সালমান শাহের মৃত্যুর মামলায় রিভিশন শুনানি পিছিয়ে ১৩ অক্টোবর
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় তার মায়ের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১৩ অক্টোবর পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আবেদনে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শুনানির নতুন এ দিন ধার্য করেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হকের আদালত।
সালমান শাহের মা থাকতে না পারলেও রিভিশন শুনানিতে আদালতে ছিলেন মামা আলমগীর কুমকুম। বাদিনীর পক্ষে আরও সময় চেয়ে আবেদনটি জানান আইনজীবী মো. আবিদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মারা যান চিত্রনায়ক সালমান শাহ। রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগের তদন্ত একসঙ্গে করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গৃহীত হলে এতে নারাজি দিয়ে রিভিশন মামলাটি করেন তার বাবা কমরউদ্দিন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটিকে বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদনটি দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বা আত্মহত্যা বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদিনী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন জানান তিনি। সর্বশেষ আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে একই ধরনের প্রতিবেদন দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (পিবিআই)। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটির নিষ্পত্তি করেছিলেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলাটি করেন সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে