বাংলায় সুফিবাদ, পালাগান, রাজনৈতিক বিরোধ এবং একজন আবুল সরকার
‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’ এবং ‘আমি তোমার দুটি চোখের দুটি তারা হয়ে থাকব’... আশির দশকে যাদের জন্ম বা বেড়ে ওঠা এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে এসব গান তাদের হৃদয় মথিত করে গেছে। কালজয়ী এসব গান ১৯৮৪ সালে নির্মিত বাংলা ছায়াছবি 'নয়নের আলো'র। আমাদের প্রজন্মের অনেকেই সেই সিনেমার কথা মনে করতে পারবে।
গ্রামের ভাব সাধকের পরিবার কিভাবে স্থানীয় রাজনীতির শিকার হয়ে নিগৃহীত হচ্ছে, এই সিনেমায় মূলত সেই প্রেক্ষাপটের আংশিক দিক তুলে ধরা হয়। গ্রামের মাতবর, জোতদার ও মোড়ল শ্রেণি কিভাবে ধর্মের দোহাই দিয়ে সাধক পরিবারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে সমাজের সবাইকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, সেই গল্পটা খুব ছোট আকারে কিন্তু বিস্তারিত প্রেক্ষাপটে ওঠে এসেছে এই চলচ্চিত্রে।
'নয়নের আলো'র এই সার-সংক্ষেপ কেবল নিছক গল্প নয়, বরং কয়েক শতক ধরে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে কিভাবে মতাদর্শের বিরোধকে ধর্মের লেবাস পরিয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করা হয়েছে, তার প্রচ্ছন্ন একটি চিত্র।
সম্প্রতি দেশে এই গান ইস্যুতেই বেশ কয়েক মাস ধরে তর্ক-বিতর্ক চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, তাতে ধর্মীয় মৌলবাদীদের আপত্তি, সেই আপত্তির মুখে এই নিয়োগ স্থগিত। সেই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ। এই ইস্যু চলমান থাকতেই সেই আলাপের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে আল্লাহকে কটাক্ষ করার দায়ে মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেফতার।
এরপর তার বসতবাড়িতে হামলা, প্রতিবাদী বাউল শিল্পীদের ওপর আঘাত এবং আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আবারও দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাউল শিল্পী আবুল সরকারের পরিবারের ওপর নেমে এসেছে চরম দুঃসহ সময়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তার মেয়ে ইনিমা রোশনি। ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওরের জাবরা এলাকায় ‘খালা পাগলির মেলা’র পালাগানের আসরে বাউল শিল্পী আবুল সরকার ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন— এমন অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
এরপর ১৯ নভেম্বর রাতে মাদারীপুরে একটি গানের আসর থেকে আবুল সরকারকে গ্রেফতার করে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন বাদী মুফতি মো. আবদুল্লাহ ঘিওর থানায় মামলা করলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আপাতদৃষ্টিতে এটি ধর্ম অবমাননার সাধারণ একটি ঘটনা মনে হলেও এলাকাবাসী আর প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা যায়, এই ধর্ম অবমাননার অভিযোগ কেবল একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। আবুল সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই তাকে এরকম হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।
বিষয়টা খোলাসা করা প্রয়োজন। ঘটনা যে মানিকগঞ্জ জেলায় সেই জেলা বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি চর্চার অন্যতম আকরভূমি। এখানকার পালাগান, কবিগান আর বিচারগানের বহু শিল্পী দেশজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।
এখানে বিখ্যাত শিল্পী হাকিম আলী গায়েনের নামে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রাম থিয়েটারের একটি দল হাকিম আলী গায়েন থিয়েটার গড়েছিলেন। ফলে, এই এলাকায় মানুষ কয়েকশো বছর ধরেই কবিগান, পালাগান ও মরমিবাদ চর্চার ভেতর দিয়ে গেছে।
পালাগানের তর্ক-বিতর্ক, যুক্তি, ধরণ এবং তাতে ধর্মীয় উপাদান, ধর্ম বিষয়ক উপস্থাপন এই এলাকায় বহুল পরিচিত। সেখানে, আবুল সরকারের উপস্থাপনের ধরণ এই এলাকায় নতুন কিছু নয় বা মানুষের কাছে অপরিচিত ও উদ্ভট নয়।
তাহলে হঠাৎ কেন এই উত্তেজনা? এলাকায় আবুল সরকারের কয়েক হাজার অনুসারী রয়েছে, বহু সাগরেদ তাঁর কাছে জীবনবাদী দীক্ষা নিয়েছে, নিচ্ছে। তার এই জনপ্রিয়তার ফলেই সম্প্রতি একটা গানের জলসায় স্থানীয় বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী আফরোজা খান রীতার পক্ষে উনাকে মঞ্চে দাঁড়াতে হয়।
ধানের শীষে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা গান গাইতে পারব। অন্যথায় আমাদের গান শেষ।” মূলত এখানেই সমস্যা। স্থানীয়দের দাবি, ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাওয়ার ফলেই তার বিচার গানের যুক্তি তর্কের বিতর্কিত অংশ হাইলাইটস করে এই অপপ্রচার।
এখানে বাউল আবুল সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়ানোর অভিপ্রায় মুখ্য নয়। বরং আমার আলোচনার বিষয়, এই পূর্ববঙ্গের মাটিতে আবহমান মতাদর্শের বিরোধের ইতিহাস সন্ধান। সেই ইতিহাস খুঁড়তে গেলে দেখা যায়, এই ধরনের ঘটনার বীজ এই ভূখণ্ডেই নয়, বরং তার বপন হয়েছে আরব ভূমিতে।
ফলে মরমি মনসুর আল-হাল্লাজ, আইন আল-কুজাত হামাদানি, ইশরাকি দার্শনিক শাহাব আল-দিন সোহরাওয়ার্দী , অটোমান মরমি ও বিদ্রোহী শেখ বেদেরেদ্দিন এবং মুঘল ভারতে বিচরণকারী দরবেশ সারমাদ কাশানির মৃত্যুদণ্ডের ধারাবাহিকতাতেই এই বাংলায় বাউল, মরমি, কবি আর গায়েনদের নির্যাতন।
ইসলামি বিশ্বে সুফিবাদ দমনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এটি ধর্মীয় ও পরবর্তী শতাব্দীতে রাজনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই হয়েছে। এর গহীনে যেতে হলে আমাদের বেশ কয়েকশো বছর পেছনে চলে যেতে হবে। এই বাংলায় মরমিবাদের জন্ম আর উপমহাদেশীয় আবহে এর বিকাশের গোড়ার কাহিনির কাছাকাছি যেতে হবে।
বাংলায় ইসলামের প্রচার ও প্রসার যেভাবেই হোক না কেন, এখানে সুফিদের উদার দর্শনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। সুফিরা সালিক ও মজ্জুব দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিলেন। সালিকরা শরিয়তপন্থী আর মজ্জুবেরা শরিয়তকে গুরুত্ব দিতেন না। তারা শরিয়তের চেয়ে মারেফাত বা ঈশ্বরপ্রেমকেই বেশি গুরুত্ব দিতেন এবং হিন্দুধর্ম সম্পৃক্ত স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন।
মুসলমানের পাশাপাশি বহু হিন্দুকেও তাদের মুরিদ বানাতে সক্ষম হন। আবার এই ভূমির বৈষ্ণব ধর্ম সুফিদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে এবং সুফিরাও হিন্দু গুরুদের প্রতি ভক্তিশীল হয়ে সমন্বয়বাদী― হিন্দু-মুসলমান সংস্কৃতি ও ভাবাদর্শের সমন্বয়ক হয়ে ওঠেন।
ফলে হিন্দুদের গুরুভক্তির আদলে মুসলমানদের মধ্যে শুরু হয় পীরভক্তি। ক্রমে ক্রমে সত্যপীর, মানিকপীর, ঘোড়াপীর, মাদারীপীর ও কুমীরপীর নামে পাঁচ পীরের পূজা আরম্ভ হয়। হিন্দুদের বনদুর্গা বা বনদেবী, ওলাইচণ্ডী প্রভৃতি লৌকিক দেবী মুসলমানদের বনবিবি ও ওলাবিবিতে রূপ নেয়।
এসব পীর ও লৌকিক দেবদেবীর প্রতি ভক্তি-বিশ্বাস ও মাজার ভক্তি বাংলার গ্রামীণ সমাজে আজও প্রচলিত। এই ভূখণ্ডের মানুষ ধর্মীয় দিক থেকে নয়, বহু পুরুষের ধারাবাহিক বিশ্বাসে এসব আনুষ্ঠানিকতা করে থাকে। শ্রীচৈতন্যের শ্রীকৃষ্ণনামসংকীর্তনের অনুকরণে বাংলার মুসলমান শুরু করে মিলাদ।
ঐতিহাসিকদের মতে, মিলাদের প্রচলন আরব দেশ থেকে আসেনি, এসেছে বৈষ্ণব ধর্ম থেকে। মজ্জুব সুফিরা এই সমন্বয়টা করে নিয়েছিলেন।
উল্টা দিকে এইসব আচার অনুষ্ঠানকে বেদায়াত বা ইসলামে নতুন আবিষ্কার বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন শরিয়তপন্থীরা। তারা এই স্থানীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠলেও কখনোই সাধারণ মানুষকে বিরত রাখতে সফল হয়নি। কারণ সহস্র বছর ধরে চলা এসব রীতি বাংলার সংস্কৃতি। বাংলার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করলেও তাদের আচরিত সংস্কৃতিকে পরিত্যাগ করতে পারেনি।
ভাদ্র মাসের বৃহস্পতিবারের বেরা ভাসান উৎসব আসলে ইসলামি মিথের সমুদ্র-শাসক খোয়াজ খিজিরের উপাসনা। ইতিহাসের দলিলে আছে, হিন্দু-মুসলমানের মিলিত উৎসব বেরা ভাসানে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাও যোগ দিতেন।
বাংলায় ইসলাম প্রসারের শুরুতে গ্রামীণ সমাজে যাত্রা ও বারোয়ারী পূজার মতো আচার হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে সমান ভাবে উপভোগ করতো। মূর্তিপূজা ও হিন্দুপুরাণের বিষয়বস্তু নিয়ে পৌরাণিক পালা ও কবিগান মুসলমানরাও উপভোগ করতো। হিন্দু ও মুসলমান সাধকের জীবনযাত্রার মধ্যে কিছু কিছু বৈসাদৃশ্য থাকলেও তারা মূলত একটি জাতিগোষ্ঠীই ছিল― মরমি, ভাবুক ও ভবঘুরে গোষ্ঠী।
ওয়াহাবি-ফরাজি আন্দোলনের পরবর্তীকালে বাঙালি মুসলমানদের একটা শ্রেণি সহজিয়া ইসলামের পরিবর্তে কট্টর ইসলামি ভাবাদর্শ গ্রহণ করতে শুরু করল। একইভাবে ভাষার মধ্যে যতদূর সম্ভব তৎসম শব্দ ছেঁটে ফেলে প্রবিষ্ট করতে লাগল আরবি-ফারসি শব্দ। উর্দু ও ফারসি শেখার ঝোঁক বেড়ে গেল। সাধারণ মুসলুমানরা উৎসাহী হয়ে উঠল আরব, তুরস্ক ও পারস্যের ইতিহাস চর্চায়।
এভাবে ঊনিশ শতকজুড়ে জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলমানরা বিচ্ছিন্ন হতে লাগল হিন্দুদের থেকে। শিরহিন্দি, দেহলভি ও বেরলবির উত্তরসুরী হাজী শরিয়তউল্লা-তিতুমীরের পূর্ণ ইসলামায়ন আন্দোলনের ফলে দেখা গেল এই ভূমির নতুন মুসলমানরা তাদের পূর্বপুরুষ হিন্দুদের সেই আগের অভিন্ন আচার-আচরণ আর অভ্যাস পরিত্যাগ করেছে।
বেশির ভাগ মুসলমান সহজিয়া ইসলামি সংস্কৃতিকে পরিত্যাগ করে আরবীয় কট্টর ইসলামের অনুসারী হতে লাগল। কিন্তু সে তুলনায় বাউল সম্প্রদায় এবং তাদের অনুসারীরা সেই সহজিয়া ইসলামি দর্শনের ধারক ও বাহক হয়ে রয়ে গেল। এরপর এই মরমি সাধকদের শরিয়তের কঠোর পথে টানতে বিভিন্ন সময় চাপ ও বল প্রয়োগ অব্যাহত থাকল, যার ফল মতাদর্শের বিরোধ এবং এই বিরোধ থেকেই অপেক্ষাকৃত নিরীহ এবং অহিংস বাউলদের প্রতি কর্তৃত্বপূর্ণ আচরণ।
কিন্তু এই বিরোধের মধ্যে দিয়ে যেয়েই এই বাংলায় টিকে থাকল বাউল গান, বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকায়ত সংগীতের একটি অনন্য ধারা। বাংলায় মুসলিম সুফিদের আবির্ভাব পরবর্তী সময়ে তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের ভাব, রাধা-কৃষ্ণবাদ, বৈষ্ণব সহজিয়া তত্ত্বের সাথে ব্যাপকভাবে মিশে যায় সুফি দর্শন। আবহমান বাংলার প্রকৃতি, মাটি ও কৃষিভিত্তিক সামাজিক মানুষের দর্শন, সাম্য আর মানবতার কথা নিয়ে সেই সতেরো শতকের গোড়া থেকে টিকে থাকে বাউল গান।
মরমিবাদের আদলে নিজ দেহের মধ্যে ঈশ্বরকে পাওয়ার তীব্র ব্যাকুলতা থেকেই বাউল ধারার সৃষ্টি। বাউলের ভূখণ্ড তার দেহ, পথপ্রদর্শক তার গুরু, জীবনসঙ্গী নারী, সাধনপথ বলতে সুর, আর মন্ত্র বলতে একতারা। এখানে মূলমন্ত্র একটাই— আল্লাহর সাথে মিলনের ব্যাকুলতা। মরমি বাউলদের বিশ্বাস, মহান আল্লাহ মানুষের দৈহিক অবয়ব সৃষ্টির বহু আগেই সমস্ত রুহ বা আলমে আরওয়াহ (রুহসমূহের জগৎ) সৃষ্টি করেন।
এই রুহ আল্লাহ থেকে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়, এক ও একাত্ম। আল্লাহর নির্দেশে যখন রুহ মানুষের দেহে প্রবেশ করে, তখন ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক, রুহকে প্রবেশ করতে হয়েছিল। কিন্তু প্রবেশের পর থেকে নিজ দুনিয়ায় আলমে আরওয়াহ-এ ফিরে যাওয়ার জন্য রুহের ব্যকুলতা।
এই বাউল গানের একটি ধারাই হলো পালাগান বা কাহিনিমূলক লোকগীতি। পালাগান প্রধানত পৌরাণিক ও লৌকিক আখ্যানভাগ নিয়ে রচিত। এ গান কাহিনিমূলক হওয়ায় তা কথোপকথন আকারে পরিবেশিত হয়। এই কথোপকথন বা তর্ক কখনও কখনও গ্রামের কৃষক শ্রেণির ভাষায় চলে, যা অনেক সময় অশ্লীলও হতে পারে। ভাষার ব্যবহার যেমনই হোক, এখানে মূল দর্শন আল্লাহর সাথে একাত্ম বোধ।
এই বোধের জগতে মানুষ আর আল্লাহর মধ্যে আলাদা কোনো সত্তার স্থান নেই, মরমি বাউল মাত্রই আল্লাহর অস্তিত্বে বিলীন। ফলে, বাউলের ভাষার প্রয়োগ নিজের জন্য যেমন, সৃষ্টিকর্তার জন্যও তেমন। বাউল আবুল সরকারের ভাষার প্রয়োগ এই অর্থেই সভ্যদের মাঝে অশ্লীল শোনাতে পারে। কিন্তু ভাব দর্শনের প্রেক্ষিতে সেটি একটি ধারাবাহিকতা মাত্র।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও সংবাদকর্মী
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে