নির্বাচনী প্রচারণায় তারেক ও জিয়াউর রহমানের ছবি ব্যবহারে আপত্তি এনসিপির

নির্বাচনী প্রচারে দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে জোর দিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে অংশ নিয়ে এনসিপি এই দাবি জানায়।

সংলাপে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, ‘দলীয় প্রধান ছাড়া কারও ছবি প্রচারে ব্যবহার না করার বিধানকে আমরা স্বাগত জানাই। এখন খালেদা জিয়া বিএনপির প্রধান—সেক্ষেত্রে তারেক রহমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি ব্যবহার করা হলে ইসিকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে কমিশনের সক্ষমতা বুঝা যাবে।’

দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচনী জোট করলেও সবাই যেন নিজ দলের প্রতীকেই ভোট চায়—এ সিদ্ধান্তে ইসিকে অটল থাকার অনুরোধ জানান তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘নিজের শরীর রেখে অন্যের জামা পরে গেলে তা ঠিক নয়। এবার নিজস্ব দলকে নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ এসেছে।’

তিনি আরও প্রস্তাব দেন, প্রতিটি দলের জন্য একজন করে ইসি-নির্ধারিত দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করলে নির্বাচন সংক্রান্ত যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

জহিরুল ইসলাম মূসা বিলবোর্ডে কাপড় ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার বিধানকে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রায়োগিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘দলীয় ব্যয়ের সীমা ৫০ লাখ টাকা, অথচ একটি বিলবোর্ডেই খরচ হয় ২০ লাখ টাকা। এতে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। আইনে ভালো কিছু ধারা থাকলেও অনেক অংশ অস্পষ্ট ও দুর্বল।’

মাইকের শব্দসীমা ৬০ ডেসিবল নির্ধারণের প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, শব্দ মাপার প্রয়োজনীয় যন্ত্র কি মাঠপর্যায়ে রয়েছে? পাশাপাশি নির্বাচনের সময় অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা—এসব বাস্তবায়নে ইসির সক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি তরুণ প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ এবং আগের মন্ত্রী–এমপিদের সঙ্গে উন্মুক্ত বিতর্কের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে মেটা ও টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বয়ের পরামর্শ দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।