Views Bangladesh Logo

হাজার বছর আগের ‘বাহুবলী’

Chandan  Chowdhury

চন্দন চৌধুরী

জ থেকে প্রায় বারশো বছর আগে, নবম শতকে এক দিগম্বর সন্ন্যাসী, যার নাম জিনসেন, এক অসাধারণ মহাকাব্য রচনা করেছিলেন। তার লেখা সেই কাব্য ‘আদি পুরাণ’ নামে পরিচিত যার মূল ভিত্তি ছিল প্রথম জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের জীবন এবং তার দুই পুত্র ভরত ও বাহুবলীর কাহিনি। এটি কোনো সাধারণ গল্প নয়, এটি অহংকারকে জয় করে আত্মিক মুক্তির এক অসাধারণ গাথা। এই গল্পে আমরা একজন বীর যোদ্ধা থেকে এক পরম জ্ঞানীর যাত্রার সাক্ষী হই।

অন্যদিকে, আজ থেকে মাত্র এক দশক আগে, ২০১৫ সালে এসএস রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এটি ছিল একটি মহাকাব্যিক অ্যাকশন-ড্রামা, যা ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। যদিও এটি হাজার বছরের পুরোনো গল্পের নাম বহন করে; কিন্তু এর মূল কাহিনি ভিন্ন। এটি দুটি রাজপুত্রের সিংহাসন দখলের লড়াই, যেখানে রক্ত, বিশ্বাসঘাতকতা আর ক্ষমতার লোভের এক নির্মম চিত্র দেখানো হয়েছে। এই দুটি বাহুবলীর গল্প থেকে আমরা শুধু দুটি ভিন্ন সময়ের কাহিনিই পাই না, পাই মানব চরিত্রের দুই ভিন্ন দিকেরও প্রতিফলন।

হাজার বছর আগের বাহুবলী: একজন সাধকের জয়
প্রাচীন ভারতের সেই গল্প শুরু হয় ঋষভনাথকে দিয়ে। তিনি ছিলেন একজন মহান রাজা, যিনি নিজের ক্ষমতা স্বেচ্ছায় ত্যাগ করে সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করেন। তিনি তার বিশাল রাজ্য তার দুই পুত্র জ্যেষ্ঠ ভরত ও কনিষ্ঠ বাহুবলীর মধ্যে ভাগ করে দেন; কিন্তু ভরত, যিনি পৃথিবীর রাজা হতে চাইতেন, একে একে সব রাজ্য জয় করতে লাগলেন। তার ক্ষমতার লোভ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, তিনি তার ছোট ভাই বাহুবলীর রাজ্যকেও দখল করতে চাইলেন।

শ্রাবণবেলগোলা - বাহুবলী (দক্ষিণ ভারত)


তিনি বাহুবলীর কাছে দূত পাঠিয়ে বশ্যতা স্বীকার করতে বলেন। বাহুবলী তার বড় ভাইকে সম্মান করলেও মাথা নত করতে রাজি হলেন না। দুই ভাইয়ের মন্ত্রীরা এই যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করলেন। তারা বললেন, ‘আপনারা একে অপরকে অস্ত্র দিয়ে হত্যা করতে পারবেন না। তাই আপনাদের যুদ্ধ অন্য উপায়ে করতে হবে।’ এই সিদ্ধান্ত অনুসারে, তিনটি ভিন্ন ধরনের দ্বন্দ্বযুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো: চক্ষুযুদ্ধ (দৃষ্টি দিয়ে একে অপরকে পরাজিত করা), জলযুদ্ধ এবং মল্লযুদ্ধ। এই তিনটি কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাহুবলী তার বড় ভাই ভরতকে পরাজিত করলেন।

বাহুবলী জয়ী হলেন ঠিকই; কিন্তু তার মন শান্ত হলো না। বড় ভাইয়ের প্রতি তার মনে গভীর অনুশোচনা জন্মাল। তিনি ভাবলেন, এই ক্ষণস্থায়ী ক্ষমতার জন্য এত বড় জয় অর্জন করে কী লাভ? জয় তো শুধু অহংকারকে বাড়িয়ে দেয়। বাহুবলী বুঝতে পারলেন যে তার জয়ের পেছনেও এক সূক্ষ্ম অহংকার লুকিয়ে আছে। তিনি তখনই সিদ্ধান্ত নিলেন, এই পার্থিব ক্ষমতা তার কাম্য নয়। তিনি তার রাজ্য বড় ভাই ভরতকে ফিরিয়ে দিলেন এবং একজন দিগম্বর সন্ন্যাসী হয়ে গেলেন।

এরপরের কাহিনি আরও গভীর। বাহুবলী নির্জন এক স্থানে এসে গভীর ধ্যানে মগ্ন হলেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, যতদিন না কেবল জ্ঞান (সর্বজ্ঞতা) লাভ করবেন ততদিন তিনি এই স্থান ত্যাগ করবেন না। তিনি কায়োৎসর্গ ভঙ্গিমায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন, ঠিক একটি পাথরের মূর্তির মতো। দিন, মাস, বছর কেটে গেল। লতাপাতা তার পায়ে জড়িয়ে গেল, পোকামাকড় তার শরীরে বাসা বাঁধল; কিন্তু তার ধ্যান ভাঙল না। এক বছর পর তার দুই বোন তাদের পিতা ঋষভনাথের কাছে বাহুবলীর কথা জানালেন। ঋষভনাথ তখন বললেন, ‘বাহুবলী জ্ঞানের খুব কাছে দাঁড়িয়েও জ্ঞান অর্জন করতে পারছে না, কারণ সে তার হস্তী (অহংকার) ত্যাগ করতে পারেনি।’

এই কথা শুনে বাহুবলী মনে মনে অবাক হলেন। তিনি ভাবলেন, ‘আমি কি সত্যিই কোনো হাতির ওপর দাঁড়িয়ে আছি?’ এই প্রশ্নটি করার সঙ্গে সঙ্গে তার চোখ খুলে গেল। তিনি বুঝতে পারলেন, তিনি কোনো হাতির ওপর দাঁড়িয়ে নেই, তিনি দাঁড়িয়ে আছেন তার অহংকার ও গর্বের ওপর। তিনি তখনই তার এই অদৃশ্য অহংকারকে ত্যাগ করলেন। যেই তিনি সামনে এগোনোর জন্য পা বাড়ালেন তখনই তার কেবল জ্ঞান লাভ হলো। অহংকারমুক্ত বাহুবলী এরপর তার পিতার কাছে গেলেন এবং মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে শুরু করলেন। তিনি হয়ে উঠলেন জৈন ধর্মের এক শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব।

তার ত্যাগ ও সংযমের কাহিনি ইতিহাসে চিরন্তন হয়ে আছে। আজও ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের শ্রবণবেলগোলায় ৫৭ ফুট উঁচু এক বিশাল একশিলা মূর্তি আছে যা বাহুবলীকে উৎসর্গ করে নির্মিত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বিনা-সহায়তায় দণ্ডায়মান মূর্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম। ৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এই মূর্তিটির অপর নাম গোমতেশ্বর এবং এটি ভারতের সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে। এছাড়াও বাহুবলীর দীর্ঘ বেশকিছু মূর্তি রয়েছে। এগুলো শুধু মূর্তি নয়, এটি বাহুবলীর ত্যাগের, অহংকারকে পরাজিত করার এবং আত্মিক মুক্তির এক জ্বলন্ত প্রতীক।

মূর্তি
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে বাহুবলীর পাঁচটি একশিলা মূর্তি আছে যেগুলোর উচ্চতা ২০ ফুটের বেশি।
৫৭ ফুট উঁচু মূর্তি, শ্রবণবেলগোলা, হাসান জেলা। ৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত।
৪২ ফুট উঁচু মূর্তি, কারকালা, উডুপি জেলা। ১৪৩০ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত।
৩৯ ফুট উঁচু মূর্তি, ধর্মস্থল, দক্ষিণ কন্নড় জেলা। ১৯৭৩ সালে নির্মিত।
৩৫ ফুট উঁচু মূর্তি, বেনুর, দক্ষিণ কন্নড় জেলা। ১৮০৪ সালে নির্মিত।
২০ ফুট উঁচু মূর্তি, গোমাতাগিরি, মহীশূর জেলা। দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত।
মহারাষ্ট্র রাজ্যের কোলাপুরের কুম্ভোজের বাহুবলী অতিশয়ক্ষেত্রে দণ্ডায়মান অবস্থায় একটি ২৮ ফুট উঁচু মূর্তি আছে।

চলচ্চিত্রের বাহুবলী: এক সিংহাসনের লড়াই
এসএস রাজামৌলির ‘বাহুবলী’ সিনেমাটির গল্প ভিন্ন। এটি কোনো আধ্যাত্মিক মুক্তি বা অহংকার ত্যাগের কাহিনি নয়, বরং ক্ষমতার লোভ আর প্রতিশোধের এক জটিল আখ্যান। এখানে দুটি প্রধান চরিত্র অমরেন্দ্র বাহুবলী ও ভল্লালদেব, মহিষ্মতী রাজ্যের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী। তাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয় জন্ম থেকেই, কারণ ভল্লালের পিতা সিংহাসন থেকে বঞ্চিত হলেও সর্বদা চাইতেন তার পুত্রই রাজা হোক।

রাজমাতা শিবগামী যদিও ভল্লালের মা; কিন্তু তিনি অমরেন্দ্রকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। তিনি যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে অমরেন্দ্রকে রাজা হিসেবে ঘোষণা করেন, কারণ অমরেন্দ্র বিদ্রোহ দমনে দক্ষতা ও অধিক বীরত্ব দেখিয়েছিলেন। ভল্লালদেব এতে ক্রুব্ধ হয়; কিন্তু রাজমাতার সিদ্ধান্ত প্রজা একবাক্যে মেনে নেয়।

এই সিনেমার মূল গল্প শুরু হয় অমরেন্দ্র বাহুবলীর পুত্রকে কেন্দ্র করে। শিবগামী বাহুবলীর সদ্যোজাত পুত্রকে নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন এবং নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে এক আদিবাসী গ্রামের লোকজনের হাতে তাকে তুলে দেন। সেই শিশু বড় হয়ে অমিত শক্তিশালী যোদ্ধা হয়, যার পরিচয় সে নিজে জানে না। সে তার পালিকা মায়ের শত বাধা সত্ত্বেও ঝর্ণার শীর্ষে আরোহণ করে এবং সেখানে বন্দিনী দেবসেনাকে উদ্ধার করতে যায়। সেখানেই সে মহিষ্মতী রাজ্যে প্রবেশ করে।

এই গল্পে আমরা দেখি এক ভয়ংকর ক্ষমতার লড়াই। ভল্লালদেব তার সিংহাসন রক্ষার জন্য নানা ধরনের নিষ্ঠুরতা করে এবং দেবসেনাকে বন্দি করে রাখে। এই গল্পের সবচেয়ে চমকপ্রদ অংশ হলো পুত্র যখন তার পিতা অমরেন্দ্রর পরিচয় জানতে চায় তখন বিশ্বস্ত সৈনিক কাটাপ্পা তাকে জানায় যে, সে অমরেন্দ্রকে নিজ হাতে হত্যা করেছে। এই রহস্যটিই পরবর্তী সিনেমা ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’-এর মূল ভিত্তি।

মহাভারতে বর্ণিত আছে মাহিষ্মতীর কথা। সূত্র: উইকিপিডিয়া


দুই বাহুবলীর যত মিল-অমিল
হাজার বছর আগের বাহুবলীর গল্প এবং এই সময়ের চলচ্চিত্রের বাহুবলীর মধ্যে বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কাহিনির মধ্যে প্রধান মিলগুলো হলো:

নাম এবং প্রধান চরিত্র: উভয় গল্পেরই কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘বাহুবলী’ নামের একজন। এটি একটি মৌলিক মিল যা দুটি কাহিনিকে একই নামের সঙ্গে যুক্ত করে।

ভ্রাতৃ-প্রতিদ্বন্দ্বিতা: দুটি কাহিনিরই মূল দ্বন্দ্ব দুই ভাইয়ের মধ্যে একটি রাজ্য বা সিংহাসনকে কেন্দ্র করে। প্রাচীন গল্পে এটি ভরত ও বাহুবলীর মধ্যে আর চলচ্চিত্রে এটি অমরেন্দ্র বাহুবলী ও ভল্লালদেবের মধ্যে। ক্ষমতার এই লড়াই উভয় গল্পেরই মূল চালিকাশক্তি।

অমিত শক্তি ও বীরত্ব: উভয় বাহুবলীই অমিত শক্তি এবং অসাধারণ বীরত্বের অধিকারী। প্রাচীন গল্পে বাহুবলী তিনটি কঠিন দ্বন্দ্বযুদ্ধে তার বড় ভাইকে পরাজিত করেন যা তার শারীরিক শক্তির পরিচয় বহন করে। চলচ্চিত্রেও অমরেন্দ্র বাহুবলীকে একজন অতুলনীয় যোদ্ধা হিসেবে দেখানো হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্র: উভয় গল্পেই একজন শক্তিশালী নারী চরিত্র মূল চরিত্রকে প্রভাবিত করে। প্রাচীন কাহিনিতে বাহুবলীর দুই বোন ব্রাহ্মী ও সুন্দরী এবং পিতা ঋষভনাথ তাকে আত্মিকজ্ঞান লাভের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন। চলচ্চিত্রে রাজমাতা শিবগামী মহিষ্মতী রাজ্যের ভাগ্য নির্ধারণ করেন এবং অমরেন্দ্রর জীবন ও সিদ্ধান্তকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেন।

ত্যাগ ও আত্ম-বলিদান: প্রাচীন বাহুবলী পার্থিব ক্ষমতা ত্যাগ করে আত্মিক মুক্তির জন্য সব কিছু বিসর্জন দেন। অন্যদিকে চলচ্চিত্রের অমরেন্দ্র বাহুবলী নিজের জীবন বিসর্জন দেন তার রাজ্যের মানুষের সুবিচার ও মঙ্গলের জন্য। উভয় ক্ষেত্রেই একজন মহান ব্যক্তিত্বের ত্যাগ ও আত্ম-বলিদানের বিষয়টি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে।

এই দুই গল্পের বাহুবলীর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। জিনসেনের বাহুবলী একজন সাধক, যিনি ক্ষমতা ত্যাগ করে আত্মিক মুক্তি খুঁজেছেন। তার যুদ্ধ বাইরের শত্রুর সঙ্গে নয় বরং নিজের ভেতরের অহংকারের সঙ্গে। তিনি জয়ী হয়েও নিজেকে পরাজিত মনে করেছেন এবং সবকিছু ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক পথে পা বাড়িয়েছেন। তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কেবল জ্ঞান লাভ করা।

অন্যদিকে, চলচ্চিত্রের বাহুবলী একজন যোদ্ধা। তার জীবন সিংহাসনের অধিকার, ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিশোধের লড়াইয়ে আবর্তিত। অমরেন্দ্র বাহুবলী এবং তার পুত্র উভয়েই রাজ্যের সম্মান ও জনগণের সুখের জন্য যুদ্ধ করেছে। তাদের যুদ্ধ ছিল বাইরের শত্রুর বিরুদ্ধে- ভল্লালদেবের মতো স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যের শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।

জিনসেনের বাহুবলী আমাদের শেখায় যে সত্যিকারের শক্তি শারীরিক ক্ষমতার মধ্যে নয় বরং আত্মিক সংযম ও ত্যাগের মধ্যে। এটি একটি আধ্যাত্মিক শিক্ষা যা আমাদের পার্থিব লোভের ঊর্ধ্বে উঠতে অনুপ্রাণিত করে। পক্ষান্তরে, রাজামৌলির বাহুবলী একটি অ্যাকশন-প্যাকড ড্রামা যা দেখায় ক্ষমতার লোভ মানুষকে কতটা অন্ধ করে তুলতে পারে এবং কীভাবে এক সাধারণ মানুষ নিজের পরিচয় খুঁজে বের করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারে।


একই নামে দুটি ভিন্ন গল্প; কিন্তু দুটিই নিজেদের সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। একটি আমাদের ভেতরের অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়তে শেখায় অন্যটি বাইরের জগতের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করে।

চন্দন চৌধুরী: কবি ও অনুবাদক

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ