বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগ

জেন-জিদের তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। দুদিনের বিক্ষোভে সহিংসতা-সংঘর্ষ এবং পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর তরুণ বিক্ষোভকারীদের চাপে এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
নেপালের সচিবালয় জানায়, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানায় নেপালের সেনাবাহিনীও, যা রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে।
গত দুদিনে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পদত্যাগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক, কৃষি ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাম নাথ অধিকারী এবং পানি সরবরাহমন্ত্রী প্রদীপ ইয়াদবও।
২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নেপালে বিক্ষোভ চলছে। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে কারফিউ জারিসহ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে ১৯ জন নিহত ছাড়াও দেশজুড়ে আহত হন কমপক্ষে ৩৪৭ জন বিক্ষোভকারী। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর পাশাপাশি আন্দোলন রূপ নেয় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতেও।
কারফিউ উপেক্ষা করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি এবং প্রধান দলগুলোর কার্যালয় লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া এবং অগ্নিসংযোগ শুরু করেন তারা। ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
অস্থিরতা ও উদ্ভূত নিরাপত্তা উদ্বেগে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক- সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সহিংসতার মুখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে