Views Bangladesh Logo

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ, নিহত বেড়ে ১৬ জন

নেপালে জেন-জিদের বিক্ষোভে সহিংসতায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে, আহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি। ২৬টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী তরুণদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ ও কারফিউ জারির পর সহিংসতা বাড়ছেই।

নিয়ম মেনে নিবন্ধন না করায় ফেসবুক, এক্স এবং ইউটিউবসহ প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করছেন কয়েক হাজার তরুণ। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া জেন-জি তরুণদের এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পোখরা, বুটওয়াল ও বিরাট নগরসহ বিভিন্ন শহরেও।

বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিউ বানেশ্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন তরুণেরা। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশ গার্ড হাউসেও উঠে গেলে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। তাতেও কাজ না হলে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হলেও দাঙ্গা পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করেছেন সহিংস বিক্ষোভকারীরা।

স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সরকার বিক্ষোভকারীদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ ও কারফিউ জারি করায় পরিস্থিতি ক্রমেই চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পুলিশ এখনও সংসদ ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে।

কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসনের জারি করা কারফিউ রাত দশটা পর্যন্ত বানেশ্বর এবং আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে চলবে।কারফিউ জোনের আওতায় রয়েছে, পশ্চিমে নিউ বানেশ্বর চক থেকে বিজুলিবাজার ব্রিজ, পূর্বে তিনকুনে চক, উত্তরে আইপ্লেক্স মল সংলগ্ন রত্ন রাজ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণে শঙ্খমূল ব্রিজ পর্যন্ত। প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছবি রিজাল স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন আইন অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে নেপালে অস্থিরতার জেরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারতও। ভারত-নেপাল সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)। নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সতর্কতা রক্ষায় অতিরিক্ত কর্মীও মোতায়েন করেছে আধা-সামরিক বাহিনীটি।


মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ