Views Bangladesh Logo

হাসিনার শাসনামলে কোনো দুর্নীতি, হত্যাকাণ্ড ঘটেনি: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন দাবি করেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে কোনো দুর্নীতি বা রাষ্ট্র পরিচালিত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ চলমান একটি মামলায় উত্থাপিত অভিযোগের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলাটি মূলত জুলাই–আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকারের প্রতিক্রিয়া ঘিরে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান টানা দুই দিন সাক্ষ্য দিয়ে দাবি করেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। যার মধ্যে হত্যা, গুম ও নির্যাতনের মতো ঘটনা অন্তর্ভুক্ত। তিনি জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনাও উল্লেখ করেন।

এর জবাবে ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন মাহমুদুর রহমানকে জেরা করে এসব অভিযোগকে অসংগত ও ভিত্তিহীন বলে খারিজ করেন। বুধবারের শুনানির পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি বা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত—এমন কোনো প্রমাণ নেই। তাঁর ১৫ বছরের শাসনামলে এমন কিছু ঘটেনি।'

আমির হোসেন আরও যুক্তি দেন, শেখ হাসিনা বা কামাল কেউই সহিংসতার কোনো নির্দেশ দেননি, তাই 'কমান্ড রেসপনসিবিলিটি' প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। তিনি যোগ করেন, 'জুলাই আন্দোলনে কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। সুতরাং প্রাক্তন নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ভিত্তি নেই যে তারা এসব প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছেন।'

তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বৈরতান্ত্রিকতা বা কর্তৃত্ববাদী শাসনের অভিযোগও অস্বীকার করেন, উল্লেখ করেন যে গত ১৬ বছরে দেশে কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেনি।

বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয় এবং দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ডিফেন্স পক্ষ মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ করে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ট্রাইব্যুনাল জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও মামলার ৪৭তম সাক্ষী নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। চলমান মামলার ১৭তম দিনে তিনি সাক্ষ্য দেন।

উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা ও রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে এ বিচার কার্যক্রম জাতীয়ভাবে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ