থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই
দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাতের অবসান ঘটাতে অভিন্ন সীমান্তে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। শনিবার দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক যৌথ ঘোষণায় বিষয়টি নিশ্চিত করে।
গত ২০ দিনের এই সংঘাতে দু’পক্ষের অন্তত ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী এ দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ ও তীব্র সামরিক উত্তেজনা। চুক্তি অনুযায়ী, শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১২টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নাথফোন নাকফানিট ও কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী টি সিহা এক যৌথ বিবৃতিতে জানান—শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সীমান্তে বর্তমানে মোতায়েন সেনাদের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। পাশাপাশি কোনো পক্ষই নতুন করে সেনা সমাবেশ বা উসকানিমূলক সামরিক তৎপরতা চালাবে না।
আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরই এই সমঝোতায় পৌঁছায় দুই দেশ। এর আগে সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে নির্বিচার বোমাবর্ষণের অভিযোগ তোলে কম্বোডিয়া।
দীর্ঘদিনের এই সীমান্ত বিরোধে বিশেষ করে কম্বোডিয়ার অর্থনীতি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। পর্যটন ও সীমান্ত বাণিজ্য প্রায় অচল হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। অবশেষে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের ঘরে ফেরার আশার আলো জেগেছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা নির্ভর করবে পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপ এবং সীমান্ত বিরোধের স্থায়ী সমাধানের ওপর। এদিকে উভয় দেশের সামরিক কর্তৃপক্ষ বাহিনীকে শান্ত থাকার এবং চুক্তির শর্ত কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে