ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন পুতিন-জেলেনস্কি
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনার পর এই বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এবং পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ঘোষণা করেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অঘোষিত কোনো স্থানে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকের লক্ষ্য হচ্ছে বহুদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা শান্তি প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করা।
হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জেলেনস্কি সরাসরি আলোচনায় বসতে প্রস্তুতির কথা জানান। এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে ক্রেমলিনও। ট্রাম্প বলেন, তিনি পরবর্তীতে উভয় নেতাকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকও আয়োজন করবেন।
ওয়াশিংটনের আলোচনায় ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানান, কিয়েভের জন্য ন্যাটো সদস্যপদ বিবেচনায় নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো নতুন নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি নিয়ে সমন্বয় করবে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে এ বৈঠককে “একটি অগ্রগতি” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তবে ইউরোপীয় নেতারা সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেছেন এবং মস্কোর প্রতি অতিরিক্ত ছাড় দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
ট্রাম্প কিয়েভকে ক্রিমিয়া ছাড় দেয়ার পাশাপাশি ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার কথা বিবেচনা করতে আহ্বান জানিয়েছেন—যা রাশিয়ার প্রধান দুটি দাবি।
এদিকে ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ হয় এমন যেকোনো চুক্তি যেকোনো চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ এবং ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্স স্টাব।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে