Views Bangladesh Logo

দশ মাসে ১৮ হাজারের বেশি সন্দেহজনক লেনদেন : বিএফআইইউ

০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে ১৮ হাজার ২৫টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করা হয়েছে। যা আগের পুরো অর্থবছরের তুলনায় বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৩৪৫টি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

বিএফআইইউ’র বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তাদের কাছে পাঠানো ঋণসংক্রান্ত সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৫টি, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি। ফলে এক বছরের ব্যবধানে এ ধরনের লেনদেন প্রতিবেদনের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ২৩৯টি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ২৮০টি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএফআইইউ’র বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ’র প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও উপপ্রধান মো. কাওছার মতিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান, পরিচালক মহুয়া মহসীন প্রমুখ।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আলোচ্য সময়ে দেশে নগদ লেনদেন হয়েছে ৩৯.৩৫ মিলিয়নটি। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচারকৃত অর্থ শনাক্ত ও উদ্ধারে তদন্তকারী সংস্থাগুলোর দক্ষতা এবং পারস্পরিক সমন্বয় আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তবে বিষয়টি নতুন হওয়ায় সময় লাগবে।

এছাড়া দুর্বল অবস্থানে থাকা কিছু ইসলামী ব্যাংককে দুটি বড় ব্যাংকে রূপান্তরের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান গভর্নর। তিনি বলেন, সবচেয়ে দুর্বল একটি ব্যাংককে সরকারি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ব্যাংকটি আরও শক্তিশালী হবে এবং আমানতকারীদের অর্থ আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে। তিনি আশ্বস্ত করেন, নিয়ম-নীতি মেনেই এই অধিগ্রহণ হবে।

বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন (এফআইআর) বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ