‘শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে কর প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য’
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে প্রদেয় অর্থের উপর কর আরোপের প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য ও দুঃখজনক দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
সৈয়দ সুলতান বলেন, সরকার কখনোই এই তহবিলগুলোতে সরাসরি বাজেট বরাদ্দ দেয় না। বরং কোম্পানির মোট লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের প্রাপ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যার ১০ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা পড়ে। এই তহবিল মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত প্রান্তিক শ্রমিকদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও মাতৃত্বকালীন সহায়তার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমন মানবিক খাতের ওপর কর আরোপ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই তহবিলের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘হোয়াইট পেপার’ প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। এর আগেও এই তহবিল রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহারের অভিযোগ ছিল। আর এখন প্রান্তিক শ্রমিকদের ক্যানসার চিকিৎসা কিংবা শিশুচিকিৎসার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কর কেটে নেওয়ার প্রস্তাব অত্যন্ত বিস্ময়কর এবং অমানবিক।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, শ্রমিক কল্যাণ সংশ্লিষ্ট সকল তহবিলের ওপর প্রস্তাবিত কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের কল্যাণ ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী একটি পৃথক বিশেষ তহবিল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তব্যে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে কর প্রস্তাবের কথা জানান।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে