পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার পর এক্স-এ ‘বেলুচিস্তান প্রজাতন্ত্র’ ট্রেন্ডিং
বেলুচ নেতারা পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স- এ ‘বেলুচিস্তান প্রজাতন্ত্র’ শব্দটি ট্রেন্ডিংয়ের বিষয় হয়ে উঠেছে।
পেহেলগাম হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার সাথে সাথে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যেখানে স্বাধীন বেলুচিস্তানের জন্য চাপ দিতে এই মুহূর্তটি কাজে লাগাচ্ছেন বেলুচরা।
বুধবার (১৪ মে) স্বাধীন বেলুচিস্তানের নতুন মানচিত্র ও পতাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের ভিডিওতে ভরে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
৯ মে এক্স হেন্ডেলে পাকিস্তান থেকে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন প্রখ্যাত বেলুচ লেখক ও সমাজকর্মী মীর ইয়ার বেলুচ। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘকে আহ্বান এবং নয়াদিল্লিতে বেলুচ দূতাবাস খুলতে ভারত সরকারের অনুমতিও চান তিনি।
এক্স-এর ধারাবাহিক পোস্টে বেলুচিস্তানের বাসিন্দাদের ওপর পাকিস্তানের অত্যাচারের কথাও তুলে ধরেন মীর ইয়ার বেলুচ। জাতিসংঘকে বেলুচিস্তানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠিয়ে পাকিস্তানি সেনা হটানোর আহ্বান এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ওই এলাকা ত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি লিখেছিলেন, ‘সন্ত্রাসী পাকিস্তানের পতন ঘনিয়ে আসায় শিগগিরই সম্ভাব্য ঘোষণা করা উচিত। স্বাধীন বেলুচিস্তানের স্বীকৃতির সমর্থন দিতে জাতিসংঘকে সব সদস্য দেশের সভা আয়োজনেরও আহ্বান জানাচ্ছি। মুদ্রা ও পাসপোর্ট মুদ্রণে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রকাশ করতে হবে’।
স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত বেলুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) ভিডিও শেয়ার করে মির লেখেন, ‘আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছি। বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে স্বাধীন বেলুচিস্তান। দ্রুতই রাষ্ট্রের প্রথম সরকার গঠিত হবে। তার আগে প্রশাসন থেকে সরে যেতে হবে অ-বেলুচদের। মন্ত্রিসভায় বেলুচ নারীদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
এর দুদিন আগে বুধবার (৭ মে) বেলুচ লিবারেশন আর্মির দুটি হামলায় নিহত হন ১৪ জন পাকিস্তানি সেনা। প্রদেশটির বোলান ও কেচ এলাকায় পৃথকভাবে রিমোট-কন্ট্রোলড ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বোমার (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটান স্বাধীনতাকামীরা।
প্রথম ঘটনায় দুপুরে বোলান জেলার মাচের শোরকান্দের পাহাড়ি রাস্তায় একটি আইইডি একটি সামরিক কনভয়ে আঘাত করে। শক্তিশালী ওই বিস্ফোরণে দুই স্পেশাল অপারেশন কমান্ডার তারিক ইমরান ও উমর ফারুকসহ ১২ জন সৈন্য নিহত হন। এর পর পরই কেচ জেলার কুলাগ টিগ্রানে দ্বিতীয় আইইডি হামলা ঘটে, যেখানে দুজন সেনার মৃত্যু হয়।
দুটি হামলারই দায় স্বীকার করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে ‘ভাড়াটে বাহিনী’ বলে অভিহিত করেন বিএলএর মুখপাত্র জিয়ান্দ বালুচ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আমাদের ভূমি দখলের চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে হামলা আরও বাড়বে’। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ছেড়ে কথা বলব না’।
বেলুচ ভূখণ্ডের ৩০ শতাংশ দখল করতে পেরেছে বলেও দাবি বেলুচ লিবারেশন আর্মির।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে