আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা চলছে
জুলাই গণআন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ দ্বিতীয় সাক্ষী রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এ কে এম মঈনুল হককে জেরা করছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন বিচারকের ট্রাইব্যুনালে এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। অন্য দুই সদস্য হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
২৮ আগস্ট জুলাই আন্দোলনে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। সেদিন তার জেরা সম্পন্ন হলেও সাংবাদিক এ কে এম মঈনুল হকের জেরা বাকি ছিল।
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা মামলাটির ছয় আসামিকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তারা হলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।
বেরোবির সাবেক ভিসিসহ এ মামলার অন্য ২৪ জন আসামি পলাতক। ২২ জুলাই তাদের পক্ষে সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ৬ আগস্ট ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠনে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম। ২৯ জুলাই গ্রেপ্তার হওয়া অন্য তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। এর মধ্যে সাবেক প্রক্টর শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।
৩০ জুন মামলাটির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। আর ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে