স্ত্রী-সন্তানদের খাওয়াতে হবে। এটা পুরুষের দিক থেকে বললাম, মেয়েরাও তো অনেকদিন এই দৌড়ে নেমে পড়েছেন। অফিসে ব্যবসায় দোকানে স্কুলে আদালতে কারখানায় কাজে যাওয়ার আগে ছিল স্কুল-কলেজ-ওস্তাদের ঘর- সেখানেও ছোট ছোট। ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে ওঠা বা মায়ের বকে বকে ঘুম থেকে তুলে দেওয়া, কোনো রকমে চান করে, টিফিন খেয়ে স্কুলে দৌড়োনো, টিউটরিয়ালে যাওয়া, রাতে হোমওয়ার্ক করা- দৌড়, দৌড়, দৌড়! বাংলা মাধ্যম স্কুলের হলে শিশু হয়তো অপূর্বকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কবিতায় পায় সেই মৌমাছির কথা, যে ‘নাচি নাচি’ উড়ে যায়, আর সুকুমারমতি বালক-বালিকাকে বলে, ‘দাঁড়াবার সময় তো নাই!’ পায় কুঁড়েমির বিরুদ্ধে অজস্র পাঠ, নানা সময়ের নানা ভাষার নানা কবির। শিক্ষা শেষ হলো তো অফিসে দৌড়। বাড়ি থেকে রাস্তায় ছোটো, বাসের মিনিবাসের লাইনে দাঁড়াও, এবার যন্ত্রযান তোমার হয়ে দৌড়োবে। কলকাতার বাইরে থাকো তো ‘ডেইলি পাষণ্ড’দের দৌড়ে ঢুকে যাও। স্টেশনে দৌড়োও, দৌড় শুরু করা ট্রেনের শেষ কামরাটায় লাফিয়ে উঠে নিঃশ্বাস নাও।

অফিসে গিয়ে কি দৌড় থামল? জানি না, এখানে লোককথায় সরকারি আর বেসরকারি অফিসের সংস্কৃতি আলাদা হয়ে যায় শুনেছি। সরকারি অফিসে নাকি চাকুরে গিয়ে পৌঁছোলে প্রথম বেয়ারাকে ফ্যানটা চালিয়ে এক গ্লাস জল দিতে বলেন, তারপর বিগত দৌড়ের পরিশ্রম জুড়োতে একটু ঘুমিয়ে নেন। ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা খান। গ্রাহক এলে বসতে বলেন না, কান খোঁচান, হাঁটু দোলান, তারপর গ্রাহককে বলেন, ‘আর-একদিন আসুন।’ তিনি হয়তো এই দৌড়ের এক ক্লান্ত শিকার, অবশ্য এসব আমার শোনা কথা। আগে স্কুলের কোনো কোনো শিক্ষকও, বিশেষত মৌলভি আর পণ্ডিতমশাইরা ক্লাসে এসে ঘুমিয়ে নিতেন শুনেছি। তারাও হয়তো এই আমাদের অনেক আগেই বুঝে গিয়েছিলেন, এই দৌড়ের কোনো মানে নেই, কাউকে কোথাও পৌঁছে দেয় না।

কিন্তু আজকাল বেসরকারি কর্পোরেট সেক্টরে যারা কাজ করে তাদের অবস্থা তো ভয়াবহ বলে শুনেছি। দেখি তারা সকাল সাতটায় পিঠে ব্যাগ বেঁধে দৌড়োয়, সল্ট লেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে, তারপর সেখানে ঘণ্টা দশ-বারো কাটিয়ে আবার ফিরে আসে। তবে শুনেছি করোনা আসার পর ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করে দেওয়ায় এই শারীরিক দৌড় খানিকটা কমেছে। নইলে আগে তাদের ‘আইটি কুলিজ’ বলেও বিদ্রুপ করা হতো বলে শুনেছি।

এসবই ওই শিকারটির মতো, রানিং ফর ওয়ানস লাইফ!’ পেছনে যেসব হিংস্র পশু তাড়া করছে তাদের নাম দারিদ্র্য, অনাহার, ব্যর্থতার অপমান, সমাজে পিছিয়ে থাকার গ্লানি। পাশের বাড়ির জোন্সদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়। এসব ভয় পশুদের মতো দৌড়ে তাড়া করে না; কিন্তু মানুষের মনে ওঁত পেতে থাকে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে। না, পিছিয়ে পড়লে চলবে না। একটা দৈনিক পত্রিকা না পড়ে পিছিয়ে পড়ার চেয়ে এসব পিছিয়ে পড়া অনেক সাংঘাতিক সর্বনাশের কথা।

পশুর মতোই নিজেকে বাঁচানোর জন্য দৌড়; কিন্তু তারই মধ্যে একটা প্রতিযোগিতার উপাদানও মিশে যায়। লক্ষ্যটা নিছক ‘সারভাইভ্যাল’- আর আটকে থাকে না। আমি আগে যাব রে, তোর পা মাড়িয়ে চলে যাব, তোর বুকে ধাক্কা মেরে চলে যাব! এসব যদি নাও করি, আগে তো যাবই প্রাণপণে, তোর যা হয় হোক না। তাই শুনেছি কলকাতার নামী ইংরেজি-মাধ্যম স্কুলে ভর্তির জন্য মা-বাবা ভোর থেকে লাইন দেন, লাইনে ধাক্কাধাক্কি করেন, সন্তানকে বলেন খবরদার তোমার খাতা কাউকে দেখাবে না, তোমাকে ফার্স্ট (‘টপার’) হতেই হবে, পঁচানব্বই পার্সেন্টের নিচে নম্বর পেলে আমি আত্মহত্যা করব বলে দিলাম। পশুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা যে নেই তা বলি না। প্রেমিকাকে অধিকারের জন্য প্রতিযোগিতা আর যুদ্ধ আছে অনেক প্রাণীর মধ্যে- তাকে দৌড় বলব কি না জানি না; কিন্তু খাবারের জন্য লড়াই তো আমি রোজ সকালে নিজের চোখেই দেখি।

রোজ সকালে ছাদে গিয়ে কাকদের আটার গুলি খাওয়াই সকাল সাড়ে ছ-টা নাগাদ- প্রতিবেশী কাকেরা সেটার কথা জানে আর ছাদে আমার আবির্ভাবের জন্য প্রস্তুত থাকে, দেরি হলে রেলিংয়ে সারি দিয়ে বসে ডাকাডাকি করতে থাকে। আমি আলাদা আলাদা গুলি আলাদা আলাদা কাকের মুখে তুলে দিতে চাই, তারা তা নেয়ও; কিন্তু অনেক কাক পাশের কাককে পা দিয়ে ঠেলে দিতে চেষ্টা করে, তেড়ে যায়। নিচে ছাদের মেঝেতে গুলি ছুড়লে নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়িও করে। আবার এর উল্টো ছবিও আছে। একটা কাককে গুলি খাওয়ালাম তো, সে পাশে তার চ্যাঁচাতে থাকা ছানার মুখে সেটা ঠেলে দিল, তাও দেখেছি।

তবু, দৌড় থেকে রেহাই নেই বোধ হয় মানুষের। পুরস্কারের জন্য দৌড় তো এই সেদিন শুরু হলো- ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে ১, ২, ৩ নম্বর মাচার ওপর দাঁড়ানো- কিন্তু বাঁচার জন্য, সাফল্যের জন্য, আরও নাম যশ অর্থ রূপ শক্তি স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য দৌড় কবে থেকে শুরু হয়েছে কেউ জানে না। সভ্যতাই যাতায়াতকে দৌড়ে দাঁড় করিয়েছে। মানুষের শরীর যত দৌড়োয়, তার ইচ্ছা, কল্পনা আর স্বপ্ন তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি দৌড়োয়। সে আছে বর্তমানে; কিন্তু এক লাফ দিয়ে তার কল্পনা চলে যায় ভবিষ্যতে, অতীতের রূপকথা ছেড়ে সে ভবিষ্যতের রূপকথা- কল্পবিজ্ঞান রচনা করতে শুরু করে। সে গরুর গাড়ি ছেড়ে মোটরকারে, টানা রিকশা ছেড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশায়, নৌকা থেকে ভটভটিতে লঞ্চে-জাহাজে এগিয়েছে, শেষে পাখিদের মতো উড়েছে প্লেনে, হেলিকপ্টারে রকেটে। এই দৌড় থামাবে কে? সেই যে উপনিষদে বলা হয়েছিল ‘চরৈবেরি, চরৈবেতি’, তার পর থেকে মানুষের আর বিশ্রাম নেই। রবীন্দ্রনাথও প্রায়ই, নিজের উল্টো কথাগুলো প্রায়ই বেমালুম ভুলে গিয়ে, একে তোল্লাই দিয়েছেন বুড়োবয়সে, ‘হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে’, ‘শুধু ধাও, শুধু ধাও, উদ্দাম উধাও’ ইত্যাদি কত কিছু বলে।

বেশি দৌড় যে ভালো নয়, তা অবশ্য মানুষ বুঝেছে, মানুষের সভ্যতা বুঝেছে। তাই রাস্তায় সে ‘স্পিড লিমিট’ করে দিয়েছে, ৮০, ৬০, ৪০, ৩০ কিলোমিটার- যেখানে যে রকম। যৌবনে একটা বড়লোক দেশে গাড়ি চালাতে গিয়ে দেখেছি, দ্রুতগামী রাস্তায়ও গতি বাড়ালে চলবে না, ওপর থেকে পুলিশের হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে, বেচাল দেখলেই নিচের পুলিশদের খবর দিচ্ছে, তাদের গাড়ি এসে ঘ্যাঁক করে ধরছে অপরাধী গাড়িকে। আবার সেখানেই উল্টোটাও ঘটে, নির্দিষ্ট গতির চেয়ে আস্তে চালালেও পুলিশ ধরে অন্যদের দৌড়ে বাধা ঘটাচ্ছ বলে।

হ্যাঁ, ‘ধীরে চলার কথাও মানুষ বলে, থামার কথাও বলে। ‘যেন আমার গানের শেষে, থামতে পরি শমে এসে।’ ইংরেজি ভাষী বিশ্বে ‘taking it easy’ কথাটা ওই কারণেই বোধ হয় তৈরি হয়েছিল, ফাঁকিবাজির সমর্থনে নয়। সেই কচ্ছপের গল্প- The slow but steady wins the race; কিন্তু এ কথা কেউ বলে না যে, যে fast আর steady, সে হেরে যাবেই কি না। এটা মানি যে, দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে, দমবন্ধ তাড়াহুড়ো করে নিজেকে নিঃশেষ করে ফেলা কোনো কাজের কথা নয়। তলস্তয়ের ‘মানুষের কতটুকু জমি দরকার’ গল্পের চাষি তা আমাদের বুঝিয়েছে। শিল্পের একটা তত্ত্বে বিশ্রামের মহিমা গাওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে মহৎ কল্পনা ও সৃষ্টির জন্য বিশ্রামের ভয়ানক দরকার, তাকে the Leisure Theory of Art বলে শুনেছি। ‘আহ্, একটু বোসো না, অত তাড়া কীসের!’ এই অনুযোগ আমরা প্রায়ই শুনি, লোকে বলে, বাপু, একটু রয়ে বসে করো। অসমিয়ারা নাকি ‘লাহে লাহে’ অর্থাৎ ধীরে-সুস্থে ব্যাপারটাকে একটা জীবনদর্শন করে ফেলেছেন। রবীন্দ্রনাথেরই অনুসরণ করে বলতে ইচ্ছে করে, ‘ভারের বেগেতে চলেছ কোথায়, এ যাত্রা তুমি থামাও’।

আসল কথা বোধ হয় দুয়ের মধ্যে ব্যালান্স বা সামঞ্জস্য। প্রয়োজন হলে দৌড়োতেও হবে, আবার যখন দরকার থামতেও হবে, গাছের ছায়ায় বসে জিরিয়ে নিতেও হবে। বিভূতিভূষণের ডায়েরির একটা বাক্য পড়েছিলাম এক সময়, ‘গতিই জীবন, গতির লোপই মৃত্যু’। এমনিতে শুনতে ভালো লাগে এই বিরোধাভাস; কিন্তু তাকে এখন আর বিশ্বাস করি না। গতি আর গতির পুরোপুরি লোপ- এ দুয়ের মাঝখানে অনেক পর্যায় আর পরম্পরা আছে। দৌড়ও চাই, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে দৌড়, সেখানে বোকা খরগোশের মতো মাঝপথে ঘুমিয়ে পড়লে চলবে না। তেমনই কোনো একটা লক্ষ্য পৌঁছোলাম দৌড়ে, এবার সে প্রাপ্তিকে উপভোগও তো করতে হবে, অবসরও চাই। মানুষ নামক যে জীব, তার জন্য কাজও চাই, বিশ্রামও চাই, বিনোদনও চাই- ১৮৮৬ সালে শিকাগোর হে মার্কেটে কিছু শ্রমিক প্রাণ দিয়ে সব মানুষের কাছে এই দাবির উত্তরাধিকার পৌঁছে দিয়েছে। ব্যক্তিগত ইচ্ছে আর প্রবণতার জন্য তাতে রদবদল কিছু হতেই পারে; কিন্তু তার অনুমোদনযোগ্য সীমা কোথায়, তা নিয়ে গবেষণা চলতেই থাকবে।

আসল কথা, বাড়ে, কমে, থামে- এ রকম যা-কিছু মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, মানুষ তা মানুষেরই ভালোর জন্য, পৃথিবীর ভালোর জন্য বুঝেশুনে নিয়ন্ত্রণ করুক। আলো আর অন্ধকার, ধ্বনি আর নৈঃশব্দ্য, যন্ত্রের বা তার জীবনের গতি, এমনকি তার দুর্মদ অভিলাষ- সে শাসন আর সৌন্দর্যের অধীনে আনুক। গানের শেষে শুধু নয়, গানের মধ্যেও সে শমকে খুঁজে নিক।

কথাটা বলে নিজেকে কেমন মহাপুরুষ-মহাপুরুষ মনে হচ্ছে।

পবিত্র সরকার: ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক, নাট্য সমালোচক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ