ইরানের সতর্কবার্তা: জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা দিলে বাতিল হবে পরমাণু চুক্তি
ইরান সতর্ক করে জানিয়েছে, জাতিসংঘ যদি তাদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে দেশটি জাতিসংঘের সঙ্গে করা পরমাণু অস্ত্র নিরোধ চুক্তি নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি) থেকে সরে আসবে। বৃহস্পতিবার টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি এ হুমকি দেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে বৈঠকের প্রস্তাব দেয়। তবে তেহরান জানায়, আলোচনায় বসতে রাজি হলেও পর্যবেক্ষকদের সরেজমিনে পরমাণু স্থাপনা দেখানো হবে না। এ প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে ইরান ও আইএইএ’র মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এ সময়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি মধ্যস্থতার চেষ্টা চালালেও তা ব্যর্থ হয়। বরং তারা ইরানের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের জ্যাকোপা চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ আগামী শনিবার নিউইয়র্ক সময় রাত ১২টা থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়।
আরাগচি সতর্ক করে বলেন, 'জাতিসংঘ যদি কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়, তবে ইরানও নিজেদের অঙ্গীকার থেকে সরে আসার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাববে।'
১৯৭০ সালে শাহ রেজা পাহলভীর শাসনামলে ইরান এনপিটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল-দেশটি কখনও পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি হাতে নেবে না এবং আইএইএকে সহযোগিতা করবে।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদের মাত্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএইএ। সংস্থাটি দাবি করে, এই মজুদ সহজেই পরমাণু বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা সম্ভব। এর পরপরই ইসরায়েল ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ নামে বিমান হামলা চালায়, যা ১০ দিন ধরে চলে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দেয়।
২৬ জুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে জাতিসংঘের সঙ্গে ইরানের টানাপোড়েন আরও বেড়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই অভিযোগ করেন, 'ইরানে ইসরায়েলি হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে আইএইএ।'
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে